ঢাকা ০২:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
এম নাসের রহমানের সঙ্গে বড়লেখা পৌর বিএনপির নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ ৬ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী মৌলভীবাজারের ৪৮ শিক্ষক বরখাস্ত খালেদা জিয়ার সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক জামায়াতের এমপি পদপ্রার্থী শাহেদ আলীর মতবিনিময় সভা জাতীয় মৎস্য সপ্তাহে পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচি নির্বাচন স্থগিতের আবেদন খারিজ শ্রীমঙ্গলে ব্যবসায়ী সমিতি নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা ক্লাসে হঠাৎ ভেঙে পড়লো সিলিং ফ্যান,এক ছাত্রী আহত দাফন করার ১৭ দিন পর জীবিত উদ্ধার,প্রধান আসামি কারাগারে,এলাকায় চাঞ্চল্য

বকেয়া মজুরির দাবিতে কমলগঞ্জে সকল চা বাগানে প্র তি বা দ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৩৯:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১৩১ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এনটিসি’র মালিকানাধীন সকল চা বাগানে পৃথক ভাবে বকেয়া মজুরির দাবীতে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন চা শ্রমিকরা।মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচীতে বাগানের প্রায় দেড় হাজার চা শ্রমিক অংশ গ্রহণ করেছে। পৃথক ভাবে মদনমোহনপুর, চাম্পারায়, বাঘাছড়া,পদ্মছড়া চা বাগানে চা শ্রমিকরা ১ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন।

 

জানা যায়, ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) মালিকানাধীন চা বাগানগুলোতে চা শ্রািমকরা গত ২০ দিন কাজ করে ও তাদের সাপ্তাহিক হাজরী (মজুরী বা তলব) বন্ধ রয়েছে। ফলে শ্রমিকরা আর্থিক অনটনে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। বকেয়া মজুরি ও প্রফিডেন্ট ফ্রান্ডের টাকা, রেশন ও চিকিৎসাসেবা প্রদানের দাবীতে কুরমা চা বাগানে ফ্যাক্টরির প্রদান ফটকের সম্মুখে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন চা শ্রমিকরা।

 

কুরমা চা বাগানে মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সভায় পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাসী তার বক্তব্যে বলেন, চা বাগানের শ্রমিকরা ২০ দিন ধরে মজুরি পাচ্ছেন না। শুধু মজুরী নয় তাদের রেশন ও চিকিৎসা সেবাও বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও ১৫ মাস ধরে প্রফিডেন্ট ফ্রান্ডের টাকা দিচ্ছেনা। কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সবকিছু লুটেপুটে খেয়েছে। কত কষ্ট করে প্রতিদিন শ্রমিকরা কাজ করে যাচ্ছে, কিন্তু মজুরি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে করে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। অনেক দোকানীরা বাকি দিতে চাইছে না। দ্রুত বকেয়া মজুরি প্রদান না করা হলে আগামী সোমবার থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

 

চা শ্রমিক মুক্তার রানী বাউরী বলেন, ২০ দিন ধরে মজুরি বন্ধ। পরিবারের লোকজনদের নিয়ে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। এখন আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। সাথী বিলাস বলেন, মজুরি বন্ধ থাকায় বাগানের কোনো দোকানপাট থেকে বাকিতেও কোনো কিছুই ক্রয় করতে পারছি না। এভাবে মজুরি বন্ধ থাকলে না খেয়ে মরতে হবে। স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল হক, পঞ্চায়েত সদস্য নওশাদ আহমেদ, বালক দাস পাইনকা, চা শ্রমিক সন্ধ্যা বুনার্জী, প্রদীপ রজক, যোগেষ রজত, দিলীপ পাইনকা, চা নেত্রী গীতা রানী কানু প্রমুখ।

বক্তারা আরো বলেন, আগামী সোমবারের মধ্যে বকেয়া মজুরি প্রদান না করা হলে আরও কঠোর কর্মস‚চি ঘোষণা করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন চা শ্রমিকরা। কুরমা চা বাগানের ম্যানেজার ইউসুফ খাঁন বলেন, কোম্পানির পরিচালনা পরিষদ ভেঙ্গে গেছে। তাই সমস্যা হচ্ছে। পুনরায় পরিচালনা পরিষদ গঠন হলে সমস্যা থাকবে না।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বকেয়া মজুরির দাবিতে কমলগঞ্জে সকল চা বাগানে প্র তি বা দ

আপডেট সময় ০৮:৩৯:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এনটিসি’র মালিকানাধীন সকল চা বাগানে পৃথক ভাবে বকেয়া মজুরির দাবীতে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন চা শ্রমিকরা।মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচীতে বাগানের প্রায় দেড় হাজার চা শ্রমিক অংশ গ্রহণ করেছে। পৃথক ভাবে মদনমোহনপুর, চাম্পারায়, বাঘাছড়া,পদ্মছড়া চা বাগানে চা শ্রমিকরা ১ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন।

 

জানা যায়, ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) মালিকানাধীন চা বাগানগুলোতে চা শ্রািমকরা গত ২০ দিন কাজ করে ও তাদের সাপ্তাহিক হাজরী (মজুরী বা তলব) বন্ধ রয়েছে। ফলে শ্রমিকরা আর্থিক অনটনে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। বকেয়া মজুরি ও প্রফিডেন্ট ফ্রান্ডের টাকা, রেশন ও চিকিৎসাসেবা প্রদানের দাবীতে কুরমা চা বাগানে ফ্যাক্টরির প্রদান ফটকের সম্মুখে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন চা শ্রমিকরা।

 

কুরমা চা বাগানে মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সভায় পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাসী তার বক্তব্যে বলেন, চা বাগানের শ্রমিকরা ২০ দিন ধরে মজুরি পাচ্ছেন না। শুধু মজুরী নয় তাদের রেশন ও চিকিৎসা সেবাও বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও ১৫ মাস ধরে প্রফিডেন্ট ফ্রান্ডের টাকা দিচ্ছেনা। কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সবকিছু লুটেপুটে খেয়েছে। কত কষ্ট করে প্রতিদিন শ্রমিকরা কাজ করে যাচ্ছে, কিন্তু মজুরি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে করে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। অনেক দোকানীরা বাকি দিতে চাইছে না। দ্রুত বকেয়া মজুরি প্রদান না করা হলে আগামী সোমবার থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

 

চা শ্রমিক মুক্তার রানী বাউরী বলেন, ২০ দিন ধরে মজুরি বন্ধ। পরিবারের লোকজনদের নিয়ে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। এখন আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। সাথী বিলাস বলেন, মজুরি বন্ধ থাকায় বাগানের কোনো দোকানপাট থেকে বাকিতেও কোনো কিছুই ক্রয় করতে পারছি না। এভাবে মজুরি বন্ধ থাকলে না খেয়ে মরতে হবে। স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল হক, পঞ্চায়েত সদস্য নওশাদ আহমেদ, বালক দাস পাইনকা, চা শ্রমিক সন্ধ্যা বুনার্জী, প্রদীপ রজক, যোগেষ রজত, দিলীপ পাইনকা, চা নেত্রী গীতা রানী কানু প্রমুখ।

বক্তারা আরো বলেন, আগামী সোমবারের মধ্যে বকেয়া মজুরি প্রদান না করা হলে আরও কঠোর কর্মস‚চি ঘোষণা করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন চা শ্রমিকরা। কুরমা চা বাগানের ম্যানেজার ইউসুফ খাঁন বলেন, কোম্পানির পরিচালনা পরিষদ ভেঙ্গে গেছে। তাই সমস্যা হচ্ছে। পুনরায় পরিচালনা পরিষদ গঠন হলে সমস্যা থাকবে না।