ঢাকা ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ

দেশে ফিরবেন আন্তর্জাতিক আদালতে গণতন্ত্র হত্যা মামলার বাদী দারাদ আহমদ ও বিএনপির র্শীষ নেতারা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৪৩:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১০১ বার পড়া হয়েছে

দ্রুততম সময়ের মধ্যেই দেশে ফিরবেন আন্তর্জাতিক আদালতে গণতন্ত্র হত্যা মামলার বাদী দারাদ আহমদ সহ বিএনপির র্শীষ নেতারা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ দেশে ফিরার পর বিএনপির দুই ডজনের বেশি নেতা দেশে ফেরার জন্য অপেক্ষায় আছেন। এসব নেতাদের মধ্যে বেশিরভাগই আওয়ামী সরকারের অত্যাচারে দেশ ছাড়াতে বাধ্য হয়েছিলেন। এই তালিকায় থাকা নেতাদের অনেকে সাজাপ্রাপ্ত। এ অবস্থায় আইনি প্রক্রিয়া শেষ করেই নেতারা দেশে ফিরবেন বলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির উপদেষ্টা গণতন্ত্র হত্যা মামলার বাদী দারাদ আহমদ। এছাড়া তিনি সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

জানা যায়, বিগত ১/১১ প্রেক্ষাপটে খালেদা জিয়া কারান্তরীন হবার পর নেদারল্যান্ডের দি হেগ সিটিতে আর্ন্তজাতিক আদালতে নেত্রীর মুক্তি ও গণতন্ত্র হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করে শুধু বাংলাদেশেই নয় বিশ্বের সচেতন বাংলা ভাষাভাষীদের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হন দারাদ আহমদ। চলে আসেন আলোচনায়। এরপর সংস্কারপন্থী শীর্ষ নেতাদের অবাঞ্চিত ঘোষনা করে সিলেট বিভাগের বিএনপিতে নতুন করে আলোড়ন তুলেন তিনি। সংস্কার পন্থীদের দাপটে যখন বিএনপি’র দুরবস্থা ঠিক সেই সময়ে মহাসচিবের নির্দেশে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে প্রবাসী নেতাকর্মীদের মনোবল দৃঢ় করার পাশাপাশি দলের কমিটি গঠন করেন। আর এ কারনে দলের নীতি নির্ধারকদের পাশাপাশি খালেদা জিয়ার গুডবুকে চলে আসেন দারাদ। সে সময় তাকে দেশেও আসতে দেওয়া হয়নি। যোগাযোগের স্বার্থে দলকে ঐক্যবাদ্ধ করতে দারাদকে ছদ্মবেশে দেশে ফিরতে হয়েছে। এরপর বিগত ১৫ বছরে সরকারের হামলা-মামলা ও নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হয়ে দারাদ আহমদ সহ প্রায় তিন ডজন নেতা দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাতে বাধ্য হয়েছেন।
জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটি সাবেক যুমগ সাধারন সম্পাদক দারাদ আহমেদ বলেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ১/১১ প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করায় সরকারের রোষানলে পরে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছি। মামলা-মোকদ্দমার কারণে বিদেশে চলে গিয়েও শান্তি পাইনি। ১৫ বছরে সরকারের হামলা-মামলা ও নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হয়ে বিএনপির প্রায় তিন ডজন নেতা দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাতে বাধ্য হয়েছেন। এই তালিকায় থাকা নেতাদের অনেকে সাজাপ্রাপ্ত। এ অবস্থায় আইনি প্রক্রিয়া শেষ করেই নেতারা দেশে ফিরবেন।

বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছাড়াও বিভিন্ন সময় দেশ ছাড়ার তালিকায় থাকা নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, বিএনপির আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, তথ্য ও প্রযুক্তি-বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান, ক্ষুদ্র ঋণ-বিষয়ক সম্পাদক এমএ কাইয়ুম, সহ-আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, আনোয়ার হোসেন খোকন, নাজমুল আবেদীন মোহন, বেবি নাজনীন, প্রবাসী কল্যাণ-বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আব্দুস সালাম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য গাজী শাহজাহান জুয়েল, শেখ সুজাত মিয়া, মোশারফ হোসেন, কয়ছর এম আহমেদ, আব্দুল লতিফ সম্রাট, মির্জা খোকন ও দারাদ আহমেদ প্রমুখ।

দারাদ আহমেদ আরো বলেন, শেয়ারবাজার ও ব্যাংক খাতের কেলেঙ্কারি এবং কারসাজির অন্যতম মাফিয়া সালমান এফ রহমানের কারণে সব হারিয়ে কয়েক হাজার ব্যবসায়ী আজ নিশ্ব হয়ে পড়েছেন। কিন্তু রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করে সব সময়ই থেকেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ঋণখেলাপি, অর্থ পাচার এবং শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে শীর্ষে থাকা সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার দাবি করেন তিনি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশে ফিরবেন আন্তর্জাতিক আদালতে গণতন্ত্র হত্যা মামলার বাদী দারাদ আহমদ ও বিএনপির র্শীষ নেতারা

আপডেট সময় ০৫:৪৩:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪

দ্রুততম সময়ের মধ্যেই দেশে ফিরবেন আন্তর্জাতিক আদালতে গণতন্ত্র হত্যা মামলার বাদী দারাদ আহমদ সহ বিএনপির র্শীষ নেতারা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ দেশে ফিরার পর বিএনপির দুই ডজনের বেশি নেতা দেশে ফেরার জন্য অপেক্ষায় আছেন। এসব নেতাদের মধ্যে বেশিরভাগই আওয়ামী সরকারের অত্যাচারে দেশ ছাড়াতে বাধ্য হয়েছিলেন। এই তালিকায় থাকা নেতাদের অনেকে সাজাপ্রাপ্ত। এ অবস্থায় আইনি প্রক্রিয়া শেষ করেই নেতারা দেশে ফিরবেন বলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির উপদেষ্টা গণতন্ত্র হত্যা মামলার বাদী দারাদ আহমদ। এছাড়া তিনি সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

জানা যায়, বিগত ১/১১ প্রেক্ষাপটে খালেদা জিয়া কারান্তরীন হবার পর নেদারল্যান্ডের দি হেগ সিটিতে আর্ন্তজাতিক আদালতে নেত্রীর মুক্তি ও গণতন্ত্র হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করে শুধু বাংলাদেশেই নয় বিশ্বের সচেতন বাংলা ভাষাভাষীদের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হন দারাদ আহমদ। চলে আসেন আলোচনায়। এরপর সংস্কারপন্থী শীর্ষ নেতাদের অবাঞ্চিত ঘোষনা করে সিলেট বিভাগের বিএনপিতে নতুন করে আলোড়ন তুলেন তিনি। সংস্কার পন্থীদের দাপটে যখন বিএনপি’র দুরবস্থা ঠিক সেই সময়ে মহাসচিবের নির্দেশে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে প্রবাসী নেতাকর্মীদের মনোবল দৃঢ় করার পাশাপাশি দলের কমিটি গঠন করেন। আর এ কারনে দলের নীতি নির্ধারকদের পাশাপাশি খালেদা জিয়ার গুডবুকে চলে আসেন দারাদ। সে সময় তাকে দেশেও আসতে দেওয়া হয়নি। যোগাযোগের স্বার্থে দলকে ঐক্যবাদ্ধ করতে দারাদকে ছদ্মবেশে দেশে ফিরতে হয়েছে। এরপর বিগত ১৫ বছরে সরকারের হামলা-মামলা ও নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হয়ে দারাদ আহমদ সহ প্রায় তিন ডজন নেতা দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাতে বাধ্য হয়েছেন।
জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটি সাবেক যুমগ সাধারন সম্পাদক দারাদ আহমেদ বলেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ১/১১ প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করায় সরকারের রোষানলে পরে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছি। মামলা-মোকদ্দমার কারণে বিদেশে চলে গিয়েও শান্তি পাইনি। ১৫ বছরে সরকারের হামলা-মামলা ও নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হয়ে বিএনপির প্রায় তিন ডজন নেতা দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাতে বাধ্য হয়েছেন। এই তালিকায় থাকা নেতাদের অনেকে সাজাপ্রাপ্ত। এ অবস্থায় আইনি প্রক্রিয়া শেষ করেই নেতারা দেশে ফিরবেন।

বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছাড়াও বিভিন্ন সময় দেশ ছাড়ার তালিকায় থাকা নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, বিএনপির আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, তথ্য ও প্রযুক্তি-বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান, ক্ষুদ্র ঋণ-বিষয়ক সম্পাদক এমএ কাইয়ুম, সহ-আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, আনোয়ার হোসেন খোকন, নাজমুল আবেদীন মোহন, বেবি নাজনীন, প্রবাসী কল্যাণ-বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আব্দুস সালাম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য গাজী শাহজাহান জুয়েল, শেখ সুজাত মিয়া, মোশারফ হোসেন, কয়ছর এম আহমেদ, আব্দুল লতিফ সম্রাট, মির্জা খোকন ও দারাদ আহমেদ প্রমুখ।

দারাদ আহমেদ আরো বলেন, শেয়ারবাজার ও ব্যাংক খাতের কেলেঙ্কারি এবং কারসাজির অন্যতম মাফিয়া সালমান এফ রহমানের কারণে সব হারিয়ে কয়েক হাজার ব্যবসায়ী আজ নিশ্ব হয়ে পড়েছেন। কিন্তু রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করে সব সময়ই থেকেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ঋণখেলাপি, অর্থ পাচার এবং শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে শীর্ষে থাকা সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার দাবি করেন তিনি।