ঢাকা ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তরের আস্থা প্রকল্পের সহযোগিতায় সরকারি কর্মকর্তা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডাদের নিয়ে পরামর্শ সভা কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মমদুদ গ্রে/ফ/তা/ র মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন খেলাফত মজলিস মনোনীত ও সম্ভাব্য ৮ দলীয় জোটের প্রার্থী মাওলানা আহমদ বিলাল মৌলভীবাজারে ডেভিল হান্ট ফেইজ- ২ আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ৭ নেতা গ্রে ফ তা র এমবিই হাউস অব লর্ডসে বিশেষ সম্মাননায় ভূষি হলেন বাংলাদেশি ড. ওয়ালী তসর উদ্দিন মৌলভীবাজারে আইডিয়া’র আলো-আলো প্রকল্পের জেলা পর্যায়ের অ্যাডভোকেসি সভা শ্রীমঙ্গলে আ.লীগ নেতা ডা. হরিপদ রায় গ্রে/ফ/তা/র মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রোভার স্কাউটসহ পায়ে হেঁটে ১৫০ কি. মি. পথ পরিভ্রমণে – ৩ যথাযোগ্য মর্যাদায় মৌলভীবাজারে মহান বিজয় দিবস উদযাপন শহিদদের প্রতি মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের শ্রদ্ধা

প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশনে এক প্রেমিকা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:০৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • / ২৮০ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন এক প্রেমিকা।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল থেকে ওই তরুণী তার মাকে সঙ্গে নিয়ে প্রেমিকের বাড়ির সামনে অবস্থান করছেন।
অনশনরত তরুণীর নাম পান্না দাশ (২৫)। তিনি শ্রীমঙ্গল উপজেলার দক্ষিণ উত্তরসুর এলাকার সুকুমার সরকার ও আরতি সরকারের মেয়ে।
পান্না দাশ জানান, একই উপজেলার সবুজবাগ এলাকার জহর লাল দাশের ছেলে উজ্জ্বল দাশের সঙ্গে ২০১৬ সাল থেকে তার প্রেমের সম্পর্ক।  ওই বছর মৌলভীবাজার জেলা জজ আদালতে তারা এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ করেন। এভিডেভিড করে উজ্জ্বল ওমান চলে যায়।
পরবর্তীতে ২০২২ সালে ছুটিতে আসলে উভয় পরিবারের সম্মতিতে মৌলভীবাজার কালিবাড়ি মন্দিরে তাদের আনুষ্ঠানিক বিবাহ সম্পন্ন হয়। প্রায় দেড়মাস তার মাসির বাড়ি আমতলীতে আমাকে নিয়ে থাকে। ছুটি শেষ হলে সে আবার ওমান চলে যায়। এখনো সে ওমান অবস্থান করছে। আমার সাথে যোগাযোগ বলেন বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আমার স্বামী উজ্জ্বল দাশ এখন পরিবারের কথা বলে আমাকে ঘরে তুলছেন না। সকাল থেকে আমি তার বাড়ির গেইটে বসে আছি। শ্বশুর-শাশুড়ি গেইট খুলছেন না। স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, পরিবার না মানলে কিছু করার নেই।
আবেগাপ্লুত হয়ে পান্না দাশ বলেন, “আমাকে যদি ঘরে না তোলা হয়, আমি আত্মহত্যার পথ বেছে নেব।
এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ছেলের মা আরতি রাণী দাশ গেইটের ভিতর থেকে বলেন, এই বিষয়ে আমি কিছু জানিনা, আমার স্বামী বলতে পারবেন।
ইউপি সদস্য পিয়াস দাশ বলেন, আমি অতীতে চেষ্টা করেছি মেয়েটির অধিকার যেন ফিরে পায়, কিন্তু উজ্জ্বল দাশের বাবা বিষয়টি মানছেন না। যেহেতু তারা আমরা ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমি দেখছি মেয়েটার অনশন ভাঙ্গিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করা যায় কিনা।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশনে এক প্রেমিকা

আপডেট সময় ০৭:০৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন এক প্রেমিকা।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল থেকে ওই তরুণী তার মাকে সঙ্গে নিয়ে প্রেমিকের বাড়ির সামনে অবস্থান করছেন।
অনশনরত তরুণীর নাম পান্না দাশ (২৫)। তিনি শ্রীমঙ্গল উপজেলার দক্ষিণ উত্তরসুর এলাকার সুকুমার সরকার ও আরতি সরকারের মেয়ে।
পান্না দাশ জানান, একই উপজেলার সবুজবাগ এলাকার জহর লাল দাশের ছেলে উজ্জ্বল দাশের সঙ্গে ২০১৬ সাল থেকে তার প্রেমের সম্পর্ক।  ওই বছর মৌলভীবাজার জেলা জজ আদালতে তারা এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ করেন। এভিডেভিড করে উজ্জ্বল ওমান চলে যায়।
পরবর্তীতে ২০২২ সালে ছুটিতে আসলে উভয় পরিবারের সম্মতিতে মৌলভীবাজার কালিবাড়ি মন্দিরে তাদের আনুষ্ঠানিক বিবাহ সম্পন্ন হয়। প্রায় দেড়মাস তার মাসির বাড়ি আমতলীতে আমাকে নিয়ে থাকে। ছুটি শেষ হলে সে আবার ওমান চলে যায়। এখনো সে ওমান অবস্থান করছে। আমার সাথে যোগাযোগ বলেন বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আমার স্বামী উজ্জ্বল দাশ এখন পরিবারের কথা বলে আমাকে ঘরে তুলছেন না। সকাল থেকে আমি তার বাড়ির গেইটে বসে আছি। শ্বশুর-শাশুড়ি গেইট খুলছেন না। স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, পরিবার না মানলে কিছু করার নেই।
আবেগাপ্লুত হয়ে পান্না দাশ বলেন, “আমাকে যদি ঘরে না তোলা হয়, আমি আত্মহত্যার পথ বেছে নেব।
এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ছেলের মা আরতি রাণী দাশ গেইটের ভিতর থেকে বলেন, এই বিষয়ে আমি কিছু জানিনা, আমার স্বামী বলতে পারবেন।
ইউপি সদস্য পিয়াস দাশ বলেন, আমি অতীতে চেষ্টা করেছি মেয়েটির অধিকার যেন ফিরে পায়, কিন্তু উজ্জ্বল দাশের বাবা বিষয়টি মানছেন না। যেহেতু তারা আমরা ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমি দেখছি মেয়েটার অনশন ভাঙ্গিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করা যায় কিনা।