ঢাকা ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
কোটচাঁদপুর মতবিনিময় উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন জাল যার জল তার পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমান দেশীয় অ/স্ত্র উদ্ধার মৌলভীবাজার সরকারি জমি উদ্ধার করল জেলা প্রশাসন মুক্তিতে বাধা নেই জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম ভুমি ব্যবস্থাপনা সমস্যা ও উত্তরণ প্রকল্পে করণীয় শীর্ষক সেমিনার আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপন সংস্থা এসটিএলএসের দুইশত শিক্ষার্থীদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরন কমলগঞ্জ সাংবাদিকের স্ত্রীকে কু/পি/য়ে হ/ত্যা বিএনপির সম্মেলনে হামলা: ৫ নেতা শোকজ জুড়ীতে সাগরনাল ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচন সম্পন্ন সভাপতি লিয়াকত,সম্পাদক রুলন দেশের স্বার্থবিরোধী কিছুতে জামায়াতের সমর্থন নেই – ডা. শফিকুর রহমান

আদালতে বিচার চাওয়ায় প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৩৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২
  • / ১১৪৬ বার পড়া হয়েছে

জুড়ী প্রতিনিধিঃ-মৌলভীবাজারের জুড়ীতে
মধ্যপাচ্যে কাজের ভিসা দেওয়ার কথা বলে পাসপোর্ট ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী উপজেলার শাহপুর গ্রামের বাহারাম উদ্দিন চৌধুরীর পুত্র জহিরুল ইসলাম চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার(২০ অক্টোবর) উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন,জায়ফর নগর ইউনিয়নের চাটেরা গ্রামের মখদ্দছ আলী মখনের পুত্র আবুধাবি প্রবাসী সুরমান হোসেন ওরফে সলমান ও ইকবাল হোসেন তাকে কাজের ভিসায় দুবাই নেওয়ার কথা বলে দুই ধাপে তিনলক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা নেন।তাকে দুবাই ফ্লাইট দেওয়ার কথা বলে ঢাকা বিমানবন্দর পর্যন্ত নিয়ে যান।সেখানে নিয়ে বিএমএটি কার্ডে সমস্যার কথা বলে আবার বাড়িতে নিয়ে আসেন।কয়েকদিন পর মখদ্দছ আলী মখন ও তার পুত্ররা তার ভিসার মেয়াদ শেষ বলে টালবাহানা শুরু করেন।

ভুক্তভোগী পরিবার তাদের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার আদালতে মামলা করলে আদালত জুড়ী থানাকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেন। মামলার তদন্ত শেষে জুড়ী থানা পুলিশ মখদ্দছ আলী মখন,তার ছেলে ইকবাল হোসেন কে জালিয়াতি, প্রতারনা সহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত করিয়া রিপোর্ট প্রদান করে। গত ১৭ অক্টোবর মখদ্দছ আলী মখন আদালতে হাজির হলে জামিন না মন্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
অপর আসামী ইকবাল হোসেন বিদেশে পলাতক রয়েছে।ঐদিন থেকেঙ মখদ্দছ আলীর ছেলে লুকমান হোসেন,সুমন আহমদ তাদেরকে প্রাণে মারার হুমকি প্রদান করে আসছে।তাদের ভয়ে জহিরুলের পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় দিনযাপন করছে।
খোজ নিয়ে জানা যায়,মখদ্দছ আলী মখন চাটেরা গ্রামের আলোচিত কালা হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী,বর্তমানে তিনি উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছেন। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।আইনের মাধ্যমে ভুক্তভোগী পরিবার সাধারন জীবন যাপন করে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত টাকা,পাসপোর্ট ফেরত পাওয়ার আকুতি জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য ফজলু মিয়া,জহিরুলের পিতা ও আদালতে মামলার বাদী বাহারাম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আদালতে বিচার চাওয়ায় প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ

আপডেট সময় ০৯:৩৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২

জুড়ী প্রতিনিধিঃ-মৌলভীবাজারের জুড়ীতে
মধ্যপাচ্যে কাজের ভিসা দেওয়ার কথা বলে পাসপোর্ট ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী উপজেলার শাহপুর গ্রামের বাহারাম উদ্দিন চৌধুরীর পুত্র জহিরুল ইসলাম চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার(২০ অক্টোবর) উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন,জায়ফর নগর ইউনিয়নের চাটেরা গ্রামের মখদ্দছ আলী মখনের পুত্র আবুধাবি প্রবাসী সুরমান হোসেন ওরফে সলমান ও ইকবাল হোসেন তাকে কাজের ভিসায় দুবাই নেওয়ার কথা বলে দুই ধাপে তিনলক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা নেন।তাকে দুবাই ফ্লাইট দেওয়ার কথা বলে ঢাকা বিমানবন্দর পর্যন্ত নিয়ে যান।সেখানে নিয়ে বিএমএটি কার্ডে সমস্যার কথা বলে আবার বাড়িতে নিয়ে আসেন।কয়েকদিন পর মখদ্দছ আলী মখন ও তার পুত্ররা তার ভিসার মেয়াদ শেষ বলে টালবাহানা শুরু করেন।

ভুক্তভোগী পরিবার তাদের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার আদালতে মামলা করলে আদালত জুড়ী থানাকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেন। মামলার তদন্ত শেষে জুড়ী থানা পুলিশ মখদ্দছ আলী মখন,তার ছেলে ইকবাল হোসেন কে জালিয়াতি, প্রতারনা সহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত করিয়া রিপোর্ট প্রদান করে। গত ১৭ অক্টোবর মখদ্দছ আলী মখন আদালতে হাজির হলে জামিন না মন্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
অপর আসামী ইকবাল হোসেন বিদেশে পলাতক রয়েছে।ঐদিন থেকেঙ মখদ্দছ আলীর ছেলে লুকমান হোসেন,সুমন আহমদ তাদেরকে প্রাণে মারার হুমকি প্রদান করে আসছে।তাদের ভয়ে জহিরুলের পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় দিনযাপন করছে।
খোজ নিয়ে জানা যায়,মখদ্দছ আলী মখন চাটেরা গ্রামের আলোচিত কালা হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী,বর্তমানে তিনি উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছেন। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।আইনের মাধ্যমে ভুক্তভোগী পরিবার সাধারন জীবন যাপন করে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত টাকা,পাসপোর্ট ফেরত পাওয়ার আকুতি জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য ফজলু মিয়া,জহিরুলের পিতা ও আদালতে মামলার বাদী বাহারাম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ