জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি মৌলভীবাজার পৌর শাখা’র ৮নং ও ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি গঠন করার লক্ষ্যে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মৌলভীবাজার পৌর বিএনপি আহবায়ক কমিটি’র (স্বাক্ষর ক্ষমতাপ্রাপ্ত) যুগ্ম আহবায়ক, মৌলভীবাজার পৌর বিএনপি’র সদ্য সাবেক সদস্য সচিব ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটি’র সদস্য ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র সদ্য সাবেক অর্থ সম্পাদক মনোয়ার আহমেদ রহমান এর সভাপতিত্বে এবং মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটি ও মৌলভীবাজার পৌর বিএনপি আহবায়ক কমিটি’র সদস্য মাহবুব ইজদানী ইমরান এর সঞ্চালনায়

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটি’র সদস্য মতিন বকস্।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটি’র সদস্য আবুল কালাম বেলাল, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটি’র সদস্য ও মৌলভীবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি এবং সাবেক পৌর কাউন্সিলর স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটি ও মৌলভীবাজার পৌর বিএনপি আহবায়ক কমিটি’র সদস্য এবং সাবেক পৌর কাউন্সিলর আনিছুজ্জামান বায়েছ, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটি’র সদস্য ও মৌলভীবাজার জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট বকশী জুবের আহমদ, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটি’র সদস্য ও মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সেলিম মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, মৌলভীবাজার পৌর বিএনপি ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি গোলাম রব্বানী, মৌলভীবাজার পৌর বিএনপি ৮নং ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক সভাপতি আবুল কালাম প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মতিন বকস্‌ বলেন- স্বৈরাচারী হাসিনা’র জুলুমের ইতিহাস সাতদিন-সাতরাত বললেও শেষ হবে না। আল্লাহ তায়া’লার অশেষ রহমতে বিগত দিনে বিএনপি সহ গণতান্ত্রিক দলগুলোর আন্দোলন এবং ছাত্র-জনতার ইস্পাত কঠিন আন্দোলনের মাধ্যমে এই গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্টের হাত থেকে রক্ষা করছেন। চারিদিকে নৈরাজ্য আর ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল শেখ হাসিনা। বিনা ভোটে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য হাসিনা বিএনপি সহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের মিথ্যা-বানোয়াট, গায়েবি মামলা দিয়ে জেলে রেখেছিল। কিন্তু এদেশের গণমানুষ স্বৈরাচারীর পাপের মসনদ তছনছ করে দিয়েছে। ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা হরনকারী কারো স্থান এই বাংলাদেশে হবে না। অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আমরা দ্যার্থহীন ভাষায় বলতে চাই- আওয়ামী এবং তাঁর দোসরদের চক্রান্ত কিন্তু থেমে নেই, এই আওয়ামী ফেরাউন-এজিদের বংশধর। এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিন। এই মুহূর্তে নির্বাচিত সরকারের খুব বেশি প্রয়োজন। নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা সহ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার জন্য আমি আবার অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রতি আহবান করছি।

বিশেষ অতিথি আবুল কালাম বেলাল বক্তব্যে বলেন- বিগত ১৬ বছর বিএনপি ও গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির বহু ত্যাগ তিতিক্ষার ফল ৫ আগস্ট। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসররা শুধু এদেশের ক্ষমতা থেকে নয় এই দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছেন। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়। কিন্তু লড়াই এখনও শেষ হয় নি। সেই আওয়ামীলীগের প্রেতাত্মা-দোসরদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। কোথায় লড়াই করছি! আমরা আমাদের দলের মধ্যে লড়াই করছি। দলের নিবেদিত প্রাণ তৃণমূলের নেতাকর্মী সহ আমরা মর্মাহত।

বিশেষ অতিথি স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী বক্তব্যে বলেন- মৌলভীবাজার জেলা বিএনপিতে রুচির যে দূর্ভিক্ষ চলছে তা সত্যি অবাক হওয়ার বিষয়। যাঁরা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে হামলা-মামলার শিকার হয়েছে তাদেরকে অবমূল্যায়ন করে স্বৈরাচারের দোসরদের পূর্ণবাসন করার পায়তারা করা হচ্ছে। যাঁরা বিএনপিকে নিজেদের মিরাসদারী মনে করছেন তাঁদেরকে হুশিয়ার করছি- ভুলেও এই পথে পা বাড়াবেন না। বিএনপি কারো মিরাসদারী না, বিএনপি এদেশের গণমানুষের দল। স্বৈরাচারের সকল অত্যাচার সহ্য করে আমরা এখনও এই দলের সাথে আছি।

বিশেষ অতিথি আনিছুজ্জামান বায়েছ বক্তব্যে বলেন- পতিত স্বৈরাচারের লেলিয়ে দেয়া গুন্ডা বাহিনী বিগত ১৬ বছর বিএনপি সহ গণতন্ত্রকামী দলের নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে হানা দিয়েছে। আজকে উনারা কোথায়? দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে রেখে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছেন। ইতিহাস কখনোই উনাদের ক্ষমা করবে না।

সভাপতির বক্তব্যে মনোয়ার আহমেদ রহমান বলেন- গত ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা’র ভয়ে বিএনপি দলীয় পরিচয় দিতে ভয় পেতেন, অন্য পেশাদার লোক বলে নিজেকে পরিচয় দিতেন, উনারা কি করে পৌর বিএনপিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান পান? আর যাঁরা রাজপথে অকুতোভয় সৈনিকের মতো স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করেছেন, বিভিন্নভাবে নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন, হামলা-মামলা এমনকি নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লোকসান করেও দলের কর্মসূচী থেকে পিছপা হন নি সেই সকল ত্যাগি নেতৃবৃন্দেরকে বাদ দিয়ে মৌলভীবাজার পৌর বিএনপি’র কোন কমিটি মেনে নেওয়া হবে না। আওয়ামী দোসরদের পূর্ণবাসন করে যাঁরা নিজের পকেট ভারী করার পায়তারা করছেন তাঁদেরকে হুশিয়া করে বলছি- আওয়ামী দোসরদের পূর্ণবাসন করে আর নিজ দলের নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করে আর যাই হোক নিজেকে নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তি দাবি করা যায় না। এখনও সময় আছে নিজেকে সংশোধন করুন আর না হলে ইতিহাস আপনাদের কখনোই ক্ষমা করবে না। আজকে অনেকেই বড় নেতা হয়ে গেছেন, নিজেকে সংশোধন করুন। আন্দোলন-সংগ্রামের সময় আপনারা কোথায় ছিলেন? নিজেকে নিরাপদ রাখতে বিদেশে পালিয়েছিলেন। দ্যার্থহীন ভাষায় বলবো- বিদেশে পালিয়ে যাওয়া নেতাদের পাসপোর্ট চেক করুন, তাহলেই বুঝা যাবে কারা কারা আন্দোলন সংগ্রামে নিজেকে জড়িত রেখেছিলেন। পরিশেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করেন।

আরো উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ১ম যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আব্দুল হান্নান, মৌলভীবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাজ্জাদ আহমেদ শাহান, মৌলভীবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মামুনুর রশীদ, সাবেক ছাত্রনেতা সজ্জাদ আহমেদ, মৌলভীবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এবং মৌলভীবাজার পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শামসুল ইসলাম, সাগর আহমেদ, সোয়েব আহমেদ, শাহ মাহফুজুর রহমান, যুবনেতা জহিরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ খসরু, যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ নাহিদ।

৮নং ওয়ার্ডে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন
সৈয়দ শিহাব আহমেদ, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজাদ, সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নান, সদ্য সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

৬নং ওয়ার্ডে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সাবেক রেঞ্জার আব্দুল গণি, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র সাবেক প্রচার সম্পাদক লোকমান হোসেন, ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সদ্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুহিবুল হাসান, বিএনপি নেতা আবুল কালাম, আজিজুর রহমান প্রমুখ।