কোটচাঁদপুরে রোগী ও ক্লীনিক পক্ষের মধ্যে মারামারি,থানায় অভিযোগ
- আপডেট সময় ০৩:০৪:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২
- / ২৩৩ বার পড়া হয়েছে
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ ক্লীনিকের রোগীর টাকা দেয়াকে কেন্দ্র করে ক্লীনিক ও রোগী পক্ষের লোকজনের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে কোটচাঁদপুর নাসিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ মারামারি হয়। ওই ঘটনায় থানায় পাল্টা -পাল্টি অভিযোগ হয়েছে ।
এ ব্যাপারে ক্লীনিকের মালিক আজাদ রহমান জানান,কোটচাঁদপুরে গুড়পাড়ার তারিন খাতুন নামের এক রোগী সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়েছিল। মঙ্গলবার ওই রোগীর বাড়ি যাবার কথা ছিল। রোগীর লোকজন ক্লীনিকের পাওনা টাকা কম দেয়ার পায়তারা করছিল। বিষয়টি নিয়ে তারা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান একরাম হোসেনের কাছে যান।এরপর ক্লীনিকের পাওনা টাকা নিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায় চেয়ারম্যান ও তার ছেলে প্রিন্স আমাকে মারতে থাকে। এ সময় আমার পাটনার তোতা, ক্লীনিকের সিস্টার সাথী খাতুন ও দোকানদার সজল হোসেন ঠেকাতে গেলে, তারাও মারপিটের স্বীকার হন। এর মধ্যে আমি সহ তিন জন গুরুত্বতর আহত হয়েছি।
এ সময় তারা টেবিলের ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। ভাংচুর করেছেন ক্লীনিকের চেয়ার,টেবিল। পরে তারা ক্লীনিকের পাওনা টাকা না দিয়ে রোগী জোর করে নিয়ে গেছেন বলে দাবী আজাদ রহমানের। ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্লীনিক কতৃপক্ষ।
বিষয়টি নিয়ে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান একরামুল হক বলেন, তারিন খাতুন আমার গ্রামের রোগী। কয়েকদিন হল সে ওই ক্লীনিকে সিজারিয়ান অপারেশন করান। তাদের মধ্যে টাকার চৃক্তিও হয়েছিল।রোগীর লোকজন বাড়ি যাবার সময় কিছু টাকা কম নেয়ার জন্য ক্লীনিক কতৃপক্ষের কাছে আমাকে সুপারিশ করতে বলেন।
এ ব্যাপারে আমি ক্লীনিকের আরেক মালিক মুকুল খানকে বলি। বিষয়টি নিয়ে চটে যান আজাদ। রোগীর লোকজনের সামনে গালিগালাজ করতে থাকেন আমাকে । এ সব নিয়ে কথা বলতে ক্লীনিকে গেলে,সে আমাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে মারতে যান। খবর পেয়ে ওই সময় আমার ছেলে প্রিন্স ঘটনাস্থলে আসলে তাকেও ক্লীনিকের সবাই মারতে থাকে। এ সময় আমাদের দৃইটি মোবাইল তারা ছিনিয়ে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এস,আই) আয়ুব হোসেন বলেন, ক্লীনিকের ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে প্রকৃত ঘটনা কি,তা তদন্তের পর বলা সম্ভব হবে।