ঢাকা ১০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
উলুয়াইল ইসলামিয়া আলিম মাদরাসায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন জুড়ীর ফুলতলা ইউপি চেয়ারম্যান গ্রে/ফ/তা/র মৌলভীবাজারে ডিবির অভিযানে ৭৩ লক্ষাধিক টাকার চোরাই প্রসাধনী জব্দ, আটক-১ মনূনদীতে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ মছব্বির বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের কমলগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন পুবালি ব্যাংকের ৭৩৩তম সিআরএম বুথ উদ্বোধন শেখ হাসিনা ছিল গুন্ডাদের হেডকোয়ার্টার বিএনপির জাতীয় নির্বাহি কমিটির সদস্য সাবেক এমপি এম নাসের রহমান মৌলভীবাজার সদর থানায় চোরাই যাওয়া ৬টি সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার, একজন আটক শুভ উদ্বোধন শুভ উদ্বোধন – (মেলা মেলা মেলা ~ VIVO ফোন এর মেলা মৌলভীবাজারে জামায়াতের বিশাল গণ মিছিল। ফ্যাসিস্টদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে

তিন স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:২৫:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৬০১ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ সিলেটের তিন স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ সিলেটের তিনটি স্টেশন দিয়ে ভারতের সাথে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। এতে তিনটি স্টেশনেই দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। সীমান্তের দুইপাড়ে আটকা পড়েছে কয়েকশ’ পণ্যবাহী ট্রাক। ভারতীয়দের বাধার মুখে শেওলা স্থলবন্দর ও জকিগঞ্জ শুল্কস্টেশন দিয়ে বন্ধ রয়েছে পণ্য আমদানি-রফতানি।

 

অন্যদিকে, শুল্কায়ন জটিলতায় তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। জটিলতা নিরসনে উভয় দেশের সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।

আমদানিকারক সূত্র জানায়, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথিত অভিযোগ ও ইসকন থেকে বহিস্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের দাবিতে গত রবিবার ভারতের করিমগঞ্জ জেলার সুতারকান্দি শুল্ক স্টেশনে মিছিল নিয়ে জড়ো হন কয়েকশ’ লোক। তারা সীমান্ত এলাকায় বিক্ষোভ করেন। পরে ভারতীয় বিক্ষোভকারীরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে সুতারকান্দি শুল্ক স্টেশন দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যায়।

 

একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় ভারতের করিমগঞ্জ শুল্ক স্টেশনে। ফলে রবিবার থেকে ওই স্টেশন দিয়েও আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়। এদিকে, পণ্য পরিমাপ সংক্রান্ত জটিলতায় একই দিন থেকে ভারতের ডাউকি বর্ডার দিয়ে পাথর-চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।  সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক পরিচালক এবং পাথর আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি আতিক হোসেন জানান, ইসকন ইস্যূতে ভারতের সুতারকান্দি ও করিমগঞ্জ বর্ডার দিয়ে সবধরণের আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। ভারতীয় লোকজনের বাঁধার মুখে ভারত থেকে বাংলাদেশে কিংবা বাংলাদেশ থেকে ভারতে কোন পণ্যবাহী গাড়ি ঢুকতে পারছে না।

 

তিনি জানান, গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারতের সুতারকান্দিতে পাথরসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী অন্তত ২০০ ট্রাক এবং এপারে শেওলা শুল্ক স্টেশনে অর্ধশতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে। এছাড়া সিলেটের জকিগঞ্জের ওপারে ভারতের করিমগঞ্জে আটকা পড়েছে ফল ও কাঁচামালবোঝাই অর্ধশতাধিক ট্রাক। পণ্য খালাস না হওয়ায় ট্রাকে ফলসহ কাঁচামাল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 

সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরে পণ্য পরিমাপ নিয়ে অসন্তোষের জের ধরে পণ্য আমদানি বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, সিলেটের তামাবিল ও শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে যে পাথর আমদানি করা হয়, তা সরাসরি খনি থেকে ট্রাকে লোড করা হয়। ফলে পাথরের সাথে মাটি ও বালি মিশ্রিত থাকে।

 

আগে শুল্কায়নের পূর্বে বন্দর কর্তৃপক্ষ মাটি ও বালির ওজন বাদ দিয়ে পাথরের ওজন নির্ণয় করতেন। কিন্তু বর্তমানে স্থলবন্দরের নতুন কর্মকর্তারা মাটি ও বালির ওজন ছাড় না দেওয়ায় লোকসানের হাত থেকে বাঁচতে ব্যবসায়ীরা আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে তামাবিল স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের ডাউকিতে পাথর ও চুনাপাথর বোঝাই তিন শতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে।

 

আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, বর্ডারে পণ্য আটকা পড়ায় ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রতিদিনই আমদানিকারকদের ব্যাংক ঋণের সুদ গুনতে হচ্ছে। এছাড়া পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ থাকায় লোড-আনালোড এবং স্থানীয় পাথরভাঙার কলগুলোর হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

তিন স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ

আপডেট সময় ০২:২৫:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ সিলেটের তিন স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ সিলেটের তিনটি স্টেশন দিয়ে ভারতের সাথে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। এতে তিনটি স্টেশনেই দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। সীমান্তের দুইপাড়ে আটকা পড়েছে কয়েকশ’ পণ্যবাহী ট্রাক। ভারতীয়দের বাধার মুখে শেওলা স্থলবন্দর ও জকিগঞ্জ শুল্কস্টেশন দিয়ে বন্ধ রয়েছে পণ্য আমদানি-রফতানি।

 

অন্যদিকে, শুল্কায়ন জটিলতায় তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। জটিলতা নিরসনে উভয় দেশের সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।

আমদানিকারক সূত্র জানায়, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথিত অভিযোগ ও ইসকন থেকে বহিস্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের দাবিতে গত রবিবার ভারতের করিমগঞ্জ জেলার সুতারকান্দি শুল্ক স্টেশনে মিছিল নিয়ে জড়ো হন কয়েকশ’ লোক। তারা সীমান্ত এলাকায় বিক্ষোভ করেন। পরে ভারতীয় বিক্ষোভকারীরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে সুতারকান্দি শুল্ক স্টেশন দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যায়।

 

একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় ভারতের করিমগঞ্জ শুল্ক স্টেশনে। ফলে রবিবার থেকে ওই স্টেশন দিয়েও আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়। এদিকে, পণ্য পরিমাপ সংক্রান্ত জটিলতায় একই দিন থেকে ভারতের ডাউকি বর্ডার দিয়ে পাথর-চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।  সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক পরিচালক এবং পাথর আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি আতিক হোসেন জানান, ইসকন ইস্যূতে ভারতের সুতারকান্দি ও করিমগঞ্জ বর্ডার দিয়ে সবধরণের আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। ভারতীয় লোকজনের বাঁধার মুখে ভারত থেকে বাংলাদেশে কিংবা বাংলাদেশ থেকে ভারতে কোন পণ্যবাহী গাড়ি ঢুকতে পারছে না।

 

তিনি জানান, গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারতের সুতারকান্দিতে পাথরসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী অন্তত ২০০ ট্রাক এবং এপারে শেওলা শুল্ক স্টেশনে অর্ধশতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে। এছাড়া সিলেটের জকিগঞ্জের ওপারে ভারতের করিমগঞ্জে আটকা পড়েছে ফল ও কাঁচামালবোঝাই অর্ধশতাধিক ট্রাক। পণ্য খালাস না হওয়ায় ট্রাকে ফলসহ কাঁচামাল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 

সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরে পণ্য পরিমাপ নিয়ে অসন্তোষের জের ধরে পণ্য আমদানি বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, সিলেটের তামাবিল ও শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে যে পাথর আমদানি করা হয়, তা সরাসরি খনি থেকে ট্রাকে লোড করা হয়। ফলে পাথরের সাথে মাটি ও বালি মিশ্রিত থাকে।

 

আগে শুল্কায়নের পূর্বে বন্দর কর্তৃপক্ষ মাটি ও বালির ওজন বাদ দিয়ে পাথরের ওজন নির্ণয় করতেন। কিন্তু বর্তমানে স্থলবন্দরের নতুন কর্মকর্তারা মাটি ও বালির ওজন ছাড় না দেওয়ায় লোকসানের হাত থেকে বাঁচতে ব্যবসায়ীরা আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে তামাবিল স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের ডাউকিতে পাথর ও চুনাপাথর বোঝাই তিন শতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে।

 

আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, বর্ডারে পণ্য আটকা পড়ায় ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রতিদিনই আমদানিকারকদের ব্যাংক ঋণের সুদ গুনতে হচ্ছে। এছাড়া পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ থাকায় লোড-আনালোড এবং স্থানীয় পাথরভাঙার কলগুলোর হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।