ঢাকা ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
যদি সৎ নেতৃত্ব আসে তাহলে পাঁচ বছরে দেশ বদলে যাবে : ডা: শফিকুর রহমান পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে মৌলভীবাজার২৪ ডট কমের সম্পাদকের শুভেচ্ছা সম্মানিত সিলেট বিভাগীয় প্রবাসী ঐক্য পরিষদের ঈদ পূণমিলনী” জাতিকে সঠিক পথে পরিচালনার সক্ষমতা যাদের রয়েছে, তারা হলেন আলিম-উলামা – ডাঃ শফিকুর রহমান মৌলভীবাজার সড়ক দুর্ঘটনায় নি হ ত ২ আ হ ত ১ মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে ছাত্রশিবিরের কোরবানির মাংস বিতরণ নিজ গ্ৰামে আমীরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমানের ঈদুল আজহা উদযাপন মৌলভীবাজার পৌর ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত জুড়ীতে বন্যার পানিতে পড়ে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃ ত্যু এপ্রিলের প্রথমার্ধে যেকোনো দিন নির্বাচন -প্রধান উপদেষ্টা

যুবদল নেতাকে ছু রি কা ঘা তে খু ন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:২৩:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১০০৫ বার পড়া হয়েছে

বড়লেখা প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ছুরিকাঘাতে নোমান আহমদ (৩৮) নামের এক যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন।

 

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার বাড্ডা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নোমান উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের রাঙ্গিনগর গ্রামের লেচু মিয়ার ছেলে।

 

নিহত নোমান সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রবিবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস শহীদ। তিনি বলেন, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নোমান বাড্ডা বাজারে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় হঠাৎ দুই যুবক এসে নোমানের বুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যান। পরে নোমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কী কারণে নোমানকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।

ইউপি সদস্য শহীদ আরও বলেন, ঘটনার পর অভিযুক্ত দুই যুবক পালিয়ে গেছে। তবে তাদের নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। তারা হলেন- সুজানগর ইউনিয়নের দশঘরি গ্রামের সবির মিয়ার ছেলে মারজান আহমদ ও কালাইউরা গ্রামের আব্দুস শহীদের ছেলে রেহান আহমদ।

সুজানগর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সাবুল আহমদ বলেন, সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের নেতা নোমান আহমদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে মারজান আহমদ গং। নোমান দীর্ঘদিন ধরে যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাঁর এমন মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

 

বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রাতেই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নোমানকে অভিযুক্তরা ছুরিকাঘাত করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এছাড়া হত্যার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি-না সেটি নিয়েও তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

যুবদল নেতাকে ছু রি কা ঘা তে খু ন

আপডেট সময় ১২:২৩:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

বড়লেখা প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ছুরিকাঘাতে নোমান আহমদ (৩৮) নামের এক যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন।

 

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার বাড্ডা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নোমান উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের রাঙ্গিনগর গ্রামের লেচু মিয়ার ছেলে।

 

নিহত নোমান সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রবিবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস শহীদ। তিনি বলেন, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নোমান বাড্ডা বাজারে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় হঠাৎ দুই যুবক এসে নোমানের বুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যান। পরে নোমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কী কারণে নোমানকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।

ইউপি সদস্য শহীদ আরও বলেন, ঘটনার পর অভিযুক্ত দুই যুবক পালিয়ে গেছে। তবে তাদের নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। তারা হলেন- সুজানগর ইউনিয়নের দশঘরি গ্রামের সবির মিয়ার ছেলে মারজান আহমদ ও কালাইউরা গ্রামের আব্দুস শহীদের ছেলে রেহান আহমদ।

সুজানগর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সাবুল আহমদ বলেন, সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের নেতা নোমান আহমদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে মারজান আহমদ গং। নোমান দীর্ঘদিন ধরে যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাঁর এমন মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

 

বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রাতেই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নোমানকে অভিযুক্তরা ছুরিকাঘাত করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এছাড়া হত্যার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি-না সেটি নিয়েও তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।