এম ইদ্রিস আলীঃ  বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির (সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ জি কে গউস বলেছেন,এই দলকানা ফ্যাসিস্ট স্বৈরশাসকের দলীয়করণের মধ্য দিয়ে খেলার মাঠ থেকে মসজিদ পর্যন্ত এমন কোন জায়গা ছিল না যেখানে দলীয় করণ ছিল না। এখন সেই স্বৈরাচার হাসিনার যুগের অবসান ঘটেছে।

সারা বাংলাদেশে গ্রামে গ্রামে ইউনিয়নে ইউনিয়নে উপজেলা জেলা পর্যায়ে বিভাগীয় শহরে আমাদের এই তরুণ সমাজকে মাঠমুখি করার জন্য বিভিন্ন ক্লাব সংগঠন এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৫ আগস্টের সফল বিপ্লবের পরে সারা বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে প্রশমিত করার জন্য আমাদের যুবসমাজকে মাদক এবং বখাটেপনা থেকে বিরত রাখার জন্য দলীয়ভাবে খেলাধুলাকে উৎসাহিত করে যাচ্ছেন। দলীয় ব্যানারে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টূর্নামেন্ট, শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ফুটবল টূর্নামেন্ট সারাদেশে জেলা উপজেলায় আয়োজন করে তিনি পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছেন।

গউস বলেন,আমাদের প্রজন্ম কে যদি ভালো রাখতে হয়, এই ছাত্র সমাজ তরুণ সমাজকে অবশ্যই মাদক থেকে মুক্ত রাখতে হলে খেলা ধুলার বিকল্প নেই। তিনি আরও বলেন- দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসার জন্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। বিএনপি প্রত্যাশা করছে, অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার জনগণের ম্যান্ডেটদ্বারা একটি গনতান্ত্রিক সরকার উপহার দিবেন। সেই নির্বাচনে আমাদের যুব সমাজ দেশের কল্যাণে দেশের মানুষের শান্তির জন্য তারেক রহমানের নেতৃত্বের সহযোগী হবেন।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বড়লেখা উপজেলায় সুজানগর ইউনিয়নে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ফুটবল টূর্নামেন্টে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান বলেন, গ্রামবাংলার এই ফুটবল খেলা অনেকটা হারিয়ে গিয়েছিল। ফ্যাসিস্ট স্বৈরশাসক হাসিনা দেশে ছেড়ে পালিয়ে যাবার পর মৌলভীবাজার জেলায় বিভিন্ন উপজেলায় ইউনিয়নে ফুটবল টুর্ণামেন্ট আয়োজন করেছে। কিন্তু আগে কখনো দেখিনি।

তিনি আরও বলেন,স্বৈরাচার হাসিনা সরকার মানুষের অধিকার এতোটাই হরণ করেছিল যে তারা আমাদের নেতাকর্মীদের ভাষা দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দিতে পর্যন্ত দেয়নি। আমরা যে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবো সেই সুযোগটিও পাইনি। যদি কোন নেতাকর্মী আসতো তাহলে তাদের মেরে বের করে দেওয়া হতো।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশে বিএনপিসহ সকল গণতন্ত্রকামী দলগুলো যখন প্রতিবাদমুখর হয়ে রাজপথে সরব ছিল তখন অত্যাচারী সরকার ও স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দিয়ে আমাদের ৫০ লক্ষাধিক নেতাকর্মী আসামী করেছিল।

হাজার হাজার ক্রীড়ামোদি দর্শকদের উপস্থিতিতে বড়লেখা সুজানগর ইউনিয়ন খেলোয়ার কল্যাণ সমিতির আয়োজনে ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির (সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ জি কে গউস, বিশেষ অতিথি ছিলেন,বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান,জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন,জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য নাসির উদ্দিন মিঠু,বকসী মিসবাউর রহমান,আব্দুল হাফিজ,জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্ঠা শরীফুল হক সাজু,জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এম এ মেহিত ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান।