বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেল চশমা পরা হনুমান
- আপডেট সময় ০৪:০১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০২২
- / ১৯৭ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা সংরক্ষিত বন এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি চশমা পরা হনুমানের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে সড়কের কমলছড়া এলাকায় হনুমানটি মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী।
বন বিভাগের জুড়ী রেঞ্জের লাঠিটিলা বিটের দায়িত্বে থাকা ফরেস্টার মো. সালাউদ্দিন জানান, এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে মারা যাওয়া হনুমানটিকে উদ্ধার করে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। হনুমানটির শরীরে ক্ষত দেখা গেছে। বিদ্যুতের লাইনে জড়িয়ে এটি মারা গিয়ে থাকতে পারে।
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বনের কাছে অবস্থিত দিলখোশ চা-বাগান এলাকায় সড়কের পাশে মৃত অবস্থায় একটি চশমা পরা হনুমান শাবককে পাওয়া গিয়েছিল। সেটিরও মৃত্যু হয়েছিল বিদ্যুৎস্পৃষ্টে।
লাঠিটিলা বনের পাশে অবস্থিত ডোমাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা পরিবেশকর্মী খোরশেদ আলম জানান চিরসবুজ লাঠিটিলা বনে বিভিন্ন ধরনের বন্য প্রাণীর আবাস রয়েছে। বনের মাঝখান দিয়ে জুড়ী-লাঠিটিলা পাকা সড়ক গেছে। সড়কের পাশে বিদ্যুতের লাইন। গতকাল রাতে সড়কের কমলছড়া এলাকায় প্রাপ্তবয়স্ক চশমা পরা হনুমানটি মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এদিকে হনুমানসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্য প্রাণীর চলাচলের জন্য বন বিভাগের উদ্যোগে ওই বনে ‘ক্যানোপি ব্রিজ’ স্থাপন করা হয়েছে।
বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৌলভীবাজার বিভাগীয় কার্যালয়ের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মির্জা মেহেদী সারোয়ার বলেন, লাঠিটিলা বনে বিভিন্ন প্রজাতির বন্য প্রাণী সড়কের এক পাশ থেকে অন্য পাশে যেতে গিয়ে কখনো কখনো যানবাহনের চাকায় পিষ্ট হয়ে, আবার কখনো বিদ্যুতের লাইনে জড়িয়ে মারা পড়ে। এ কারণে এক পাশ থেকে অন্য পাশে সহজে যাতায়তের জন্য ‘ক্যানোপি ব্রিজ’ স্থাপন করে দেওয়া হয়েছে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর বন বিভাগের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ স্লো লরিস রিসার্চ অ্যান্ড কনজারভেশন প্রকল্প’–এর আওতায় লাঠিটিলা বনের একটি স্থানে এ ব্রিজ স্থাপন করা হয়। সেখানে এ রকম আরও দুই-তিনটি ব্রিজ স্থাপন করা হবে।