ঢাকা ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান নিজামের ১ম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত মৌলভীবাজারে বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্য,অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই কুলাউড়া যোগদান করলেন নতুন ওসি গোলাম আপছার হবিগঞ্জের সাবেক মেয়র আতাউর রহমান সেলিম গ্রে ফ তা র ১০০ কোটি টাকা অনুদান প্রদান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না, বললেন তারেক রহমান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় নিন্দা ও প্রতিবাদ

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যয় দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রশাসন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:২৮:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২
  • / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে কোটচাঁদপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। রবিবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। গভীর রাত কিছুটা কমলেও সকালে থেকে আকাশে মেঘ জমতে থাকে। এরপর শুরু হয় টানা বৃষ্টি। সকাল থেকেই সূর্যের দেখা মেলেনি। এতে করে কমেছে দিনের তাপমাত্রা। টানা বৃষ্টি হওয়ায় সড়ক, মহাসড়কে মানুষের চলাচল খুব কম। বৃষ্টি উপেক্ষা করে যারা বের হচ্ছে তাদের ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে।
বৃষ্টি কারণে অনেককেই কর্মহীন সময় পার করতে দেখা গেছে। বেশি সমস্যায় পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। তাদের অনেককে কাজ না পেয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে। জালালপুর গ্রামের কৃষক লিটন বলেন টানা বর্ষেনের কারণে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়তে পারে মাঠ ভরা অধিক অংশ ধান জমিতে নুইয়ে পড়েছে। আর কিছু দিন পারে কাটতে হবে। জমিতে পড়ে যাওয়া ধানে ফলন ভালো হবে না। বাজেবামনদাহ পাল পাড়ার কুমার বুদো বলেন, খেয়ে না খেয়ে কষ্ট করে গড়া ১০ হাজার টাকার কুয়ার পাট ক্ষতি হয়ে গিয়েছে বৃষ্টি পানিতে। এমন ভাবে বৃষ্টি হতে থাকলে আরো ক্ষতির পরিমাণ বেশি হবে।
পৌর এলাকার সলেমানপুরের  রিক্সা চালক শাহিন জানান, সকাল থেকে এসে বসে আছি কিন্তু ভাড়া হচ্ছে  না।
দুই একটা ভাড়া হচ্ছে। লোকজনই নেই। ভাড়া কিভাবে হবে।
পৌর বাস টার্মিনালের চা বিক্রেতা নাফিজ বলেন  বৃষ্টির কারণে বেচা-বিক্রি খুবই কম। শহরে মানুষ নেই তো বিক্রি কি করে হবে।
উপজেলার বহরমপুর গ্রামের শিপন  বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে বের হওয়া যাচ্ছিলো না। তবুও জরুরী কাজ থাকায় আসতে হলো। বৃষ্টিতে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। টানা বৃষ্টি হচ্ছে বলে ভোগান্তিটা একটু বেশি।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ বলেন ইতিমধ্যে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুনেচ্ছা মিকি’র নেতৃত্ব মিটিং সম্পন্ন করে পৌর সভার মেয়র ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের  ব্যবস্থা গ্রহণ করার নিদর্শনা দিয়েছি। যেহেতু দূর্যোগ কবলিত মানুষের জন্য নির্দিষ্ট কোন আশ্রয় স্থল নেই সেহেতু উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গা প্রস্তুত করেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং এর মাধ্যমে সবাইকে অবহিত করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার জোগাড় সহ  সার্বিকভাবে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যয় দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রশাসন

আপডেট সময় ০৩:২৮:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে কোটচাঁদপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। রবিবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। গভীর রাত কিছুটা কমলেও সকালে থেকে আকাশে মেঘ জমতে থাকে। এরপর শুরু হয় টানা বৃষ্টি। সকাল থেকেই সূর্যের দেখা মেলেনি। এতে করে কমেছে দিনের তাপমাত্রা। টানা বৃষ্টি হওয়ায় সড়ক, মহাসড়কে মানুষের চলাচল খুব কম। বৃষ্টি উপেক্ষা করে যারা বের হচ্ছে তাদের ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে।
বৃষ্টি কারণে অনেককেই কর্মহীন সময় পার করতে দেখা গেছে। বেশি সমস্যায় পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। তাদের অনেককে কাজ না পেয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে। জালালপুর গ্রামের কৃষক লিটন বলেন টানা বর্ষেনের কারণে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়তে পারে মাঠ ভরা অধিক অংশ ধান জমিতে নুইয়ে পড়েছে। আর কিছু দিন পারে কাটতে হবে। জমিতে পড়ে যাওয়া ধানে ফলন ভালো হবে না। বাজেবামনদাহ পাল পাড়ার কুমার বুদো বলেন, খেয়ে না খেয়ে কষ্ট করে গড়া ১০ হাজার টাকার কুয়ার পাট ক্ষতি হয়ে গিয়েছে বৃষ্টি পানিতে। এমন ভাবে বৃষ্টি হতে থাকলে আরো ক্ষতির পরিমাণ বেশি হবে।
পৌর এলাকার সলেমানপুরের  রিক্সা চালক শাহিন জানান, সকাল থেকে এসে বসে আছি কিন্তু ভাড়া হচ্ছে  না।
দুই একটা ভাড়া হচ্ছে। লোকজনই নেই। ভাড়া কিভাবে হবে।
পৌর বাস টার্মিনালের চা বিক্রেতা নাফিজ বলেন  বৃষ্টির কারণে বেচা-বিক্রি খুবই কম। শহরে মানুষ নেই তো বিক্রি কি করে হবে।
উপজেলার বহরমপুর গ্রামের শিপন  বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে বের হওয়া যাচ্ছিলো না। তবুও জরুরী কাজ থাকায় আসতে হলো। বৃষ্টিতে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। টানা বৃষ্টি হচ্ছে বলে ভোগান্তিটা একটু বেশি।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ বলেন ইতিমধ্যে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুনেচ্ছা মিকি’র নেতৃত্ব মিটিং সম্পন্ন করে পৌর সভার মেয়র ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের  ব্যবস্থা গ্রহণ করার নিদর্শনা দিয়েছি। যেহেতু দূর্যোগ কবলিত মানুষের জন্য নির্দিষ্ট কোন আশ্রয় স্থল নেই সেহেতু উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গা প্রস্তুত করেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং এর মাধ্যমে সবাইকে অবহিত করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার জোগাড় সহ  সার্বিকভাবে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।