ঢাকা ০৭:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাত্রীকে বিয়ে করে উধাও শিক্ষক,প্রথম স্ত্রী গেলেন থানায়

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:০৩:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১ বার পড়া হয়েছে

দশম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করলেন এক বয়স্ক শিক্ষক। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে শিক্ষকের প্রথম স্ত্রীর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তাড়াশ পৌর এলাকার শোলাপাড়া গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে রঘুনিলি মঙ্গলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক মো. মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে একই উপজেলার পৌর এলাকার খুটিগাছা গ্রামের মো. আব্দুস সালামের কন্যা ও শোলাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণি ছাত্রী সাদিয়া খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল।

কয়েক দিন আগে হঠাৎ শিক্ষক মনোয়ার হোসেন বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান। পরে স্বামীর খোঁজ পাওয়ার জন্য বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করেন স্ত্রী শামীমা। এদিকে গোপনে সংবাদ পেয়ে গত মঙ্গলবার খুঁটিগাছা তালপুকুর পাড়ে আব্দুস সালামের বাড়িতে গিয়ে স্বামী মনোয়ার হোসেন ও সাদিয়া খাতুনকে একই বিছানায় দেখতে পেয়ে এর কারণ জানতে চান।

এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী মনোয়ার হোসেন ও প্রেমিকা সাদিয়ার স্বজনরা শামীমাকে গালাগাল করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

এ ঘটনায় নিরুপায় হয়ে শামীমা জাহান বুধবার সন্ধ্যায় স্বামীর বিরুদ্ধে তাড়াশ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

শামীমা জাহান অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার স্বামী চরিত্রহীন। এর আগেও তার স্কুলের এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। আমি নিজেও স্কুলশিক্ষক। আমার প্রথম মেয়ের বিয়ে হয়েছে। মান-সম্মানের কথা চিন্তা করে তাকে শুধরানোর চেষ্টা করেছি। ব্যর্থ হয়ে অবশেষে থানায় অভিযোগ দিতে বাধ্য হলাম। আমি সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে মনোয়ার হোসেনকে কল দিলে তিনি বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, আমি সারা দিন অফিসের কাজে বাহিরে ছিলাম।বিষয়টি জেনে পরে আপনাকে জানাবো।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ছাত্রীকে বিয়ে করে উধাও শিক্ষক,প্রথম স্ত্রী গেলেন থানায়

আপডেট সময় ০৭:০৩:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

দশম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করলেন এক বয়স্ক শিক্ষক। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে শিক্ষকের প্রথম স্ত্রীর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তাড়াশ পৌর এলাকার শোলাপাড়া গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে রঘুনিলি মঙ্গলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক মো. মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে একই উপজেলার পৌর এলাকার খুটিগাছা গ্রামের মো. আব্দুস সালামের কন্যা ও শোলাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণি ছাত্রী সাদিয়া খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল।

কয়েক দিন আগে হঠাৎ শিক্ষক মনোয়ার হোসেন বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান। পরে স্বামীর খোঁজ পাওয়ার জন্য বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করেন স্ত্রী শামীমা। এদিকে গোপনে সংবাদ পেয়ে গত মঙ্গলবার খুঁটিগাছা তালপুকুর পাড়ে আব্দুস সালামের বাড়িতে গিয়ে স্বামী মনোয়ার হোসেন ও সাদিয়া খাতুনকে একই বিছানায় দেখতে পেয়ে এর কারণ জানতে চান।

এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী মনোয়ার হোসেন ও প্রেমিকা সাদিয়ার স্বজনরা শামীমাকে গালাগাল করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

এ ঘটনায় নিরুপায় হয়ে শামীমা জাহান বুধবার সন্ধ্যায় স্বামীর বিরুদ্ধে তাড়াশ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

শামীমা জাহান অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার স্বামী চরিত্রহীন। এর আগেও তার স্কুলের এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। আমি নিজেও স্কুলশিক্ষক। আমার প্রথম মেয়ের বিয়ে হয়েছে। মান-সম্মানের কথা চিন্তা করে তাকে শুধরানোর চেষ্টা করেছি। ব্যর্থ হয়ে অবশেষে থানায় অভিযোগ দিতে বাধ্য হলাম। আমি সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে মনোয়ার হোসেনকে কল দিলে তিনি বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, আমি সারা দিন অফিসের কাজে বাহিরে ছিলাম।বিষয়টি জেনে পরে আপনাকে জানাবো।