ঢাকা ০৩:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফাতেই বাঙালি জাতির মুক্তির বার্তা- কমলগঞ্জের আদমপুরে মহসিন মিয়া মধু মনোনয়ন তালিকায় নেই শিল্পীরা মৌলভীবাজার দেশীয় অ স্ত্র সহ ৫ জন আ ট ক মৌলভীবাজারের চার আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা রোডপারমিট বিহীন ও পুরাতন গাড়ী বন্ধের দাবীতে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলা থেকে খালাস পেলেন সাংবাদিক মশাহিদ মেয়েকে হ/ত্যা করে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন বাবা মায়ের অভিযোগ শ্রেষ্ঠ নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নির্বাচিত হলেন নুশরাত জাহান সংগ্রাম পরিষদের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা ও বিক্ষোভ মিছিল সাংবাদিক ইদ্রিস আলীর উপর পরিকল্পিত হা/ম/লা/র প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ, হা/ম/লাকারীদের গ্রে/প্তা/রের দাবী

কারাগারে যেভাবে দিন কাটছে ব্যারিস্টার সুমনের

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৮১৭ বার পড়া হয়েছে

কারাবন্দি সাবেক সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন পুরোপুরি বদলে গেছেন। তিনি কারাগারে নিয়মিত নামাজ আদায় শুরু করেছেন।
রবিবার ব্যারিস্টার সুমনের দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও চেম্বার পার্টনার আইনজীবী এম লিটন আহমেদ এসব তথ্য জানিয়েছেন। গত ১৫ নভেম্বর কারাগারে গিয়ে ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন এ আইনজীবী।

আইনজীবী লিটন আহমেদ বলেন, ব্যারিস্টার সুমনের জেল জীবনের সঙ্গী হিসেবে আছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্যসচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। এদের দুজনের সঙ্গে একই রুম শেয়ার করতে হয় ব্যারিস্টার সুমনকে।
তিনি বলেন, ব্যারিস্টার সুমন কারাগারে ঘুম থেকে ওঠেন ফজরের আজানের আগে। তিনি এখন নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। সাবেক এমপি হিসেবে জেলে ডিভিশন পেয়েছেন। তবে ব্যারিস্টার সুমন কষ্টে আছেন তার সঙ্গে মোবাইল ফোন না থাকায়। কারণ, আগে সার্বক্ষণিক মোবাইলে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে যেতেন, যা এখন একেবারেই বন্ধ।
ব্যারিস্টার সুমন তার চেম্বার পার্টনারকে আরও বলেন, জেলজীবন কষ্টের, কারণ ঠিক সন্ধ্যা নামার সময় কারা সেলে ঢুকে পড়তে হয়, খাবার খেয়ে নিতে হয়। এটা স্বাভাবিক জীবনে মানা কষ্টের।

সারাদিন কী করেন ব্যারিস্টার সুমন— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, হাঁটাহাঁটি করেন। কখনো সকালে, কখনো বিকেলে। তবে সেখানেও তাকে দেখলে অন্য কয়েদিরা ‘সুমন ভাই’, ‘সুমন ভাই’ ডাক শুরু করেন। এতে কখনো-কখনো বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এ কারণে সেলের বাইরে হাঁটতে কিছুটা বেগ পেতে হয় তাকে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর মিরপুরে যুবদল নেতা ও বাঙালিয়ানা ভোজের সহকারী বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গত ২১ অক্টোবর মধ্যরাতে মিরপুর-৬ এলাকা থেকে ব্যারিস্টার সুমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে গত ২৭ অক্টোবর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই বাবুর্চি হৃদয় জুমার নামাজ আদায় করে মিরপুর-১০ নম্বরে সমাবেশে যান। সেখানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। তারা ককটেল ও বোমা নিক্ষেপ করে এবং গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন হৃদয়।

আহত হৃদয় হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ১০ নম্বর হাতিয়াইন ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি। এ ঘটনায় তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার ৩ নম্বর আসামি ব্যারিস্টার সুমন।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কারাগারে যেভাবে দিন কাটছে ব্যারিস্টার সুমনের

আপডেট সময় ০৬:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

কারাবন্দি সাবেক সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন পুরোপুরি বদলে গেছেন। তিনি কারাগারে নিয়মিত নামাজ আদায় শুরু করেছেন।
রবিবার ব্যারিস্টার সুমনের দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও চেম্বার পার্টনার আইনজীবী এম লিটন আহমেদ এসব তথ্য জানিয়েছেন। গত ১৫ নভেম্বর কারাগারে গিয়ে ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন এ আইনজীবী।

আইনজীবী লিটন আহমেদ বলেন, ব্যারিস্টার সুমনের জেল জীবনের সঙ্গী হিসেবে আছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্যসচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। এদের দুজনের সঙ্গে একই রুম শেয়ার করতে হয় ব্যারিস্টার সুমনকে।
তিনি বলেন, ব্যারিস্টার সুমন কারাগারে ঘুম থেকে ওঠেন ফজরের আজানের আগে। তিনি এখন নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। সাবেক এমপি হিসেবে জেলে ডিভিশন পেয়েছেন। তবে ব্যারিস্টার সুমন কষ্টে আছেন তার সঙ্গে মোবাইল ফোন না থাকায়। কারণ, আগে সার্বক্ষণিক মোবাইলে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে যেতেন, যা এখন একেবারেই বন্ধ।
ব্যারিস্টার সুমন তার চেম্বার পার্টনারকে আরও বলেন, জেলজীবন কষ্টের, কারণ ঠিক সন্ধ্যা নামার সময় কারা সেলে ঢুকে পড়তে হয়, খাবার খেয়ে নিতে হয়। এটা স্বাভাবিক জীবনে মানা কষ্টের।

সারাদিন কী করেন ব্যারিস্টার সুমন— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, হাঁটাহাঁটি করেন। কখনো সকালে, কখনো বিকেলে। তবে সেখানেও তাকে দেখলে অন্য কয়েদিরা ‘সুমন ভাই’, ‘সুমন ভাই’ ডাক শুরু করেন। এতে কখনো-কখনো বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এ কারণে সেলের বাইরে হাঁটতে কিছুটা বেগ পেতে হয় তাকে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর মিরপুরে যুবদল নেতা ও বাঙালিয়ানা ভোজের সহকারী বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গত ২১ অক্টোবর মধ্যরাতে মিরপুর-৬ এলাকা থেকে ব্যারিস্টার সুমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে গত ২৭ অক্টোবর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই বাবুর্চি হৃদয় জুমার নামাজ আদায় করে মিরপুর-১০ নম্বরে সমাবেশে যান। সেখানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। তারা ককটেল ও বোমা নিক্ষেপ করে এবং গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন হৃদয়।

আহত হৃদয় হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ১০ নম্বর হাতিয়াইন ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি। এ ঘটনায় তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার ৩ নম্বর আসামি ব্যারিস্টার সুমন।