ঢাকা ০৬:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
শ্রীমঙ্গল হাজার শ্রমিকের উপস্থিতিতে মে দিবস উদযাপন মৌলভীবাজারে মহান মে দিবস পালিত অডিও ফাঁস স্বামীর ঘরে জায়গা হয়নি আদুরীর মৌলভীবাজারে ৮ নং কনকপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড শাখার উদ্যাগে সংবর্ধনা। রেমিট্যান্সে সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৌলভীবাজার কমলগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ঢেউটিন বিতরণ মৌলভীবাজারে হত্যা মামলার পলাতক আসামি র‍্যাবের খাঁচায় গ্রে-ফ-তা-র টানা খরার পর স্বস্তির বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে চা-বাগান গুলো কোটচাঁদপুরে চালের দোকানে অভিযান জরিমানা আদায় উলুয়াইল ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসায় ইউকে প্রবাসী মোহাম্মদ সৌরভ আহমদকে সম্বর্ধনা

অডিও ফাঁস স্বামীর ঘরে জায়গা হয়নি আদুরীর

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৫৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
  • / ২০৫ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি ঃ বিয়ের পর স্বামীর ঘরে জায়গা না পাওয়াই বিয়ের আগের পরকীয়ার অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে আদুরী খাতুনের বিরুদ্ধে। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ি আলমগীর হোসেনের ঔই নারীর কিছু অন্তরঙ্গ ছবি ও ৯ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের একান্ত আলাপচারিতার অডিও ক্লীপ।

 

গত রবিবার থেকে ওই অডিও ক্লীপ ও ছিবি ভাসছে ফেসবুকের বিভিন্ন আইডিতে। কিছু টাকা নেবার জন্য এখন ওই নারী অনেক বাহানা করছেন বলে দাবি ওই ব্যবসাযির।

 

জানা যায়,কোটচাঁদপুর পৌর শহরের ব্রীজঘাট মোড়ে ঢাকা ইলেকট্রনিক্সের শো-রুম। যার মালিক দুই সন্তানের জনক  আলমগীর হোসেন। ওই শো-রুমে ইলেকট্রনিকক্সের পণ্য কিনতে আসতেন মালয়েশিয়া প্রবাসির স্ত্রী মোছাঃ আদুরি খাতুন ওরফে জাকিয়া। তিনি ছিলেন কোটচাঁদপুরের শালকোপা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী তিনিও দুই সন্তানের জননী। সে থেকে চেনা জানা হয় আলমগীর হোসেন ও আদুরি খাতুনের।

লেনা-দেনা হয় মোবাইল নাম্বার। কথা চলতে থাকে তাদের মধ্যে। এরপর পরকীয়া পৌছায়ে যায় চরম পর্যায়। তবে আদুরী আগে থেকে বুঝতে পেরেছিলেন আলমগীর তাঁর সঙ্গে প্রতারনা করতে পারেন। সে কারনে তিনি বিয়ের আগেই চালাকি করে তাদের একান্তের কিছু কথা রেকর্ড করে রাখেন। তাঁর সে ধারনা অবশেষে সত্য হল।

সম্প্রতি আলমগীরের কালিগঞ্জের বাসায় ৪০ লাখ টাকা কাবিন করে তাদের মধ্যে বিয়ে হয়। তবে আলমগীর আদুরির সঙ্গে থাকা সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেও বিয়েটা জোরপূর্বক জিম্মি করে করানো হয়েছে বলে দাবি করছেন  প্রথম থেকেই। অভিযোগ তুলেছেন বিয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা ওইদিন তাঁর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন  ৫ লাখ টাকা। এরপরও মানতে নারাজ ওই বিয়ে। এ ছাড়া ওই নারিকে ইতোমধ্যে তিনি ডিভোর্স দেয়ার জন্য প্রশাসনসহ সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে আলমগীরকে বিয়ে করে উভয় সংকটে পড়েছেন আদুরি খাতুন। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে পড়ায় তাঁর ঠাই নাই আগের স্বামী সিদ্দিকুর রহমানের বাসায়। ইতোমধ্যে তাঁর স্বামীর স্বজনরা বাসায় তালা লাগিয়ে দিয়েছেন।

 

অন্যদিকে বিয়ের দিন থেকেই ঠাই মেলেনি কোটচাঁদপুরের ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ির বাসায়যেতে ও বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।

এর কয়েকদিন পর ফাঁস হল কোটচাঁদপুরের ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ি আলমগীর হোসেন ও বিদেশ প্রবাসি আদুরি খাতুনের বিয়ের আগের একান্ত মুহুর্তের কিছু কথা। যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) ভাইরাল হয়েছে।
ঢাকা ইলেকট্রনিকক্সের মালিক আলমগীর হোসেন কালিগঞ্জ ঘিঘাটি গ্রামের গাজী রহমানের ছেলে।

 

তিনি ২০০৬ সালের দিকে কোটচাঁদপুর শহরে আসেন রেডিও,টিভির ম্যাকানিক হিসেবে। একটা ঘর ভাড়া নেন মৃত মহিদুল ইসলামে কাছ থেকে। যিনি বর্তমানে তাঁর শ্বশুর। এভাবে কয়েক বছর যাবার পর শুরু করেন টিভি,ফ্রিজের ব্যবসা। বাড়তে থাকে তাঁর দোকান। কিছুদিন পর বিয়ে করেন মইদুল ইসলামের মেয়ে ফরিদা খাতুনকে। ওই সংসারে রয়েছে তাঁর এক ছেলে এক মেয়ে।

ভাইরাল অডিও প্রসঙ্গে আলমগীর হোসেন বলেন,কিছু টাকা নেবার জন্য এখন ওই নারী অনেক বাহানা করছেন। আমি ওই প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করতে চাই না।

তবে বিষয়টি নিয়ে আদুরীর কথা বলতে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। মোবাইল বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

অডিও ফাঁস স্বামীর ঘরে জায়গা হয়নি আদুরীর

আপডেট সময় ১০:৫৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি ঃ বিয়ের পর স্বামীর ঘরে জায়গা না পাওয়াই বিয়ের আগের পরকীয়ার অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে আদুরী খাতুনের বিরুদ্ধে। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ি আলমগীর হোসেনের ঔই নারীর কিছু অন্তরঙ্গ ছবি ও ৯ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের একান্ত আলাপচারিতার অডিও ক্লীপ।

 

গত রবিবার থেকে ওই অডিও ক্লীপ ও ছিবি ভাসছে ফেসবুকের বিভিন্ন আইডিতে। কিছু টাকা নেবার জন্য এখন ওই নারী অনেক বাহানা করছেন বলে দাবি ওই ব্যবসাযির।

 

জানা যায়,কোটচাঁদপুর পৌর শহরের ব্রীজঘাট মোড়ে ঢাকা ইলেকট্রনিক্সের শো-রুম। যার মালিক দুই সন্তানের জনক  আলমগীর হোসেন। ওই শো-রুমে ইলেকট্রনিকক্সের পণ্য কিনতে আসতেন মালয়েশিয়া প্রবাসির স্ত্রী মোছাঃ আদুরি খাতুন ওরফে জাকিয়া। তিনি ছিলেন কোটচাঁদপুরের শালকোপা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী তিনিও দুই সন্তানের জননী। সে থেকে চেনা জানা হয় আলমগীর হোসেন ও আদুরি খাতুনের।

লেনা-দেনা হয় মোবাইল নাম্বার। কথা চলতে থাকে তাদের মধ্যে। এরপর পরকীয়া পৌছায়ে যায় চরম পর্যায়। তবে আদুরী আগে থেকে বুঝতে পেরেছিলেন আলমগীর তাঁর সঙ্গে প্রতারনা করতে পারেন। সে কারনে তিনি বিয়ের আগেই চালাকি করে তাদের একান্তের কিছু কথা রেকর্ড করে রাখেন। তাঁর সে ধারনা অবশেষে সত্য হল।

সম্প্রতি আলমগীরের কালিগঞ্জের বাসায় ৪০ লাখ টাকা কাবিন করে তাদের মধ্যে বিয়ে হয়। তবে আলমগীর আদুরির সঙ্গে থাকা সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেও বিয়েটা জোরপূর্বক জিম্মি করে করানো হয়েছে বলে দাবি করছেন  প্রথম থেকেই। অভিযোগ তুলেছেন বিয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা ওইদিন তাঁর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন  ৫ লাখ টাকা। এরপরও মানতে নারাজ ওই বিয়ে। এ ছাড়া ওই নারিকে ইতোমধ্যে তিনি ডিভোর্স দেয়ার জন্য প্রশাসনসহ সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে আলমগীরকে বিয়ে করে উভয় সংকটে পড়েছেন আদুরি খাতুন। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে পড়ায় তাঁর ঠাই নাই আগের স্বামী সিদ্দিকুর রহমানের বাসায়। ইতোমধ্যে তাঁর স্বামীর স্বজনরা বাসায় তালা লাগিয়ে দিয়েছেন।

 

অন্যদিকে বিয়ের দিন থেকেই ঠাই মেলেনি কোটচাঁদপুরের ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ির বাসায়যেতে ও বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।

এর কয়েকদিন পর ফাঁস হল কোটচাঁদপুরের ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ি আলমগীর হোসেন ও বিদেশ প্রবাসি আদুরি খাতুনের বিয়ের আগের একান্ত মুহুর্তের কিছু কথা। যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) ভাইরাল হয়েছে।
ঢাকা ইলেকট্রনিকক্সের মালিক আলমগীর হোসেন কালিগঞ্জ ঘিঘাটি গ্রামের গাজী রহমানের ছেলে।

 

তিনি ২০০৬ সালের দিকে কোটচাঁদপুর শহরে আসেন রেডিও,টিভির ম্যাকানিক হিসেবে। একটা ঘর ভাড়া নেন মৃত মহিদুল ইসলামে কাছ থেকে। যিনি বর্তমানে তাঁর শ্বশুর। এভাবে কয়েক বছর যাবার পর শুরু করেন টিভি,ফ্রিজের ব্যবসা। বাড়তে থাকে তাঁর দোকান। কিছুদিন পর বিয়ে করেন মইদুল ইসলামের মেয়ে ফরিদা খাতুনকে। ওই সংসারে রয়েছে তাঁর এক ছেলে এক মেয়ে।

ভাইরাল অডিও প্রসঙ্গে আলমগীর হোসেন বলেন,কিছু টাকা নেবার জন্য এখন ওই নারী অনেক বাহানা করছেন। আমি ওই প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করতে চাই না।

তবে বিষয়টি নিয়ে আদুরীর কথা বলতে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। মোবাইল বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।