ঢাকা ১০:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীমঙ্গল সিরাজনগর দরবার শরীফের আয়োজনে বিশাল জশনে জুলুস

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৫৭:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৯৭ বার পড়া হয়েছে

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে সিরাজনগর দরবার শরীফ এর আয়োজনে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এই বছরও আঞ্জুমানে ছালেকিন বাংলাদেশ ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের উদ্যোগে এই জশনে জুলুস বের করা হয়।

এই জুলুসের নেতৃত্ব দেন হযরতুল আল্লামা ছাহেব কিবলা সিরাজনগরী। ছাহেবজাদা মুফতি শেখ শিব্বির আহমদের পরিচালনায় জশনে জুলুসটি সিরাজনগর দরবার থেকে শুরু হয়ে শ্রীমঙ্গল শহর প্রদক্ষিণ করে শ্রীমঙ্গল জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে মিলিত হয়।

জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় মিলাদুন্নবী (সাঃ)-এর তাৎপর্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন ছাহেব কিবলা সিরাজনগরী ও আঞ্জুমানে ছালেকিন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মুফতি শেখ শিব্বির আহমদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। তাঁরা নবীজীর (সাঃ) জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ থাকার এবং ধর্মীয় ও সামাজিক দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান।

মিলাদ শেষে হযরতুল আল্লামা ছাহেব কিবলা সিরাজনগরী মোনাজাত পরিচালনা করেন, যেখানে নবী মুহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় এবং মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়। মোনাজাতে তিনি বিশ্বের মুসলমানদের শান্তি ও ঐক্যের জন্য দোয়া করেন।
শ্রীমঙ্গল মিছিল শেষে পুনরায় জুলুস আকারে সবাই মৌলভীবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন এবং সাইফুর রহমান অডিটরিয়ামে আরেকটি সমাবেশে মিলিত হন। সেখানে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন এবং তারা ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ)-এর তাৎপর্য ও গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

 

মিলাদুন্নবী (সাঃ) হলো নবীজীর জন্মদিন। ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, নবী মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জন্ম না হলে এই বিশ্ব কায়েনাত সৃষ্টিই হতো না। আল্লাহ তাআলা নবীজীকে মানবজাতির জন্য আশীর্বাদস্বরূপ প্রেরণ করেন। তাঁর মাধ্যমে মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য এবং আল্লাহর বাণী প্রচার করার জন্য পৃথিবীতে পাঠানো হয়। তাই, এই দিনটি শুধু একটি জন্মদিন নয়, এটি মানবতার প্রতি নবীজীর অবদান ও শিক্ষা স্মরণ করার এক বিশেষ উপলক্ষ। আজকের এই দিনটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি প্রিয় নবীজীর (সাঃ) জীবন ও শিক্ষা নিয়ে আমাদের মনে নতুন করে ভাবতে শেখায়। এই জুলুস ও মিলাদ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা নবীজীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করি এবং তাঁর পথনির্দেশনা অনুসরণের প্রতিজ্ঞা করি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

শ্রীমঙ্গল সিরাজনগর দরবার শরীফের আয়োজনে বিশাল জশনে জুলুস

আপডেট সময় ০৯:৫৭:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে সিরাজনগর দরবার শরীফ এর আয়োজনে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এই বছরও আঞ্জুমানে ছালেকিন বাংলাদেশ ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের উদ্যোগে এই জশনে জুলুস বের করা হয়।

এই জুলুসের নেতৃত্ব দেন হযরতুল আল্লামা ছাহেব কিবলা সিরাজনগরী। ছাহেবজাদা মুফতি শেখ শিব্বির আহমদের পরিচালনায় জশনে জুলুসটি সিরাজনগর দরবার থেকে শুরু হয়ে শ্রীমঙ্গল শহর প্রদক্ষিণ করে শ্রীমঙ্গল জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে মিলিত হয়।

জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় মিলাদুন্নবী (সাঃ)-এর তাৎপর্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন ছাহেব কিবলা সিরাজনগরী ও আঞ্জুমানে ছালেকিন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মুফতি শেখ শিব্বির আহমদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। তাঁরা নবীজীর (সাঃ) জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ থাকার এবং ধর্মীয় ও সামাজিক দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান।

মিলাদ শেষে হযরতুল আল্লামা ছাহেব কিবলা সিরাজনগরী মোনাজাত পরিচালনা করেন, যেখানে নবী মুহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় এবং মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়। মোনাজাতে তিনি বিশ্বের মুসলমানদের শান্তি ও ঐক্যের জন্য দোয়া করেন।
শ্রীমঙ্গল মিছিল শেষে পুনরায় জুলুস আকারে সবাই মৌলভীবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন এবং সাইফুর রহমান অডিটরিয়ামে আরেকটি সমাবেশে মিলিত হন। সেখানে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন এবং তারা ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ)-এর তাৎপর্য ও গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

 

মিলাদুন্নবী (সাঃ) হলো নবীজীর জন্মদিন। ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, নবী মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জন্ম না হলে এই বিশ্ব কায়েনাত সৃষ্টিই হতো না। আল্লাহ তাআলা নবীজীকে মানবজাতির জন্য আশীর্বাদস্বরূপ প্রেরণ করেন। তাঁর মাধ্যমে মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য এবং আল্লাহর বাণী প্রচার করার জন্য পৃথিবীতে পাঠানো হয়। তাই, এই দিনটি শুধু একটি জন্মদিন নয়, এটি মানবতার প্রতি নবীজীর অবদান ও শিক্ষা স্মরণ করার এক বিশেষ উপলক্ষ। আজকের এই দিনটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি প্রিয় নবীজীর (সাঃ) জীবন ও শিক্ষা নিয়ে আমাদের মনে নতুন করে ভাবতে শেখায়। এই জুলুস ও মিলাদ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা নবীজীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করি এবং তাঁর পথনির্দেশনা অনুসরণের প্রতিজ্ঞা করি।