ঢাকা ০২:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“ গণপিটুনি বে-আইনী ও ঝুঁকিপূর্ণ 

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৫৩:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২
  • / ৭১৬ বার পড়া হয়েছে

সাম্প্রতিক সময়ে গণপিটুনি দেশে একটি আলোচিত বিষয়। ইসলামে গণপিটুনি হারাম ও সবচেয়ে বড় গোনাহের কাজ বলে বিবেচিত হয়। ইসলাম কোনোভাবেই গণপিটুনিকে সমর্থন করা হয় না। তা চিরস্থায়ী জাহান্নামে নিক্ষেপ ও কঠিন শাস্তি ভোগের অন্যতম কারণও বটে। কোনো মানুষ যদি অপরাধী হয় তবে তার জন্য বিচার ব্যবস্থা রয়েছে। কোনো ব্যক্তিকে অপরাধ করতে দেখলেই সবাই মিলে তাকে পেটাতে হবে কিংবা শাস্তি দিতে হবে, ইসলাম এমনটি সমর্থন করে না। অপরাধী কিংবা নিরাপরাদ যেই হোক না কেন, দেশের আইনেও কোনো মানুষকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা কিংবা যখম করার কোনো সুযোগ নেই। অথচ আমরা জানি দেশব্যাপী বিভিন্ন কাররে চলছে গণপিটুনির ঘটনা। যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারেনা। তাছাড়াও গণপিটুনিতে যারা যেভাবেই অংশগ্রহণ করুক না কেন, সবাই সমান অপরাধী। এ সম্পর্কে কুরআন ও হাদিসে রয়েছে সুস্পষ্ট বক্তব্য। ‘যারা ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো মুমিনকে হত্যা করবে, তার প্রতিদান হচ্ছে জাহান্নাম, সেখানে সে চিরস্থায়ী হবে। আর আল্লাহ তার ওপর রাগান্বিত হবেন, তাকে লানত (অভিশাপ) করবেন। আর তার জন্য কঠিন আজাব প্রস্তুত করে রাখবেন।’ (সুরা নিসা : আয়াত ৯৩)
বর্তমান সময়ে চোর, ডাকাতকে হাতেনাতে ধরে কিংবা সন্দেহের বশে অতিউৎসাহী জনতা মারাত্বকভাবে জখম বা কোন কোন সময় মানুষ হত্যা করে ফেলেন। গনপিটুনির বিষয়ে অনেক জনতার মন্তব্য হল এই যে, চোর বা ডাকাতকে গনপিটুনি না দিয়ে পুলিশের হাতে দিয়ে দিলে তাহারা থানা থেকে ছাড়া পেয়ে যায়, বা মামলা দায়ের হলে পরে জামিন পেয়ে পুনরায় এমন কাজে আবার লিপ্ত হয় তাই তারা প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে এমনটা করেন। অনেক সময় চোর বা ডাকাতদের হাতে ভয়ানক অস্ত্র থাকার কারনে বাধ্য হয়ে গনপিটুনি দেওয়া হয়। এমনচিত্রই বিভিন্ন যায়গায় দেখা যায়। তবে গনপিটুনির বিষয়ে প্রশাসনের উদাসীনতা পরিলক্ষিত আছে। বর্তমান সময়ে গণপিটুনি দিয়ে গণপিটুনির ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয় যা স্পষ্টই মানবাধীকার লঙ্গন। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাবে বলছে সারা দেশে ব্যপকভাবে গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে যা কিনা আতঙ্কের বিষয়। তবে যারা গনপিটুনি দেন তাদের পিটুনির কারনে যদি ভিকটিম মারা যায় তাহলে কিন্ত গনপিটুনিতে অংশগ্রহনকারী সকল ব্যাক্তি হত্যা মামলার আসামী হবার সম্ভাবনা থেকে যায়। যাহার কারনে গনপিটুনি অবশ্যই একটি বে-আইনী এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। সম্প্রতি মৌলভীবাজারের গিয়াসনগর ইউনিয়নের মোকামবাজারে এরকম একটি মামলার নজির স্থাপন হয়েছে। তাই চোর বা ডাকাতকে ধরতে পারলে তাকে থানার হেফাজতে প্রদান করাটাই শ্রেয়। সন্দেহের বশে বা তুচ্ছ কোন ঘটনায় কাওকে গনপিটুনি দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকাটা জরুরী।

আমাদের, সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রের সকল নাগরিক আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। অনুচ্ছেদ ৩১ বলছে আইনানুযায়ী ব্যতীত এমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না যাতে কোন ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনামে বা সম্পত্তির হানি ঘটে। তাহলে এই যে গণপিটুনিতে জখম কিংবা মেরে ফেলা হয় এটা নিশ্চয় বে-আইনী।

আন্তর্জাতীকভাবেও গণপিটুনির বিরুদ্ধে আইন আছে। মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা-১৯৪৮, এর ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে একজন মানুষকে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে তার জীবন যাপনের নিশ্চয়তা প্রদান করেছে। আমাদের বাংলাদেশের সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদেও বিষয়টি আলোকপাত করা হয়েছে। সুতরাং, গণপিটুণির ঘটনাটি স্পষ্ট একটি আন্তর্জাতিক দলিলের লংঘন। মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা-১৯৪৮ এর অনুচ্ছেদ ৫ অনুযায়ী আপনি কারো প্রতি নির্যাতন, অত্যাচার, নিষ্টুরতা, অমানবিক আচরণ প্রদর্শন না করার কথা বলা হয়েছে।

দুঃখের বিষয় আমাদের দেশে বিভিন্ন অপরাধের বিষয়ে আইন থাকলেও গণপিটুনির জন্য কোন আইন বা বিধান নেই। তবে, গণপিটুণিতে যদি কেউ জখমপ্রাপ্ত হয় বা মারা যায় তাহলে ভিকটিমের পরিবার দন্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক মামলা দায়ের করতে পারেন। তাছাড়া গণপিটুনিতে অংশগ্রহনের জন্য গণপিটুনির অপরাধ সংঘটনে সহায়তার কারনে সাজা প্রদান করা যায়। এমতাবস্থায়, আমাদের দেশে এখন গণপিটুণি বিরোধী একটি আইন প্রণয়ন করা সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাছাড়াও গণপিটুনি রোধে নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে আইনজীবী ইশরাত হাসান হাইকোর্টে রিট দায়ের করিলে আদালতের গণপিটুনি রোধে পাঁচ দফা নির্দেশনা মেনে চলা অতীব প্রয়োজন (১) পুলিশের প্রত্যেক সার্কেল অফিসার তার অধীনের প্রতিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে ৬ মাসে অন্তত ১ গণপিটুনি প্রবণতার বর্তমান অবস্থা নিয়ে বৈঠক করবেন (২) গণপিটুণির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার প্রচার কার্যক্রম গণমাধ্যমে প্রচারণা অব্যাহত রাখবে ন (৩) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে কোনো ধরনের অডিও, ভিডিও, মেসেজ যা গুজব সৃষ্টি বা গণপিটুনিতে মানুষকে উত্তেজিত করতে পারে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। (৪)যে দুষ্কৃতকারীরা এ কাজে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন (৫) যখনই গণপিটুনির কোনো ঘটনা ঘটবে, কোনো রকম দেরি না করে তখনই থানার ওসি এফ আই আর নিতে বাধ্য থাকবেন এবং তা সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারকে অবহিত করবেন ।। এই নির্দেশনাগুলো অন্তর্ভুক্ত করে গণপিটুণি সংক্রান্ত বিশেষ আইন প্রণয়ন করা হলে প্রতিরোধ, প্রতিকার ও বিচারকাজ আরও কার্যকরভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

তথ্য সংগ্রহ ও লেখক: এডভোকেট, নিয়ামুল হক, জজ কোর্ট, মৌলভীবাজার।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

“ গণপিটুনি বে-আইনী ও ঝুঁকিপূর্ণ 

আপডেট সময় ০৪:৫৩:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২

সাম্প্রতিক সময়ে গণপিটুনি দেশে একটি আলোচিত বিষয়। ইসলামে গণপিটুনি হারাম ও সবচেয়ে বড় গোনাহের কাজ বলে বিবেচিত হয়। ইসলাম কোনোভাবেই গণপিটুনিকে সমর্থন করা হয় না। তা চিরস্থায়ী জাহান্নামে নিক্ষেপ ও কঠিন শাস্তি ভোগের অন্যতম কারণও বটে। কোনো মানুষ যদি অপরাধী হয় তবে তার জন্য বিচার ব্যবস্থা রয়েছে। কোনো ব্যক্তিকে অপরাধ করতে দেখলেই সবাই মিলে তাকে পেটাতে হবে কিংবা শাস্তি দিতে হবে, ইসলাম এমনটি সমর্থন করে না। অপরাধী কিংবা নিরাপরাদ যেই হোক না কেন, দেশের আইনেও কোনো মানুষকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা কিংবা যখম করার কোনো সুযোগ নেই। অথচ আমরা জানি দেশব্যাপী বিভিন্ন কাররে চলছে গণপিটুনির ঘটনা। যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারেনা। তাছাড়াও গণপিটুনিতে যারা যেভাবেই অংশগ্রহণ করুক না কেন, সবাই সমান অপরাধী। এ সম্পর্কে কুরআন ও হাদিসে রয়েছে সুস্পষ্ট বক্তব্য। ‘যারা ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো মুমিনকে হত্যা করবে, তার প্রতিদান হচ্ছে জাহান্নাম, সেখানে সে চিরস্থায়ী হবে। আর আল্লাহ তার ওপর রাগান্বিত হবেন, তাকে লানত (অভিশাপ) করবেন। আর তার জন্য কঠিন আজাব প্রস্তুত করে রাখবেন।’ (সুরা নিসা : আয়াত ৯৩)
বর্তমান সময়ে চোর, ডাকাতকে হাতেনাতে ধরে কিংবা সন্দেহের বশে অতিউৎসাহী জনতা মারাত্বকভাবে জখম বা কোন কোন সময় মানুষ হত্যা করে ফেলেন। গনপিটুনির বিষয়ে অনেক জনতার মন্তব্য হল এই যে, চোর বা ডাকাতকে গনপিটুনি না দিয়ে পুলিশের হাতে দিয়ে দিলে তাহারা থানা থেকে ছাড়া পেয়ে যায়, বা মামলা দায়ের হলে পরে জামিন পেয়ে পুনরায় এমন কাজে আবার লিপ্ত হয় তাই তারা প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে এমনটা করেন। অনেক সময় চোর বা ডাকাতদের হাতে ভয়ানক অস্ত্র থাকার কারনে বাধ্য হয়ে গনপিটুনি দেওয়া হয়। এমনচিত্রই বিভিন্ন যায়গায় দেখা যায়। তবে গনপিটুনির বিষয়ে প্রশাসনের উদাসীনতা পরিলক্ষিত আছে। বর্তমান সময়ে গণপিটুনি দিয়ে গণপিটুনির ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয় যা স্পষ্টই মানবাধীকার লঙ্গন। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাবে বলছে সারা দেশে ব্যপকভাবে গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে যা কিনা আতঙ্কের বিষয়। তবে যারা গনপিটুনি দেন তাদের পিটুনির কারনে যদি ভিকটিম মারা যায় তাহলে কিন্ত গনপিটুনিতে অংশগ্রহনকারী সকল ব্যাক্তি হত্যা মামলার আসামী হবার সম্ভাবনা থেকে যায়। যাহার কারনে গনপিটুনি অবশ্যই একটি বে-আইনী এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। সম্প্রতি মৌলভীবাজারের গিয়াসনগর ইউনিয়নের মোকামবাজারে এরকম একটি মামলার নজির স্থাপন হয়েছে। তাই চোর বা ডাকাতকে ধরতে পারলে তাকে থানার হেফাজতে প্রদান করাটাই শ্রেয়। সন্দেহের বশে বা তুচ্ছ কোন ঘটনায় কাওকে গনপিটুনি দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকাটা জরুরী।

আমাদের, সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রের সকল নাগরিক আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। অনুচ্ছেদ ৩১ বলছে আইনানুযায়ী ব্যতীত এমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না যাতে কোন ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনামে বা সম্পত্তির হানি ঘটে। তাহলে এই যে গণপিটুনিতে জখম কিংবা মেরে ফেলা হয় এটা নিশ্চয় বে-আইনী।

আন্তর্জাতীকভাবেও গণপিটুনির বিরুদ্ধে আইন আছে। মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা-১৯৪৮, এর ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে একজন মানুষকে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে তার জীবন যাপনের নিশ্চয়তা প্রদান করেছে। আমাদের বাংলাদেশের সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদেও বিষয়টি আলোকপাত করা হয়েছে। সুতরাং, গণপিটুণির ঘটনাটি স্পষ্ট একটি আন্তর্জাতিক দলিলের লংঘন। মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা-১৯৪৮ এর অনুচ্ছেদ ৫ অনুযায়ী আপনি কারো প্রতি নির্যাতন, অত্যাচার, নিষ্টুরতা, অমানবিক আচরণ প্রদর্শন না করার কথা বলা হয়েছে।

দুঃখের বিষয় আমাদের দেশে বিভিন্ন অপরাধের বিষয়ে আইন থাকলেও গণপিটুনির জন্য কোন আইন বা বিধান নেই। তবে, গণপিটুণিতে যদি কেউ জখমপ্রাপ্ত হয় বা মারা যায় তাহলে ভিকটিমের পরিবার দন্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক মামলা দায়ের করতে পারেন। তাছাড়া গণপিটুনিতে অংশগ্রহনের জন্য গণপিটুনির অপরাধ সংঘটনে সহায়তার কারনে সাজা প্রদান করা যায়। এমতাবস্থায়, আমাদের দেশে এখন গণপিটুণি বিরোধী একটি আইন প্রণয়ন করা সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাছাড়াও গণপিটুনি রোধে নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে আইনজীবী ইশরাত হাসান হাইকোর্টে রিট দায়ের করিলে আদালতের গণপিটুনি রোধে পাঁচ দফা নির্দেশনা মেনে চলা অতীব প্রয়োজন (১) পুলিশের প্রত্যেক সার্কেল অফিসার তার অধীনের প্রতিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে ৬ মাসে অন্তত ১ গণপিটুনি প্রবণতার বর্তমান অবস্থা নিয়ে বৈঠক করবেন (২) গণপিটুণির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার প্রচার কার্যক্রম গণমাধ্যমে প্রচারণা অব্যাহত রাখবে ন (৩) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে কোনো ধরনের অডিও, ভিডিও, মেসেজ যা গুজব সৃষ্টি বা গণপিটুনিতে মানুষকে উত্তেজিত করতে পারে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। (৪)যে দুষ্কৃতকারীরা এ কাজে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন (৫) যখনই গণপিটুনির কোনো ঘটনা ঘটবে, কোনো রকম দেরি না করে তখনই থানার ওসি এফ আই আর নিতে বাধ্য থাকবেন এবং তা সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারকে অবহিত করবেন ।। এই নির্দেশনাগুলো অন্তর্ভুক্ত করে গণপিটুণি সংক্রান্ত বিশেষ আইন প্রণয়ন করা হলে প্রতিরোধ, প্রতিকার ও বিচারকাজ আরও কার্যকরভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

তথ্য সংগ্রহ ও লেখক: এডভোকেট, নিয়ামুল হক, জজ কোর্ট, মৌলভীবাজার।