ঢাকা ০৮:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল বাচ্চু সভাপতি, সজল সম্পাদক নির্বাচিত আত্মহত্যা ছাড়া আমার উপায় নেই, সংবাদ সম্মেলনে পাওনাদার তুহিন আ. লীগের মন্ত্রী-এমপি পালিয়েছে কিন্তু তাদের বীজ রেখে গেছে কুলাউড়ায় জে কে গউছ মৌলভীবাজারে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শনিবার কুলাউড়ায় বিএনপির কাউন্সিল,৫ পদে ১৭ প্রার্থীর লড়াই শেরপুরে ঐতিহ্যের ছন্দে বৈঠার মহোৎসব নৌকাবাইছ প্রতিযোগিতা শ্রীমঙ্গলে ইসলামী যুব মজলিসের কমিটি গঠন, মুস্তাকিম সভাপতি ও সাদিক সেক্রেটারি নির্বাচিত শ্রীমঙ্গলে বিদেশী মদসহ যুবক গ্রে/ফ/তা র শারদীয় দুর্গাপূজা উপলেক্ষে শ্রীমঙ্গল মতবিনিময় সভা ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেসের তিনটি বগি চলন্ত অবস্থায় বিচ্ছিন্ন

আ. লীগের মন্ত্রী-এমপি পালিয়েছে কিন্তু তাদের বীজ রেখে গেছে কুলাউড়ায় জে কে গউছ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৫৪:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৭১ বার পড়া হয়েছে

কুলাউড়া প্রতিনিধিঃ আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও এমপি সবাই পালিয়েছে ড়কিন্তু তাদের বীজ এদেশে রেখে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পৌর শহরের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জি কে গউছ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বীজ আগামী নির্বাচনে বিএনপির বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। একটি দল তাদের ছত্রছায়ায় সেই বীজকে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং আগামী নির্বাচনে তাদের সহযোগিতা নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে।

আমাদের সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে, আগামী নির্বাচনে অনেক কঠিন লড়াই হবে এবং সেই লড়াইয়ে গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি বিএনপির বিজয় হবে।’

তিনি বলেন, ‘দেশি-বিদেশি সব ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে বিএনপি পরিবারের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশ থেকে আওয়ামী লীগ পালিয়েছে ঠিকই কিন্তু আওয়ামী শক্তি মিলে যারা আগামী জাতীয় নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।’

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. রেদওয়ান খানের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব আব্দুর রহিম রিপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন বিএনপির সিলেট বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য মৌলভী আব্দুল ওয়ালী সিদ্দিকী, সদস্য আব্দুল মুকিত, বকশী মিসবাহুর রহমান, ফখরুল ইসলাম, মোহিতুর রহমান হেলাল, আবুল কালাম বেলাল, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুজিবুর রহমান মজনু, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিএনপির বিগত সময়ের প্রয়াত নেতাদের স্মরণে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন বহির্বিশ্ব জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ড. সাইফুল আলম চৌধুরী।

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা বিএনপির সিলেট বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী তার বক্তব্যে বলেন, ‘বিগত ১৭ বছর বেগম খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে তৃণমূলের হাজার হাজার নেতাকর্মীও শেখ হাসিনার নির্যাতন থেকে রক্ষা পায়নি। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে সিলেটের কিংবদন্তি নেতা এম ইলিয়াস আলীসহ অসংখ্য নেতাকর্মী নির্যাতন, গুম, খুন হয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, ‘দেশি-বিদেশি শত্রুরা চায় না জাতীয়তাবাদী শক্তি বিএনপি ক্ষমতায় আসুক। বিএনপি যখনই ক্ষমতায় গিয়েছে তখনই দেশকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করেছিল। আমাদের মধ্যে এখনো বিভিন্ন ব্যক্তি চর্চা রয়েছে। এতে দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সত্যিকারভাবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে আর সেই ঐক্যবদ্ধ হবে ইস্পাত কঠিনের মতো।

দলীয় সূত্র জানায়, এবারের কাউন্সিলে কুলাউড়া উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের ৯৩৫ জন কাউন্সিলর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। কাউন্সিলে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন দুইবারের সাবেক সভাপতি শওকতুল ইসলাম শকু, সাবেক সভাপতি ও কুলাউড়া পৌরসভার পাঁচবারের কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন বাচ্চু। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও রাউৎগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বদরুল হোসেন খান, বিএনপি নেতা জয়নুল ইসলাম জুনেদ। সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ চৌধুরী, বদরুজ্জামান সজল ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা সুফিয়ান আহমেদ। সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পদে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি, জয়চণ্ডী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কমর উদ্দিন আহমদ কমরু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মইনুল হক বকুল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক বিএনপি নেতা সারোয়ার আলম বেলাল। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য আব্দুল মুক্তাদির মনু, সাবেক ছাত্রনেতা নুরুল ইসলাম ইমন, বিএনপি নেতা ও সাবেক ছাত্রনেতা সিপার আহমেদ, ব্রাহ্মণবাজার বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন স্বপন

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আ. লীগের মন্ত্রী-এমপি পালিয়েছে কিন্তু তাদের বীজ রেখে গেছে কুলাউড়ায় জে কে গউছ

আপডেট সময় ০৫:৫৪:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কুলাউড়া প্রতিনিধিঃ আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও এমপি সবাই পালিয়েছে ড়কিন্তু তাদের বীজ এদেশে রেখে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পৌর শহরের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জি কে গউছ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বীজ আগামী নির্বাচনে বিএনপির বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। একটি দল তাদের ছত্রছায়ায় সেই বীজকে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং আগামী নির্বাচনে তাদের সহযোগিতা নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে।

আমাদের সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে, আগামী নির্বাচনে অনেক কঠিন লড়াই হবে এবং সেই লড়াইয়ে গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি বিএনপির বিজয় হবে।’

তিনি বলেন, ‘দেশি-বিদেশি সব ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে বিএনপি পরিবারের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশ থেকে আওয়ামী লীগ পালিয়েছে ঠিকই কিন্তু আওয়ামী শক্তি মিলে যারা আগামী জাতীয় নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।’

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. রেদওয়ান খানের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব আব্দুর রহিম রিপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন বিএনপির সিলেট বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য মৌলভী আব্দুল ওয়ালী সিদ্দিকী, সদস্য আব্দুল মুকিত, বকশী মিসবাহুর রহমান, ফখরুল ইসলাম, মোহিতুর রহমান হেলাল, আবুল কালাম বেলাল, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুজিবুর রহমান মজনু, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিএনপির বিগত সময়ের প্রয়াত নেতাদের স্মরণে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন বহির্বিশ্ব জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ড. সাইফুল আলম চৌধুরী।

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা বিএনপির সিলেট বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী তার বক্তব্যে বলেন, ‘বিগত ১৭ বছর বেগম খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে তৃণমূলের হাজার হাজার নেতাকর্মীও শেখ হাসিনার নির্যাতন থেকে রক্ষা পায়নি। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে সিলেটের কিংবদন্তি নেতা এম ইলিয়াস আলীসহ অসংখ্য নেতাকর্মী নির্যাতন, গুম, খুন হয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, ‘দেশি-বিদেশি শত্রুরা চায় না জাতীয়তাবাদী শক্তি বিএনপি ক্ষমতায় আসুক। বিএনপি যখনই ক্ষমতায় গিয়েছে তখনই দেশকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করেছিল। আমাদের মধ্যে এখনো বিভিন্ন ব্যক্তি চর্চা রয়েছে। এতে দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সত্যিকারভাবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে আর সেই ঐক্যবদ্ধ হবে ইস্পাত কঠিনের মতো।

দলীয় সূত্র জানায়, এবারের কাউন্সিলে কুলাউড়া উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের ৯৩৫ জন কাউন্সিলর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। কাউন্সিলে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন দুইবারের সাবেক সভাপতি শওকতুল ইসলাম শকু, সাবেক সভাপতি ও কুলাউড়া পৌরসভার পাঁচবারের কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন বাচ্চু। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও রাউৎগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বদরুল হোসেন খান, বিএনপি নেতা জয়নুল ইসলাম জুনেদ। সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ চৌধুরী, বদরুজ্জামান সজল ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা সুফিয়ান আহমেদ। সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পদে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি, জয়চণ্ডী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কমর উদ্দিন আহমদ কমরু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মইনুল হক বকুল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক বিএনপি নেতা সারোয়ার আলম বেলাল। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য আব্দুল মুক্তাদির মনু, সাবেক ছাত্রনেতা নুরুল ইসলাম ইমন, বিএনপি নেতা ও সাবেক ছাত্রনেতা সিপার আহমেদ, ব্রাহ্মণবাজার বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন স্বপন