ঝিনাইদহের সংসদ সদস্য হত্যার পর মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে আক্তারুজ্জামান শাহিনের (৫৫)। স্বর্ন চোরাচালান আর অবৈধ কারবারই ছিল তাঁর মূল কাজ এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সে কোটচাঁদপুর বাজার পাড়ার আসাদুজ্জামান কাঠু মিয়ার ছোট ছেলে ও মেয়রের ভাই।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, আক্তারুজ্জামান শাহিন (৫৫)। সে কোটচাঁদপুর বাজার পাড়ার আসাদুজ্জামান কাঠু মিয়ার ছোট ছেলে। ৩ ভাই আর ২ বোন নিয়ে তাদের পরিবার। ৩ ভাইয়ের মধ্যে শাহিন ছোট। আর দুই ভাই সহিদুজ্জামান সেলিম। যিনি কোটচাঁদপুর পৌরসভার বর্তমান পৌর মেয়র। অন্য ভাই মনিরুজ্জামান (মনা)। ওনি থাকেন আমেরিকা। শাহীন ছেলে বেলার লেখা পড়া করেন,কোটচাঁদপুর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। মাধ্যমিক পাশ করেন,কোটচাঁদপুর সরকারি মডেল বালক বিদ্যালয় থেকে। আর এইচ এস সি পাশ করেন কোটচাঁদপুর খন্দকার মোশাররফ হোসেন ডিগ্রি কলেজ থেকে। এরপর ভর্তি হন চিটাগাং মেরিন একাডেমিতে। পাশ করে বের হয়ে জাহাজে চাকুরী নেন,মেরিন প্রকৌশলী হিসেবে।
সে সুবাধে অবাদ যাতায়াত চলে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায়। পরে তিনি চাকুরী ছেড়ে পাড়ি জমান আমেরিকা। আর ভাই আমেরিকার প্রবাসি হওয়ায় খুব সহজে মেলে আমেরিকার নাগরিকত্ব। এরপর থেকে তিনি জড়িয়ে পড়েন মাদক,স্বর্নসহ বিভিন্ন অবৈধ কারবারে। আর রাতারাতি বনে যান কোটিপতি। গড়ে তোলেন অবৈধ জগৎ।
এ সব নিয় কথা হয় কোটচাঁদপুর পৌর শহরের নামপ্রকাশ না করা শর্তে একাধিক মানুষের সঙ্গে, তারা বলেন, সবাই তাকে শাহিন মিয়া বলে চিনতেন।তবে তাঁকে সামনা সমানি অনেকে দেখেননি। সবাই ধারনা তিনি আমেরিকা থাকেন। ভাল কোন চাকুরি করেন সেখানে।
মানুষের সে ধারনা ভূল প্রমানিত হয়েছে ঝিনাইদহের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার খবর প্রচারের পর। খুলে গেছে তাঁর মুখোশ। বেরিয়ে পড়েছে তাঁর স্বর্ন,মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানের বিভিন্ন তথ্য।
তারা আরো বলেন,শাহীন মিযা কোটচাঁদপুরে না আসলেও গড়ে তুলেছেন কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী গ্রামের মধ্যে রিসোর্ট,বাজারের বাড়ি,ঢাকা বসুন্ধরায় রয়েছে তাঁর নিজের ফ্লাট। এ ছাড়া গুলসানেও আছে তাঁর একটি ভাড়া বাসা, গাজীপুরে গড়ে তুলেছেন একটি রিসোর্ট,আমেরিকায় ছেলে মেয়ে থাকেন। তাদের বসবাসের জন্য রয়েছে একটি বাসা। এ ছাড়া ব্যবসার কাজের জন্য ভারতের কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জিবা গার্ডেনের ভাড়া বাড়ি।
এ দিকে কোটচাঁদপুরে সেনপ্রভাব খাটিয়ে বড় ভাই সহিদুজ্জামান সেলিম কে বানিয়েছেন মেয়র। শাহিন
কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী গ্রামের আসাদুজ্জামন কাঠু মিয়ার ছোট ছেলে। বর্তমানে তারা বসবাস করেন,কোটচাঁদপুর পৌর শহরের বাজার পাড়ায়। ঘটনা পর তিনি আমেরিকা পাড়ি জমিয়েছেন বলে জানা গেছে।