মৌলভীবাজারে ঔষধের ডিপোতে ডা/কা/তি/র ঘটনায় গ্রে/ফ/তা/র – ২

- আপডেট সময় ১১:১৫:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
- / ১০১০ বার পড়া হয়েছে

৪ সদস্যের একটি চক্র মোটরসাইকেল ব্যবহার করে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় আসা যাওয়া। তালা কেটে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একই স্টাইলে একই ধরনের তিনটি প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি।
মৌলভীবাজারে তিনটি ঔষধ কোম্পানির ডিপোতে ডাকাতির ঘটনায় এই চক্রের মূল হোতাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলে ডাকাতির ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন মূল হোতা শামীম আহমেদ(৪৫)।
থানা সুত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি মৌলভীবাজারের একমি ঔষধ কোম্পানির ডিপোতে প্রথমে ৪৮ হাজার টাকা। এরপরে ২৩ ফেব্রুয়ারি বেক্সিমকো কোম্পানির ডিপো থেকে ৬৮ লাখ এবং সবশেষ ১০ মে ওরিয়ন কোম্পানির ডিপো থেকে ০৮ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। সব ঘটনাতেই মৌলভীবাজার সদর থানায় মামলা রুজু করা হয়।
প্রথম ঘটনার পরই মৌলভীবাজার সদর থানা কাজ শুরু করে। সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আজমল হোসেনের নেতৃত্বে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জসহ এসআই জয়ন্ত সরকার, এসআই হিরণ বিশ্বাস, এসআই উৎপল সাহা, এসআই রানা মিয়া, এএসআই সাইদুর রহমানকে নিয়ে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়।
সিসি ক্যামেরা ফুটেজ, গোপন সোর্স এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ১৭ মে রাত আনুমানিক সাড়ে ৩ ঘটিকার সময় হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার পশ্চিম ভাদেশ্বর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে এই চক্রের মূল হোতা শামীম আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে মুকিত মিয়া নামে তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর ৪ দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে আসামি শামীম আহমেদ গত ২২ মে বিজ্ঞ আদালতে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত মর্মে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
গ্রেফতারকৃত শামীম হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের মৃত সিরাজ আলীর ছেলে।
গ্রেফতারকৃত শামীম মিয়ার হেফাজত থেকে লুট করা ১৩ লাখ টাকায় কেনা একটি নোয়া মাইক্রোবাস এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পালসার মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া তাদের ব্যবহৃত কেডস, ইলেকট্রিক কাটার ও হেক্সাব্লেড জব্দ করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গাজী মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, ‘আমরা শুরুর ঘটনার পর থেকেই কাজ শুরু করি। প্রাথমিক তদন্ত শেষে প্রথমে মুকিত মিয়াকে গ্রেফতার করি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ আর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মূলহোতা শামীমকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।
তিনি আরও জানান, ‘এই চক্রটি সিলেট অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে এমন অপকর্ম করে আসছে। তিন বছর আগে সিলেটের ওসমানীনগর থানা এলাকায় এটিএম বুথ ভেঙে টাকা লুটের ঘটনায় ঢাকা থেকে আসামি শামীমকে গ্রেফতার হয়েছিল। আমরা এই চক্রের বাকি সদস্যদেরকে গ্রেফতারে কাজ করছি।
