ঢাকা ০২:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
বড়লেখায় সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি গ্রে ফ তা র সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদ, যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি সাইদুর রহমান সাধারণ সম্পাদক অদুদ আলম বড়লেখায় নারী শিক্ষা কলেজে অভিভাবক নির্বাচন: বিএনপি পেল ২,জামায়াত -১ বড়লেখায় গ্রেফতার -২ লুটকৃত মোবাইল ও নগদ অর্থ উদ্ধার আনন্দ মিছিল ও মোটরসাইকেল র‍্যালির মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করলো ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ মৌলভীবাজার জেলা বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের হাসপাতাল ও একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর চা বাগান লেক থেকে বৃদ্ধার লা/শ উ/দ্ধা/র অজগর সাপকে পিটিয়ে হত্যা ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী মৌলভীবাজারে মৎস্যজীবী দলের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত জুড়ীতে দক্ষিণ বড়ধামাইয়ের একমাত্র সড়ক এখন মরণফাঁদ — দুর্ভোগে শতাধিক পরিবা

কোটচাঁদপুর আওয়ামীলীগ অফিসে হামলা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৫২:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জুলাই ২০২২
  • / ৬১৮ বার পড়া হয়েছে
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ আওয়ামীলীগ অফিসে হামলার ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে কোটচাঁদপুর থানায় অভিযোগ করেছেন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম (মোল্লা)।
সোমবার দুপুরে ওই অভিযোগ করেন তিনি। তবে বিষয়টি জানেন না থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জগন্নাথ চন্দ্র।
ভুক্তভোগী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম মোংল্লা বলেন,ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুর উপজেলার  কুশনা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের হরিন্দীয়া  বাজারে অবস্থিত আওয়ামী অফিস। গেল ১০ জুলাই রাত ৮ টার দিকে সাবেক এমপি গ্রুপের নেতা ইসরাইল হোসেন সহ জামাত বিএনপির প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মীরা ওই অফিসে হামলা চালায়।
এ সময় তারা অফিসের সামনে থাকা বিলবোর্ড ভাংচুর করেন। অফিসের দরজা বন্ধ করে দেয়ায়  তাদের হামলার হাত থেকে রেহাই পান ওই অফিসে থাকা নেতা-কর্মীরা।
বিষয়টি ওই রাতেই সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কে জানানো হয়। তবে রাত হয়ে যাওয়ায় ওইদিন থানায় অভিযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে সোমবার দুপুরে কোটচাঁদপুর থানায় অভিযোগ করা হয়। ওই অভিযোগে ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরো ২০ জনকে।
অভিযুক্তরা হলেন,আওয়ামীলীগ নেতা ইসরাইল হোসেন,লাবলু রহমান ,রোকন উদ্দিন,আব্দুল্লা ও অমেদুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগ নেতা ইসরাইল হোসেন বলেন, সম্প্রতি স্থানীয় কয়েক জন মসজিদে পিকনিক করে খাওয়া দাওয়া করেন। ওই ঘটনার জেরে তারা মসজিদের মোয়াজিনকে ক্লাবে ডেকে হুমকি-ধামকি দেন। এ ছাড়া গুজব ওঠে মোয়াজিনকে আটকিয়ে রাখার কথা। বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়ে এলাকায়। এতে করে তাদের বিরুদ্ধে ফুসে ওঠেন স্থানীয়রা।
পরে ওই অফিসে  মোয়াজিন নাই জানতে পেরে সবাই ফিরে আসেন। ওখানে কোন ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আজগর আলী জানান, ওই ঘটনায় একটা অভিযোগ পেয়েছি। তবে তদন্ত শুরু করা হয়নি। আজ (মঙ্গলবার)  বিকালে তদন্তে যাওয়া হবে। আর তদন্ত শেষে বলা সম্ভব হবে প্রকৃত ঘটনাটি কি ঘটেছিল।
তবে এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক( তদন্ত) জগন্নাথ চন্দ্র। তিনি বলেন,এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা জানতাম না। এই প্রথম আপনাদের কাছ থেকে শুনতে পেলাম।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কোটচাঁদপুর আওয়ামীলীগ অফিসে হামলা

আপডেট সময় ১০:৫২:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জুলাই ২০২২
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ আওয়ামীলীগ অফিসে হামলার ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে কোটচাঁদপুর থানায় অভিযোগ করেছেন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম (মোল্লা)।
সোমবার দুপুরে ওই অভিযোগ করেন তিনি। তবে বিষয়টি জানেন না থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জগন্নাথ চন্দ্র।
ভুক্তভোগী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম মোংল্লা বলেন,ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুর উপজেলার  কুশনা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের হরিন্দীয়া  বাজারে অবস্থিত আওয়ামী অফিস। গেল ১০ জুলাই রাত ৮ টার দিকে সাবেক এমপি গ্রুপের নেতা ইসরাইল হোসেন সহ জামাত বিএনপির প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মীরা ওই অফিসে হামলা চালায়।
এ সময় তারা অফিসের সামনে থাকা বিলবোর্ড ভাংচুর করেন। অফিসের দরজা বন্ধ করে দেয়ায়  তাদের হামলার হাত থেকে রেহাই পান ওই অফিসে থাকা নেতা-কর্মীরা।
বিষয়টি ওই রাতেই সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কে জানানো হয়। তবে রাত হয়ে যাওয়ায় ওইদিন থানায় অভিযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে সোমবার দুপুরে কোটচাঁদপুর থানায় অভিযোগ করা হয়। ওই অভিযোগে ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরো ২০ জনকে।
অভিযুক্তরা হলেন,আওয়ামীলীগ নেতা ইসরাইল হোসেন,লাবলু রহমান ,রোকন উদ্দিন,আব্দুল্লা ও অমেদুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগ নেতা ইসরাইল হোসেন বলেন, সম্প্রতি স্থানীয় কয়েক জন মসজিদে পিকনিক করে খাওয়া দাওয়া করেন। ওই ঘটনার জেরে তারা মসজিদের মোয়াজিনকে ক্লাবে ডেকে হুমকি-ধামকি দেন। এ ছাড়া গুজব ওঠে মোয়াজিনকে আটকিয়ে রাখার কথা। বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়ে এলাকায়। এতে করে তাদের বিরুদ্ধে ফুসে ওঠেন স্থানীয়রা।
পরে ওই অফিসে  মোয়াজিন নাই জানতে পেরে সবাই ফিরে আসেন। ওখানে কোন ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আজগর আলী জানান, ওই ঘটনায় একটা অভিযোগ পেয়েছি। তবে তদন্ত শুরু করা হয়নি। আজ (মঙ্গলবার)  বিকালে তদন্তে যাওয়া হবে। আর তদন্ত শেষে বলা সম্ভব হবে প্রকৃত ঘটনাটি কি ঘটেছিল।
তবে এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক( তদন্ত) জগন্নাথ চন্দ্র। তিনি বলেন,এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা জানতাম না। এই প্রথম আপনাদের কাছ থেকে শুনতে পেলাম।