ঢাকা ১১:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
কমলগঞ্জে এক যাতায়াতের রাস্তায় চলাচলে প্রতিবন্ধিকতা, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ তারুণ্যের উৎসব-২০২৫” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত তারেক রহমান দেশে ফিরছেন সংবাদ প্রকাশের পর দুর্গাপুরে আ.লীগ নেতার নেতৃত্বে কথিত মানববন্ধন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির কামনায় সদর হাসপাতালের পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিল জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি,আলোচনা সভা ও পুরষ্কার আলী আমজদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত কোটচাঁদপুরে একই রাতে সাতটি গরুচুরি  বগুড়া মাতিয়ে এলেন মৌলভীবাজারের সংগীত শিল্পী জয়দ্বীপ রাজু মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপারের দায়িত্ব নিলেন মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন

কুটি হ-ত্যা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৫১:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৩১৫ বার পড়া হয়েছে

ষ্টাফ রিপোর্টঃ ভারতের অভ্যন্তরে কুটি মিয়া (৫০) নামের এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে খাসিয়ারা। কুটি মিয়া সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া গ্রামের মৃত মনির উল্ল্যাহর ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করতেন।

শনিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (২৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির।

বিজিবি ও পুলিশ এবং স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সুপারি আনার জন্য বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে ছয় জন বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং জেলার লংথ্রাইপুঞ্জি এলাকায় যান। বিকেলে দেশে ফেরার সময় তারা খাসিয়াদের বাগান থেকে সুপারি চুরি করে বস্তায় ভরেন। ভারতীয় খাসিয়ারা তা দেখে ফেলায় পাঁচ জন বাংলাদেশি দৌড়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। এ সময় পিছনে থাকা কুটি মিয়াকে লক্ষ্য করে গুলি চালান খাসিয়ারা। তিনি ভারতের মাটিতেই মারা যান।
এদিকে, দুই দিন ধরে কুটি মিয়ার সন্ধান পায়নি বিজিবি ও পুলিশ। পরে বিজিবির পক্ষ থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। ভারতীয় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কুটি মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে।

২৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির বলেন, বাংলাদেশের ছয় জন চোরাকারবারি ভারতের খাসিয়াদের সুপারি চুরি করতে যান। পাঁচ জন চলে আসেন। এক জন নিখোঁজ বলা হচ্ছিল। তিনি খাসিয়াদের গুলিতে মারা গেছেন নাকি আহত হয়েছেন, কিছুই বলা যাচ্ছিল না। পরে আমরা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করি। বিএসএফ আমাদের জানায়, যে জায়গায় ঘটনা ঘটেছে, তা সীমান্ত এলাকা না, ভারতের প্রায় ৭ কিলোমিটার ভিতরে। বিএসএফ ভারতের পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে একটি লাশের সন্ধান পায়। তারা যাচাই করে জানতে পারে, লাশটি বাংলাদেশের কুটি মিয়ার।
তিনি আরো বলেন, ভারতের পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করেছে। নিয়ম অনুযায়ী লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। আজ-কালের মধ্যে লাশ হস্তান্তর করবে।

দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল হক বলেন, কুটি মিয়ার লাশ এখনো হস্তান্তর করেনি। আজকের মধ্যে লাশ হস্তান্তর করার সম্ভাবনা আছে।

তিনি আরো বলেন, সীমান্ত এলাকায় কোনো ঘটনা হলে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক হয়। এ ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফের মাধ্যমে ও ভিকটিমের পরিবারের উপস্থিতে ভারতের পুলিশ আমাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করবে।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কুটি হ-ত্যা

আপডেট সময় ০৯:৫১:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

ষ্টাফ রিপোর্টঃ ভারতের অভ্যন্তরে কুটি মিয়া (৫০) নামের এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে খাসিয়ারা। কুটি মিয়া সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া গ্রামের মৃত মনির উল্ল্যাহর ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করতেন।

শনিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (২৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির।

বিজিবি ও পুলিশ এবং স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সুপারি আনার জন্য বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে ছয় জন বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং জেলার লংথ্রাইপুঞ্জি এলাকায় যান। বিকেলে দেশে ফেরার সময় তারা খাসিয়াদের বাগান থেকে সুপারি চুরি করে বস্তায় ভরেন। ভারতীয় খাসিয়ারা তা দেখে ফেলায় পাঁচ জন বাংলাদেশি দৌড়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। এ সময় পিছনে থাকা কুটি মিয়াকে লক্ষ্য করে গুলি চালান খাসিয়ারা। তিনি ভারতের মাটিতেই মারা যান।
এদিকে, দুই দিন ধরে কুটি মিয়ার সন্ধান পায়নি বিজিবি ও পুলিশ। পরে বিজিবির পক্ষ থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। ভারতীয় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কুটি মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে।

২৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির বলেন, বাংলাদেশের ছয় জন চোরাকারবারি ভারতের খাসিয়াদের সুপারি চুরি করতে যান। পাঁচ জন চলে আসেন। এক জন নিখোঁজ বলা হচ্ছিল। তিনি খাসিয়াদের গুলিতে মারা গেছেন নাকি আহত হয়েছেন, কিছুই বলা যাচ্ছিল না। পরে আমরা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করি। বিএসএফ আমাদের জানায়, যে জায়গায় ঘটনা ঘটেছে, তা সীমান্ত এলাকা না, ভারতের প্রায় ৭ কিলোমিটার ভিতরে। বিএসএফ ভারতের পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে একটি লাশের সন্ধান পায়। তারা যাচাই করে জানতে পারে, লাশটি বাংলাদেশের কুটি মিয়ার।
তিনি আরো বলেন, ভারতের পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করেছে। নিয়ম অনুযায়ী লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। আজ-কালের মধ্যে লাশ হস্তান্তর করবে।

দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল হক বলেন, কুটি মিয়ার লাশ এখনো হস্তান্তর করেনি। আজকের মধ্যে লাশ হস্তান্তর করার সম্ভাবনা আছে।

তিনি আরো বলেন, সীমান্ত এলাকায় কোনো ঘটনা হলে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক হয়। এ ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফের মাধ্যমে ও ভিকটিমের পরিবারের উপস্থিতে ভারতের পুলিশ আমাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করবে।