ঢাকা ১০:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোবাইল চুরির অপবাদ সইতে না পেরে তরুণের আ*ত্ম*হ*ত্যা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:০৮:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১৫০ বার পড়া হয়েছে

কুলাউড়া প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মোবাইল চুরির অপবাদ সইতে না পেরে মো. মুজাহিদুর রহমান (২২) নামে এক তরুণ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের পূর্ব ফটিগুলি গ্রামের নিজবাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মুজাহিদ ওই গ্রামের মো. ইরা মিয়ার ছেলে।

মুজাহিদের পরিবার ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বুধবার রাত ১০টার দিকে পূর্ব ফটিগুলির স্থানীয় বাজারের একটি দোকানে মোবাইলের রিচার্জ কার্ড কিনতে যান মুজাহিদ। সেখানে বাবুল মিয়াসহ আরও কয়েকজন ক্রেতা ছিলেন।

এ সময় বাবুলের মুঠোফোনটি হারিয়ে গেলে সবাই মুজাহিদকে দোষারোপ করে তার গালে চড়-থাপ্পড় মারেন এবং তার পরিবারকে খবর দেন। অবশ্য কিছুক্ষণ পর মুঠোফোনটি পাওয়া যায়।

পরে পরিবারের লোকজন দোকানে গিয়ে মুজাহিদকে মুক্ত করে বাড়িতে নিয়ে যান। এ ঘটনায় মুজাহিদ মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। রাতে পরিবারের অজান্তে ঘুমানোর কোনো একসময় চুরির অপবাদ সইতে না পেয়ে মুজাহিদ বসতঘরের তীরের সাথে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম আপছার বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মোবাইল চুরির অপবাদ সইতে না পেরে তরুণের আ*ত্ম*হ*ত্যা

আপডেট সময় ০৬:০৮:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

কুলাউড়া প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মোবাইল চুরির অপবাদ সইতে না পেরে মো. মুজাহিদুর রহমান (২২) নামে এক তরুণ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের পূর্ব ফটিগুলি গ্রামের নিজবাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মুজাহিদ ওই গ্রামের মো. ইরা মিয়ার ছেলে।

মুজাহিদের পরিবার ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বুধবার রাত ১০টার দিকে পূর্ব ফটিগুলির স্থানীয় বাজারের একটি দোকানে মোবাইলের রিচার্জ কার্ড কিনতে যান মুজাহিদ। সেখানে বাবুল মিয়াসহ আরও কয়েকজন ক্রেতা ছিলেন।

এ সময় বাবুলের মুঠোফোনটি হারিয়ে গেলে সবাই মুজাহিদকে দোষারোপ করে তার গালে চড়-থাপ্পড় মারেন এবং তার পরিবারকে খবর দেন। অবশ্য কিছুক্ষণ পর মুঠোফোনটি পাওয়া যায়।

পরে পরিবারের লোকজন দোকানে গিয়ে মুজাহিদকে মুক্ত করে বাড়িতে নিয়ে যান। এ ঘটনায় মুজাহিদ মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। রাতে পরিবারের অজান্তে ঘুমানোর কোনো একসময় চুরির অপবাদ সইতে না পেয়ে মুজাহিদ বসতঘরের তীরের সাথে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম আপছার বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।