ঢাকা ১০:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাখাইয়ে কালবৈশাখী তান্ডবে লন্ডভন্ড ঘরবাড়ি সহ গাছপালা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ১ জনের মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৩৫:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০২৪
  • / ১৩৯ বার পড়া হয়েছে

এম এ ওয়াহেদঃ হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় তুফানে লন্ডভন্ড  আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বাড়ী সহ বিভিন্ন গাছপালা। রোববার (৫ মে)  সন্ধার পর কালবৈশাখী ঝড়ে লাখাই উপজেলার ভাদিকারা আশ্রয়ন প্রকল্পের ১৫ টি ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় উপজেলার ১নং লাখাই ইউনিয়নে প্রায় ৬০ টি ঘর সহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ে ২ শতাধিক ঘর বাড়ী ও সহস্রাধীক গাছপালার ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে  ভাদিকারা গ্রামের উত্তরে উন্মুক্ত এলাকায় অবস্থিত মুজিব বর্ষের আশ্রয়ন প্রকল্পের ১৫টি ঘরের পশ্চিমের টিনের ছাল কালবৈশাখী ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে এবং একটি ঘরের পুরো ছাল তুফানে উড়িয়ে নিয়ে গেছে।  এ বিষয়ে ১নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ রোপন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমার ইউনিয়নের রাধানগর গ্রাম সহ ৬০ টি ঘর কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। তিনি আরো জানান রাধানগর গ্রামের ষাটোর্ধ আব্দুল মতিন নামে এক বৃদ্ধের ঘর তুপানে তার ঘরটি উড়িয়ে নিয়ে গেলে পাশের ঘরে আশ্রয় নেয়ার পর তার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।  এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম রাকিব এর সাথে যোগাযোগ করেলে রোববার সন্ধার পর ঘটে যাওয়া কালবৈশাখী তান্ডবে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ঘরবাড়ি ও গাছপালা সহ ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলল তিনি এ প্রতিনিধি কে জানান। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা এর সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, গত রোববার দিবাগত সন্ধার পর ঘটে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর এবং উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গাছপালা সহ সহস্রধীক ঘর বাড়ী  পরে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরো জানান ভাদিকারায় অবস্থিত আশ্রশন প্রকল্পের ঘর সহ এলাকায় বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন করেছি। কালবৈশাখী ঝড় তুফানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতি পূরণ দেয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, এ ব্যপারে জেলা প্রশাসক আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে তালিকা তৈরী করার জন্য সে মোতাবেক আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরী করা হবে এবং ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।  গত রোববার সন্ধার পর থেকে প্রায় ১২ ঘন্টা এ উপজেলায় বিদ্যুৎ এর লাইন বিচ্ছিন্ন ছিল।  এখনও  বিদ্যুৎ  বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিভিন্ন গ্রাম। এ বিষয়ে লাখাই পবিস ডিজিএম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এ উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত লাইনম্যানরা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এলাকায় কাজ করে যাচ্ছে। যথাসময়ে বিদ্যুৎ এর লাইন চালু করতে পারব বলে আমি আশাবাদী।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

লাখাইয়ে কালবৈশাখী তান্ডবে লন্ডভন্ড ঘরবাড়ি সহ গাছপালা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ১ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় ০৫:৩৫:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০২৪

এম এ ওয়াহেদঃ হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় তুফানে লন্ডভন্ড  আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বাড়ী সহ বিভিন্ন গাছপালা। রোববার (৫ মে)  সন্ধার পর কালবৈশাখী ঝড়ে লাখাই উপজেলার ভাদিকারা আশ্রয়ন প্রকল্পের ১৫ টি ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় উপজেলার ১নং লাখাই ইউনিয়নে প্রায় ৬০ টি ঘর সহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ে ২ শতাধিক ঘর বাড়ী ও সহস্রাধীক গাছপালার ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে  ভাদিকারা গ্রামের উত্তরে উন্মুক্ত এলাকায় অবস্থিত মুজিব বর্ষের আশ্রয়ন প্রকল্পের ১৫টি ঘরের পশ্চিমের টিনের ছাল কালবৈশাখী ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে এবং একটি ঘরের পুরো ছাল তুফানে উড়িয়ে নিয়ে গেছে।  এ বিষয়ে ১নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ রোপন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমার ইউনিয়নের রাধানগর গ্রাম সহ ৬০ টি ঘর কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। তিনি আরো জানান রাধানগর গ্রামের ষাটোর্ধ আব্দুল মতিন নামে এক বৃদ্ধের ঘর তুপানে তার ঘরটি উড়িয়ে নিয়ে গেলে পাশের ঘরে আশ্রয় নেয়ার পর তার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।  এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম রাকিব এর সাথে যোগাযোগ করেলে রোববার সন্ধার পর ঘটে যাওয়া কালবৈশাখী তান্ডবে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ঘরবাড়ি ও গাছপালা সহ ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলল তিনি এ প্রতিনিধি কে জানান। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা এর সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, গত রোববার দিবাগত সন্ধার পর ঘটে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর এবং উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গাছপালা সহ সহস্রধীক ঘর বাড়ী  পরে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরো জানান ভাদিকারায় অবস্থিত আশ্রশন প্রকল্পের ঘর সহ এলাকায় বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন করেছি। কালবৈশাখী ঝড় তুফানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতি পূরণ দেয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, এ ব্যপারে জেলা প্রশাসক আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে তালিকা তৈরী করার জন্য সে মোতাবেক আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরী করা হবে এবং ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।  গত রোববার সন্ধার পর থেকে প্রায় ১২ ঘন্টা এ উপজেলায় বিদ্যুৎ এর লাইন বিচ্ছিন্ন ছিল।  এখনও  বিদ্যুৎ  বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিভিন্ন গ্রাম। এ বিষয়ে লাখাই পবিস ডিজিএম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এ উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত লাইনম্যানরা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এলাকায় কাজ করে যাচ্ছে। যথাসময়ে বিদ্যুৎ এর লাইন চালু করতে পারব বলে আমি আশাবাদী।