ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদ উপলক্ষে মৌলভীবাজার নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:০৯:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৩৩৬ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক ঃ পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র ২ দিন বাকি।এর মধ্যেই অস্থিরতা দেখা দিয়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে। ক্রেতাদের বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে ঈদের পূর্বমুহূর্তে বাড়তে শুরু করেছে সবকিছুর দাম।এতে বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষদের।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) মৌলভীবাজারের টিসি মার্কেট,পশ্চিমবাজার এবং শহরের কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়,বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৪০-৫০ টাকা,চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা,করলা ৪৫-৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, শসা ৪০-৪৫ টাকা ও লতা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, গাজর ৪৫-৫০ টাকা, টমেটো ৩৫-৪০ টাকা ও আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়।

পশ্চিমবাজারের সবজি বিক্রেতা শামীম বলছেন, সবজি কম আসছে বাজারে। এতে বাজারে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেয়ায় দাম বাড়ছে। তবে ঈদের পরে সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম কমে আসবে। রিপন নামে এক ক্রেতা বলেন, সরকার দাম বেঁধে দিলেও তার প্রভাব বাজারে নেই।

এদিকে, রমজান শুরুর আগেই অস্থির হয়ে উঠেছিল রোজার পণ্যের বাজার।তবে সেই রেশ কাটেনি রোজার শেষদিকে এসেও। দু-একটি পণ্যের দাম কমলেও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব পণ্য।

বাজারে ঊর্ধ্বমুখী মাংসের দামও।প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৪৫-২৫০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৫০-৪০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০-৭০০ টাকা, আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকায়। সবধরনের মুরগিরতেও স্বস্তি নেই ক্রেতাদের। তবুও ভিড় দেখা গেছে মুরগির দোকানগুলোতে।পশ্চিমবাজারের মুরগি বিক্রেতা জামাল বলেন, মুরগির উৎপাদন খরচ বেড়েছে। পাশাপাশি ঈদ উপলক্ষে বেড়েছে চাহিদাও। সব মিলিয়ে বাড়তি মুরগির দাম।


সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে সব ধরনের মাংসের দামই বাড়তি যাচ্ছে।এদিকে, প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতিকেজি খাসির মাংস ৯০০-৯৫০ ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯০০টাকায়। গরুর মাংস বিক্রেতা কামরান মিয়া জানান, তিনি গরুর মাংস বিক্রি করছেন ৮০০ টাকা কেজি।তার ভাষ্যমতে, এরপরও তিনি লাভের মুখ দেখতে পারছেন না।কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বাজারে গরুর দাম চড়া, যেকারণে বাধ্য হয়েই মাংসের দাম বাড়াতে হয়েছে।

অস্থির মশলাপাতির বাজারও। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকায়। প্রতি কেজি ভারতীয় পেয়াঁজ ব্রিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায়, দেশি রসুন প্রতি কেজি ১৩০-১৪০ টাকায়, আদা প্রতি কেজি ২০০-২১০, হলুদ প্রতি কেজি ২৫০-২৬০ এবং সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৩- ১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতা গোলাপ হোসেন পল্লীকন্ঠকে বলেন বাজারে সব পণ্যের দাম একটু বেশিই তবে বাজারে ক্রেতাদের ভীড় রয়েছে ঈদের পরে দাম কিছুটা কমতে পারে।

রোজার শুরু থেকেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে নিত্যপণ্য। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ততই চাহিদা বাড়ছে নিত্যপণ্যের। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দামও। মাংস রান্নার জন্য বিভিন্ন ধরনের মসলা, সেমাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় চিনি, দুধ, কিশমিশ, পোলাওর চালের দাম যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। চিনিগুড়াচাল বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়,কাটারি চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ – ৭৮ টাকায় এবং মিনিকেটচাল বিক্রি করা হচ্ছে ৭৬ -৭৮ টাকায়।তবুও বাড়তি দামেই নিত্যপণ্য কিনতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে বাজারে।

চৌমোহনার টিসি মার্কেটে করতে আসা ক্রেতা খালেদা পারভীন বলেন, পুরো রোজার মাস ধ‌রেই বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে জিনিসপত্র।আর ঈদকে কেন্দ্র করে আবারও বাড়িয়েছে নিত্যপণ্যের দাম। যা অবস্থা হয়েছে আরও দাম বাড়বে। বিভিন্ন ঈদ বা ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে একটি চক্র হঠাৎ করে বাড়িয়ে দেয় বাজারের দাম। এখন বাজারে তদারকি প্রয়োজন অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে।

বাজার করতে আসা আরেক ব্যাক্তি সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মো. দিনার উদ্দীন বলেন, দিনদিন মাছ-মাংসের দাম বেড়েই চলেছে।গত সপ্তাহের তুলনায় আজকে দেখছি মাছের বাজার চড়া।যেকারণে কিনতে গেলেও বারবার হিসেব করতে হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ঈদ উপলক্ষে মৌলভীবাজার নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা

আপডেট সময় ১০:০৯:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০২৪

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক ঃ পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র ২ দিন বাকি।এর মধ্যেই অস্থিরতা দেখা দিয়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে। ক্রেতাদের বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে ঈদের পূর্বমুহূর্তে বাড়তে শুরু করেছে সবকিছুর দাম।এতে বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষদের।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) মৌলভীবাজারের টিসি মার্কেট,পশ্চিমবাজার এবং শহরের কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়,বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৪০-৫০ টাকা,চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা,করলা ৪৫-৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, শসা ৪০-৪৫ টাকা ও লতা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, গাজর ৪৫-৫০ টাকা, টমেটো ৩৫-৪০ টাকা ও আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়।

পশ্চিমবাজারের সবজি বিক্রেতা শামীম বলছেন, সবজি কম আসছে বাজারে। এতে বাজারে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেয়ায় দাম বাড়ছে। তবে ঈদের পরে সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম কমে আসবে। রিপন নামে এক ক্রেতা বলেন, সরকার দাম বেঁধে দিলেও তার প্রভাব বাজারে নেই।

এদিকে, রমজান শুরুর আগেই অস্থির হয়ে উঠেছিল রোজার পণ্যের বাজার।তবে সেই রেশ কাটেনি রোজার শেষদিকে এসেও। দু-একটি পণ্যের দাম কমলেও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব পণ্য।

বাজারে ঊর্ধ্বমুখী মাংসের দামও।প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৪৫-২৫০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৫০-৪০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০-৭০০ টাকা, আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকায়। সবধরনের মুরগিরতেও স্বস্তি নেই ক্রেতাদের। তবুও ভিড় দেখা গেছে মুরগির দোকানগুলোতে।পশ্চিমবাজারের মুরগি বিক্রেতা জামাল বলেন, মুরগির উৎপাদন খরচ বেড়েছে। পাশাপাশি ঈদ উপলক্ষে বেড়েছে চাহিদাও। সব মিলিয়ে বাড়তি মুরগির দাম।


সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে সব ধরনের মাংসের দামই বাড়তি যাচ্ছে।এদিকে, প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতিকেজি খাসির মাংস ৯০০-৯৫০ ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯০০টাকায়। গরুর মাংস বিক্রেতা কামরান মিয়া জানান, তিনি গরুর মাংস বিক্রি করছেন ৮০০ টাকা কেজি।তার ভাষ্যমতে, এরপরও তিনি লাভের মুখ দেখতে পারছেন না।কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বাজারে গরুর দাম চড়া, যেকারণে বাধ্য হয়েই মাংসের দাম বাড়াতে হয়েছে।

অস্থির মশলাপাতির বাজারও। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকায়। প্রতি কেজি ভারতীয় পেয়াঁজ ব্রিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায়, দেশি রসুন প্রতি কেজি ১৩০-১৪০ টাকায়, আদা প্রতি কেজি ২০০-২১০, হলুদ প্রতি কেজি ২৫০-২৬০ এবং সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৩- ১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতা গোলাপ হোসেন পল্লীকন্ঠকে বলেন বাজারে সব পণ্যের দাম একটু বেশিই তবে বাজারে ক্রেতাদের ভীড় রয়েছে ঈদের পরে দাম কিছুটা কমতে পারে।

রোজার শুরু থেকেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে নিত্যপণ্য। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ততই চাহিদা বাড়ছে নিত্যপণ্যের। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দামও। মাংস রান্নার জন্য বিভিন্ন ধরনের মসলা, সেমাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় চিনি, দুধ, কিশমিশ, পোলাওর চালের দাম যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। চিনিগুড়াচাল বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়,কাটারি চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ – ৭৮ টাকায় এবং মিনিকেটচাল বিক্রি করা হচ্ছে ৭৬ -৭৮ টাকায়।তবুও বাড়তি দামেই নিত্যপণ্য কিনতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে বাজারে।

চৌমোহনার টিসি মার্কেটে করতে আসা ক্রেতা খালেদা পারভীন বলেন, পুরো রোজার মাস ধ‌রেই বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে জিনিসপত্র।আর ঈদকে কেন্দ্র করে আবারও বাড়িয়েছে নিত্যপণ্যের দাম। যা অবস্থা হয়েছে আরও দাম বাড়বে। বিভিন্ন ঈদ বা ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে একটি চক্র হঠাৎ করে বাড়িয়ে দেয় বাজারের দাম। এখন বাজারে তদারকি প্রয়োজন অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে।

বাজার করতে আসা আরেক ব্যাক্তি সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মো. দিনার উদ্দীন বলেন, দিনদিন মাছ-মাংসের দাম বেড়েই চলেছে।গত সপ্তাহের তুলনায় আজকে দেখছি মাছের বাজার চড়া।যেকারণে কিনতে গেলেও বারবার হিসেব করতে হয়।