কিনব্রিজের দুই প্রবেশ মুখ বন্ধ করে দেওয়া হবে : জেলা প্রশাসক

- আপডেট সময় ০২:১৬:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৮৭ বার পড়া হয়েছে

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কিনব্রিজটি শুধুই হাটাহাটির জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। হকার ও মোটরসাইকেল যাতে ব্রিজে উঠতে না পারে এ জন্য বিজ্রের দুই প্রবেশ মুখ বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিনব্রিজে আর হকার বসতে দেওয়া হবে না। যারা এখন মোটরসাইকেল নিয়ে বিজ্রে চলাচল করেন সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হবে। আগামী শনিবার থেকেই কিনব্রিজের দুই প্রবেশ মুখ বন্ধ করতে কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের হলরুমে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এমনটি বলেন।
১৯৩৩ সালে নির্মিত হয় ১ হাজার ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের ও ১৮ ফুট প্রস্থের কিনব্রিজ। এটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় ১৯৩৬ সালে। ভারতের আসাম প্রদেশের তৎকালীন গভর্নর মাইকেল কিনের নামেই কিনব্রিজ হিসেবে নামকরণ করা হয়। লোহার দিয়ে লাল ধনুকের মতো বাঁকানো এই সেতুটি পর্যটকদের কাছেও আকর্ষনীয়। এরআগে ২০১৯ সালে ঐতিহ্যের এই সেতুটিকে সংরক্ষণ করতে এই সেতু দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুসারে ওই বছরের ৩১ আগস্ট মধ্য রাতে কিনব্রিজের উভয় প্রবেশপথে লোহার বেষ্টনী লাগিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেতুর সামনে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ লিখা সাইনবোর্ড টানানো হয়। শুধুমাত্র পথচারীরা সেতুটি ব্যবহার করার সুযোগ পান। তবে কিনব্রিজ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার পর সেতুন দক্ষিণ পাড়ের বাসিন্দারা বিক্ষোব্ধ হয়ে ওঠেন। তাদের যাতায়াত সুবিধার জন্য এ সেতু দিয়ে যান চলাচল অব্যাহত রাখার দাবি জানান। কিছুদিন পর কিনব্রিজের উভয় প্রবেশপথে লাগানো লোহার বেষ্টনী ভেঙে রিকশা চলাচল শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে প্রায় পুরো বেষ্টনীই গায়েব হয়ে যায়।
