কোটচাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণের দাবীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
- আপডেট সময় ০৭:৩৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
- / ৫২ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ একাধিক অভিযোগে কোটচাঁদপুর সরকারি খন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণের দাবীতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল, গণস্বাক্ষর জুতা মারাসহ বিভিন্ন কর্মসুচী পালন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকালে এ সব কর্মসুচী পালন করেন তারা।
জানা যায়,কোটচাঁদপুর সরকারি খন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজ। এ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. শেখ মোঃ আমানুল্যাহ। তিনি যোগদানের পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের। যা বার বার তাকে অবহিত করেন তারা। এরপরও কোন রকম কর্নপাত না করায়,বেশ কিছুদিন ধরে ক্ষোভে ফুসছিলেন সাধারন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার সকালে ঘটে তাঁর বহির প্রকাশ। কলেজ খোলার সঙ্গে সঙ্গে অধ্যক্ষের অপসারণের দাবীতে তারা কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ ছাড়া পালন করেন গণস্বাক্ষর নেয়া,অধ্যক্ষের নামের উপর জুতা নিক্ষেপ সহ একাধিক কর্মসুচী। এ সময় তাদের কথা শুনতে কলেজের শিক্ষকবৃন্দ। শোনেন তাদের দাবীর কথা। এরপর সমাধানের আশ্বাস দিয়ে দুই দিনের সময় চেয়ে নেন শিক্ষকরা।
কলেজের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র হাবিবুর রহমান বলেন,অধ্যক্ষ আমানুল্যাহ কলেজে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছিল।
এ ছাড়া তিনি ছিলেন শাহবাগী বøগার। যা নিয়ে তিনি একটা বই লিখে প্রকাশ করেছেন। তিনি কুটুত্তি করেন,কলেজের ছাত্রী ও ম্যাডামদের বোরখা নিয়ে। মন্তব্য করেন নবী,বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়েও। এ সব নিয়ে অনেকবার ওনাকে অবহিত করা হয়েছে। এরপরও তিনি ওই সব কাজ অব্যহত রেখেছেন। এ কারনে ওনার অপসারণের দাবীতে আজকের এ কর্মসুচী।
তিনি বলেন,আমাদের আন্দোলনের পেক্ষিতে কলেজের শিক্ষকরা দাবী পূরনের আশ্বাস দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুই দিনের সময় চেয়ে নিয়েছেন স্যারেরা। এরপরও যদি আমাদের দাবী পূরন না হয়,এ আন্দোলন অব্যহত থাকবে।
এ সময় কলেজের সাধারণ ছাত্র আলী হাসান,ফায়েজ আহম্মেদ,ইমন হোসেন সহ ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহন করেন বিক্ষোভ মিছিলে। তাদের হাতে ছিল অধ্যক্ষকে অপসারনের প্লে-কার্ড,মুখে ছিল শ্লোগান। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে কলেজ ক্যাম্পাস।
কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন,অধ্যক্ষ বিবাহ প্রথায় বিশ্বাসি না। তিনি বহু কামিতায় বিশ্বাসি। এটা নিয়ে প্রতিবাদ করেও কোন কাজ হয়নি। বরং তিনি না শুনে সেটা সব সময় সব জায়গায় রেনডাম প্রচার করতেন। এ ছাড়া তিনি কলেজের ম্যাডামদের বোরখা নিয়ে কুটুত্তি করতেন। মন্তব্য করতেন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেখ জিয়াকে নিয়ে। আর ওই সময় তিনি ছিলেন শাহবাগী বøগার। যা নিয়ে তিনি একটা বই লিখে,তা গেল ২৪ সালে প্রকাশও করেন। এ সব জানতে পেরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফুসছিলেন। তাঁরই বহির প্রকাশ আজকের এ বিক্ষোভ।
তিনি বলেন,অধ্যক্ষসহ কলেজের তাঁর কাছের কয়েকজনের অপসারণের দাবী তুলেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুই দিনের সময় নেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয় অধ্যক্ষ শেখ মোঃ আমানুল্যাহ সঙ্গে। তবে মোবাইল বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাসউদ বলেন,আমি আজ যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা নাই। তারপরও আমি খবর নিয়ে দেখছি কি ঘটেছে।






















