ঢাকা ০৯:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
টনি খান হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট পরির্দশনে রন্ধন শিল্পী টনি খান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফাতেই বাঙালি জাতির মুক্তির বার্তা- কমলগঞ্জের আদমপুরে মহসিন মিয়া মধু মনোনয়ন তালিকায় নেই শিল্পীরা মৌলভীবাজার দেশীয় অ স্ত্র সহ ৫ জন আ ট ক মৌলভীবাজারের চার আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা রোডপারমিট বিহীন ও পুরাতন গাড়ী বন্ধের দাবীতে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলা থেকে খালাস পেলেন সাংবাদিক মশাহিদ মেয়েকে হ/ত্যা করে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন বাবা মায়ের অভিযোগ শ্রেষ্ঠ নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নির্বাচিত হলেন নুশরাত জাহান সংগ্রাম পরিষদের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা ও বিক্ষোভ মিছিল

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে আরও ৪৪ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:০৩:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / ২৬৬ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ আরও ৪৪ জনকে পুশইন করেছে।

 

বুধবার (১৪ মে) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে। তাদের যাচাই-বাছাই করে বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছে বিজিবি। আটককৃতদের বড়লেখা থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

এরআগে গত ৭ ও ৮ মে ৬১ জন বাংলাদেশিকে পুশইন করেছেন বিএসএফ। তাদের যাচাই-বাছাই করে থানা পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুশইন ঠেকাতে বড়লেখা সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে বিজিবি। কিন্তু বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে ফের অবৈধভাবে আরও ৪৪ জনকে ঠেলে পাঠালো বিএসএফ।

 

এ ব্যাপারে ৫২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান বুধবার (১৪ মে) বিকেলে বলেন, আটককৃতরা সকলেই বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তরের জন্য থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা বিভিন্ন সময়ে ভারতে গমন করে। সম্প্রতি ভারতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়। সেখানে পুলিশ তাদের জিনিসপত্র রেখে দেয়। এরপর তাদের সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা হয়।

 

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোরের দিকে বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ৪৪ জনকে পুশইন করে বিএসএফ। বিজিবি ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে। আটকের পর তাদের স্থানীয় শাহবাজপুর বালিকা বিদ্যালয়ে রাখা হয়। পরবর্তীতে তাদের যাচাই-বাছাই শেষে বড়লেখা থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ১৩ শিশু আছে। বিভিন্ন সময়ে তারা ভারতে গিয়েছিলেন। আটকদের মধ্যে ৩৮ জনের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। অন্যদের মধ্যে ৩ জনের বাড়ি বাঘেরহাট জেলায় ও ৩ জনের বাড়ি যশোর জেলায়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে আরও ৪৪ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ

আপডেট সময় ১০:০৩:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ আরও ৪৪ জনকে পুশইন করেছে।

 

বুধবার (১৪ মে) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে। তাদের যাচাই-বাছাই করে বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছে বিজিবি। আটককৃতদের বড়লেখা থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

এরআগে গত ৭ ও ৮ মে ৬১ জন বাংলাদেশিকে পুশইন করেছেন বিএসএফ। তাদের যাচাই-বাছাই করে থানা পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুশইন ঠেকাতে বড়লেখা সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে বিজিবি। কিন্তু বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে ফের অবৈধভাবে আরও ৪৪ জনকে ঠেলে পাঠালো বিএসএফ।

 

এ ব্যাপারে ৫২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান বুধবার (১৪ মে) বিকেলে বলেন, আটককৃতরা সকলেই বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তরের জন্য থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা বিভিন্ন সময়ে ভারতে গমন করে। সম্প্রতি ভারতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়। সেখানে পুলিশ তাদের জিনিসপত্র রেখে দেয়। এরপর তাদের সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা হয়।

 

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোরের দিকে বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ৪৪ জনকে পুশইন করে বিএসএফ। বিজিবি ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে। আটকের পর তাদের স্থানীয় শাহবাজপুর বালিকা বিদ্যালয়ে রাখা হয়। পরবর্তীতে তাদের যাচাই-বাছাই শেষে বড়লেখা থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ১৩ শিশু আছে। বিভিন্ন সময়ে তারা ভারতে গিয়েছিলেন। আটকদের মধ্যে ৩৮ জনের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। অন্যদের মধ্যে ৩ জনের বাড়ি বাঘেরহাট জেলায় ও ৩ জনের বাড়ি যশোর জেলায়।