ঢাকা ০২:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উপলক্ষে উলুয়াইল ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান সম্পন্ন মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নি/হ ত ঘরে বসে কমিটি দেয়ার দিন চলে গেছে: ফয়জুল করিম ময়ূন ব্র্যাকের উদ্যোগে চুইঝাল গাছের চারা বিতরণ মৌলভীবাজারে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাঝে চেক বিতরণ কক্সবাজার কলেজ ছাত্রলীগের আহবায় মৌলভীবাজার থেকে গ্রে/ফ/তার কুলাউড়ার কৃতি পুলিশ কর্মকর্তা এডিআইজি জালাল চৌধুরী মাছুম’র ইন্তেকাল জুড়ীতে কাভার্ডভ্যান চাপায় ডিগ্রি পরীক্ষার্থী নি হ ত, ভাই আহত ইতালি বিএনপির নেতা আসাহিদকে ছাত্রদলের সংবর্ধনা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন উপলক্ষে ত্বরিকত সম্মেলন

আগুনে আটকা মাইলস্টোন ‍শিক্ষক হাত জোড় করে বলছি,মানুষের ইমোশন নিয়ে খেলবেন না

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:০৪:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
  • / ৩০৮ বার পড়া হয়েছে

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নানা গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক পূর্ণিমা দাস। একই সঙ্গে তিনি আগুনের মধ্যে আটকে পড়ার নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সবাইকে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

 

বুধবার (২৩ জুলাই) মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষক পূর্ণিমা দাস নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি স্ট্যাটাসে একথা বলেন। তিনি নিজেও আগুনের মধ্যে আটকা পড়েছিলেন। তার সেই অভিজ্ঞতা, বাচ্চাদের নিরাপত্তা এবং লাশ গুমের অপতথ্য নিয়েও লিখেছেন নিজের ফেসবুকে।

পূর্ণিমা দাস লেখেন, ‘আমি মাইলস্টোনের হায়দার আলী ভবনের একজন শিক্ষিকা। আপনাদেরকে দুই হাত জোর করে বলছি, ভুল তথ্য ছড়াবেন না। আমিও আগুনের মধ্যে আটকে পড়েছিলাম। আমার চেয়ে বেশি আপনারা ফেসবুকবাসী জানবেন না, তাই না?

 

তিনি লেখেন, ‘স্কুল ছুটি হয় দুপুর ১টায়, আমি ঠিক তার এক থেকে দুই মিনিটে স্কাই সেকশনে ঢুকে দেখি ওখানে শুধু একটা বাচ্চা দাঁড়ানো। কেউ ছিলো না, সবাই চলে গেছিলো। আপনারা জানেন না ছুটির সময় হলে বাচ্চারা তিন-চার মিনিট আগে থেকেই কীভাবে ব্যাগ কাঁধে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে বাসায় যাওয়ার জন্য এবং আমি চলে আসার পর অভিভাবক আসেনি বলে আবার স্কাই এ কিছু বাচ্চা ঢুকেছিলো তাদেরকেও আমাদের আরেকজন টিচার ক্লাস থেকে নিয়ে অন্য সেকশনে বসায়। এরপরেও আবার কয়েকজন (৫ -৬ জন) ঢুকেছিলো তাদেরকেই আমরা হারিয়ে ফেলেছি বা যারা করিডোরে খেলছিলো বা সিঁড়িঘরে ছোটাছুটি করছিলো বা ওই মুহুর্তে ওই জায়গায় কাকতালীয়ভাবে ছিলো’।

পূর্ণিমা দাস আরও লিখেছেন, ‘এরপর আসেন #cloud এ ওখানে বাচ্চার সংখ্যা স্কাই এর চেয়ে বেশি ছিলো। আমার ধারনা মাহরীন মিস, মাসুকা মিস ও মাহ্ফুজা মিস ওখান থেকেই বাচ্চা বের করার চেষ্টা করছিলো এবং তাদের বের করতে করতে নিজেরা ঝলসে যায়। যারমধ্যে মাহরীন মিস এবং মাসুকা মিসকে আমরা হারিয়ে ফেলেছি। মাহফুজা মিসের অবস্থা এখন গুরুতর উনি লাইফ সাপোর্টে আছেন। উনার জন্য আপনারা দোয়া করবেন’।

 

তিনি আরও লেখেন, ‘cloud এর পাশের রুম #mayna এখানে কিছু বাচ্চা ইনজিউরড্ কেউ মারা যায়নি। #mayna এর পাশে #doyel এই ক্লাসের একটা বাচ্চা আর নেই। doyel এর পাশে #tuberose এবং #waterlily এখানেও সবাই সেফ আছে। দ্বিতীয় তলার বাচ্চারদের ও ঘটনা একই। দুইটা ক্লাসরুম একটা টিচার্স রুম পুড়েছে। ওখানেও ১০-২০ জন ছিলো। হায়দার আলী ভবনের মুখে, দোলনায় এবং করিডোরের হাঁটাহাঁটি করা বাচ্চার সংখ্যা এভাবে বলতে পারা যায় না। অনুমানও করা কঠিন। তারমধ্যে অনেকের শরীর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে যে লাশগুলো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরমধ্যে আছে ওখানকার আয়ারাও’।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আগুনে আটকা মাইলস্টোন ‍শিক্ষক হাত জোড় করে বলছি,মানুষের ইমোশন নিয়ে খেলবেন না

আপডেট সময় ১০:০৪:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নানা গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক পূর্ণিমা দাস। একই সঙ্গে তিনি আগুনের মধ্যে আটকে পড়ার নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সবাইকে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

 

বুধবার (২৩ জুলাই) মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষক পূর্ণিমা দাস নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি স্ট্যাটাসে একথা বলেন। তিনি নিজেও আগুনের মধ্যে আটকা পড়েছিলেন। তার সেই অভিজ্ঞতা, বাচ্চাদের নিরাপত্তা এবং লাশ গুমের অপতথ্য নিয়েও লিখেছেন নিজের ফেসবুকে।

পূর্ণিমা দাস লেখেন, ‘আমি মাইলস্টোনের হায়দার আলী ভবনের একজন শিক্ষিকা। আপনাদেরকে দুই হাত জোর করে বলছি, ভুল তথ্য ছড়াবেন না। আমিও আগুনের মধ্যে আটকে পড়েছিলাম। আমার চেয়ে বেশি আপনারা ফেসবুকবাসী জানবেন না, তাই না?

 

তিনি লেখেন, ‘স্কুল ছুটি হয় দুপুর ১টায়, আমি ঠিক তার এক থেকে দুই মিনিটে স্কাই সেকশনে ঢুকে দেখি ওখানে শুধু একটা বাচ্চা দাঁড়ানো। কেউ ছিলো না, সবাই চলে গেছিলো। আপনারা জানেন না ছুটির সময় হলে বাচ্চারা তিন-চার মিনিট আগে থেকেই কীভাবে ব্যাগ কাঁধে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে বাসায় যাওয়ার জন্য এবং আমি চলে আসার পর অভিভাবক আসেনি বলে আবার স্কাই এ কিছু বাচ্চা ঢুকেছিলো তাদেরকেও আমাদের আরেকজন টিচার ক্লাস থেকে নিয়ে অন্য সেকশনে বসায়। এরপরেও আবার কয়েকজন (৫ -৬ জন) ঢুকেছিলো তাদেরকেই আমরা হারিয়ে ফেলেছি বা যারা করিডোরে খেলছিলো বা সিঁড়িঘরে ছোটাছুটি করছিলো বা ওই মুহুর্তে ওই জায়গায় কাকতালীয়ভাবে ছিলো’।

পূর্ণিমা দাস আরও লিখেছেন, ‘এরপর আসেন #cloud এ ওখানে বাচ্চার সংখ্যা স্কাই এর চেয়ে বেশি ছিলো। আমার ধারনা মাহরীন মিস, মাসুকা মিস ও মাহ্ফুজা মিস ওখান থেকেই বাচ্চা বের করার চেষ্টা করছিলো এবং তাদের বের করতে করতে নিজেরা ঝলসে যায়। যারমধ্যে মাহরীন মিস এবং মাসুকা মিসকে আমরা হারিয়ে ফেলেছি। মাহফুজা মিসের অবস্থা এখন গুরুতর উনি লাইফ সাপোর্টে আছেন। উনার জন্য আপনারা দোয়া করবেন’।

 

তিনি আরও লেখেন, ‘cloud এর পাশের রুম #mayna এখানে কিছু বাচ্চা ইনজিউরড্ কেউ মারা যায়নি। #mayna এর পাশে #doyel এই ক্লাসের একটা বাচ্চা আর নেই। doyel এর পাশে #tuberose এবং #waterlily এখানেও সবাই সেফ আছে। দ্বিতীয় তলার বাচ্চারদের ও ঘটনা একই। দুইটা ক্লাসরুম একটা টিচার্স রুম পুড়েছে। ওখানেও ১০-২০ জন ছিলো। হায়দার আলী ভবনের মুখে, দোলনায় এবং করিডোরের হাঁটাহাঁটি করা বাচ্চার সংখ্যা এভাবে বলতে পারা যায় না। অনুমানও করা কঠিন। তারমধ্যে অনেকের শরীর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে যে লাশগুলো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরমধ্যে আছে ওখানকার আয়ারাও’।