ঢাকা ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যাগে দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বিপুল ভোটে জয়ী শিবিরের সাদিক-ফরহাদ-মহিউদ্দিন মৌলভীবাজার সরকারি ১২০ শতক জমি উদ্ধার করল জেলা প্রশাসন দুর্গাপূজা উপলক্ষে একাটুনা ইউনিয়ন পরিষদ এর উদ্যোগে বিট পুলিশিং ও আইনশৃঙ্খলা সভা কমলগঞ্জে ধানক্ষেত থেকে যুবকের গ/লা/কা/টা লা/শ উ দ্ধা র কিনব্রিজের দুই প্রবেশ মুখ বন্ধ করে দেওয়া হবে : জেলা প্রশাসক কমলগঞ্জে ৪০০ বস্তা ময়দা আত্মসাৎ চেষ্টার ঘটনায় গ্রে/ফ/তা র -২ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৫ উদযাপন আলোচিত আঞ্জুম হত্যা মামলার আসামী জুনেলের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হিথ্রো বিমানবন্দরে নাসের রহমানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা

সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিবন্দী জহুরাকে দেখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৪০:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬৬ বার পড়া হয়েছে
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিবন্দী জহুরাকে দেখতে যান কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে। আশ্বাস দেন  সব ধরনের সহায়তার।
রবিবার ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতিবন্দী জহুরাকে নিয়ে বেশ কিছু পত্রিকা ও অনলাইন পোটালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে তুলে ধরা হয় প্রতিবন্দী জহুরার জীবন  জীবিকা ও তাঁর বাস্তব চিত্র।
বিষয়টি দৃষ্টি গোচর হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে,র। রবিবার দুপুরে তিনি জহুরাকে দেখতে ছুটে যান কোটচাঁদপুরের সলেমানপুর দাসপাড়ার সড়কের পাশে বসবাস করা ঝুপড়িতে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল মাওয়া,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিলা বেগম ও তথ্য সেবা কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা।
নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন, দুই জন গণমাধ্যম কর্মী সহ জহুরার দেখা- শোনা করা রুমা খাতুনের সঙ্গে।
উল্লেখ্য,প্রতিবন্ধী জহুরা খাতুন (৫৮)। ৩০ বছর আগে স্বামী মারা যায়। এরপর ভিক্ষা বৃত্তি করে মানুষের কাছ থেকে চেয়ে  মেয়েটিকে বড় করেন। এরপর বিয়ে দেন তাকে। গেল ২ বছর আগে সেও মারা যায়। হারিয়ে ফেলে জহুরা শারিরীক শক্তি ও মনোবল। এরপর গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে সে।
ভিক্ষা বৃত্তি ও করতে পারেন না। এ সময় সলেমানপুর দাসপাড়ার ৪ জন নারী পাশে দাড়ান জহুরার। যার মধ্যে রয়েছে রুমা বেগম,রাহেলা বেগম,সাজেদা বেগম ও পারভিনা বেগম। তারা স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে টিন আর বেড়া চেয়ে এনে পরের জায়গায় রাস্তার পাশে থাকার ঝুপড়ি ঘরটি বানিয়ে দেন।
যার মধ্যে বসবাস করেন জহুরা। খাবার আর ওষুধের ব্যবস্থাও করেন তারা। কয়েক দিন ধরে অবিরাম বর্ষণে ডুবে গেছে রাস্তা ঘাট। সেই সাথে পানিতে ডোবার উপক্রম হয়েছে জহুরার ঝুপড়ি।
বিষয়টি নিয়ে ১৬ তারিখের বেশ কয়েকটি পত্রিকা ফলাও করে প্রকাশিত হয় সংবাদটি। এরপর রবিবার তাকে দেখতে যান নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে । আশ্বাস দেন সব ধরনের সহায়তার। তিনি বলেন, জহুরা ও তাঁর ঘরটি আমরা স্বজমিনে  দেখে গেলাম। স্যারের সঙ্গে কথা বলে দেখি ওনার জন্য কি করা যায়। ওই সময় তিনি প্রতিবন্দী জহুরার ঝুপড়িতে আলোর ব্যবস্থাও করতে বলেন সংশ্লিষ্টদের।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিবন্দী জহুরাকে দেখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

আপডেট সময় ০৫:৪০:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিবন্দী জহুরাকে দেখতে যান কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে। আশ্বাস দেন  সব ধরনের সহায়তার।
রবিবার ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতিবন্দী জহুরাকে নিয়ে বেশ কিছু পত্রিকা ও অনলাইন পোটালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে তুলে ধরা হয় প্রতিবন্দী জহুরার জীবন  জীবিকা ও তাঁর বাস্তব চিত্র।
বিষয়টি দৃষ্টি গোচর হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে,র। রবিবার দুপুরে তিনি জহুরাকে দেখতে ছুটে যান কোটচাঁদপুরের সলেমানপুর দাসপাড়ার সড়কের পাশে বসবাস করা ঝুপড়িতে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল মাওয়া,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিলা বেগম ও তথ্য সেবা কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা।
নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন, দুই জন গণমাধ্যম কর্মী সহ জহুরার দেখা- শোনা করা রুমা খাতুনের সঙ্গে।
উল্লেখ্য,প্রতিবন্ধী জহুরা খাতুন (৫৮)। ৩০ বছর আগে স্বামী মারা যায়। এরপর ভিক্ষা বৃত্তি করে মানুষের কাছ থেকে চেয়ে  মেয়েটিকে বড় করেন। এরপর বিয়ে দেন তাকে। গেল ২ বছর আগে সেও মারা যায়। হারিয়ে ফেলে জহুরা শারিরীক শক্তি ও মনোবল। এরপর গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে সে।
ভিক্ষা বৃত্তি ও করতে পারেন না। এ সময় সলেমানপুর দাসপাড়ার ৪ জন নারী পাশে দাড়ান জহুরার। যার মধ্যে রয়েছে রুমা বেগম,রাহেলা বেগম,সাজেদা বেগম ও পারভিনা বেগম। তারা স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে টিন আর বেড়া চেয়ে এনে পরের জায়গায় রাস্তার পাশে থাকার ঝুপড়ি ঘরটি বানিয়ে দেন।
যার মধ্যে বসবাস করেন জহুরা। খাবার আর ওষুধের ব্যবস্থাও করেন তারা। কয়েক দিন ধরে অবিরাম বর্ষণে ডুবে গেছে রাস্তা ঘাট। সেই সাথে পানিতে ডোবার উপক্রম হয়েছে জহুরার ঝুপড়ি।
বিষয়টি নিয়ে ১৬ তারিখের বেশ কয়েকটি পত্রিকা ফলাও করে প্রকাশিত হয় সংবাদটি। এরপর রবিবার তাকে দেখতে যান নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে । আশ্বাস দেন সব ধরনের সহায়তার। তিনি বলেন, জহুরা ও তাঁর ঘরটি আমরা স্বজমিনে  দেখে গেলাম। স্যারের সঙ্গে কথা বলে দেখি ওনার জন্য কি করা যায়। ওই সময় তিনি প্রতিবন্দী জহুরার ঝুপড়িতে আলোর ব্যবস্থাও করতে বলেন সংশ্লিষ্টদের।