ঢাকা ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজারের ৪টি আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সারা দেশে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ উলুয়াইল ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত এম সাইফুর রহমানের সহধর্মিণীর মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত আপনার এসপি সেবা’  চালু বিএনপি সময়ের হাসপাতালের যন্ত্রপাতি নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ” – নাসের রহমান মৌলভীবাজারে বাজারে বাজারে জনসংযোগে নাসের রহমান বিএনপির ৩১ দফার প্রচারপত্র বিলি, জনতার ঢল মৌলভীবাজারে হেক্সাস এবং বিট্রিশ কাউন্সিলের যৌথ উদ্দোগে চালু হয়েছে কম্পিউটার বেইজ আইএলটিএস এক্সাম সেন্টার জুড়ী মানবিক সোসাইটির উদ্যোগে ছাদিছ জামাতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত সময় ও সম্পদের কুরবানী দিতে রুকনদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। -মাওলানা হাবিবুর রহমান

সমবায়ী প্রতিষ্ঠানকে জনমুখী হতে হবে: রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:১৮:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৫২ বার পড়া হয়েছে

সমবায়ী প্রতিষ্ঠানকে জনমুখী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাও নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছে তিনি।

শনিবার ৫১তম ‘জাতীয় সমবায় দিবস’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, সমবায় আন্দোলনকে টেকসই রূপ দিতে কৃষি ও অন্যান্য উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগসহ উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণ ও পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চি করা খুবই জরুরি।

পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তার পাশাপাশি সমবায়ী প্রতিষ্ঠানকে হতে হবে জনমুখী। সমবায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই জাতির পিতার সমবায় ভাবনার আলোকে সব ধরনের বৈষম্য দূর করে দেশ এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধির দিকে।

৫১তম জাতীয় সমবায় দিবস পালনের জন্য নির্ধারিত প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রাম সমবায়ের মাধ্যমে একটি স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। কারণ, সমবায়কে তিনি (বঙ্গবন্ধু) উন্নয়নের অন্যতম প্রায়োগিক পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। সেই লক্ষ্যেই তিনি গ্রামে-গ্রামে বহুমুখী কো-অপারেটিভ গড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু সমবায়ের আদর্শে দেশের উৎপাদন ব্যবস্থা তৈরি করে সাধারণ মানুষের স্বনির্ভরতা অর্জনের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেছিলেন।

তিনি জাতির পিতার অর্থনৈতিক দর্শন ‘সমবায়’ শক্তিকে একটি গণমুখী সমবায় আন্দোলনে পরিণত করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষুধা, দারিদ্র্য, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নানামুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সরকার সমবায়ের মাধ্যমে কৃষি জমি ও অন্যান্য সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে ব্যাপক কার্যক্রম নিয়েছে।

‘দারিদ্র্য বিমোচন ও নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বিপুল সংখ্যক গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ক্ষুদ্র ঋণ, আয়বর্ধনমূলক প্রশিক্ষণ ও উপকরণসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে’—যোগ করেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি ৫১তম জাতীয় সমবায় দিবসের সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সমবায়ী প্রতিষ্ঠানকে জনমুখী হতে হবে: রাষ্ট্রপতি

আপডেট সময় ০৪:১৮:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০২২

সমবায়ী প্রতিষ্ঠানকে জনমুখী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাও নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছে তিনি।

শনিবার ৫১তম ‘জাতীয় সমবায় দিবস’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, সমবায় আন্দোলনকে টেকসই রূপ দিতে কৃষি ও অন্যান্য উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগসহ উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণ ও পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চি করা খুবই জরুরি।

পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তার পাশাপাশি সমবায়ী প্রতিষ্ঠানকে হতে হবে জনমুখী। সমবায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই জাতির পিতার সমবায় ভাবনার আলোকে সব ধরনের বৈষম্য দূর করে দেশ এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধির দিকে।

৫১তম জাতীয় সমবায় দিবস পালনের জন্য নির্ধারিত প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রাম সমবায়ের মাধ্যমে একটি স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। কারণ, সমবায়কে তিনি (বঙ্গবন্ধু) উন্নয়নের অন্যতম প্রায়োগিক পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। সেই লক্ষ্যেই তিনি গ্রামে-গ্রামে বহুমুখী কো-অপারেটিভ গড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু সমবায়ের আদর্শে দেশের উৎপাদন ব্যবস্থা তৈরি করে সাধারণ মানুষের স্বনির্ভরতা অর্জনের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেছিলেন।

তিনি জাতির পিতার অর্থনৈতিক দর্শন ‘সমবায়’ শক্তিকে একটি গণমুখী সমবায় আন্দোলনে পরিণত করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষুধা, দারিদ্র্য, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নানামুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সরকার সমবায়ের মাধ্যমে কৃষি জমি ও অন্যান্য সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে ব্যাপক কার্যক্রম নিয়েছে।

‘দারিদ্র্য বিমোচন ও নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বিপুল সংখ্যক গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ক্ষুদ্র ঋণ, আয়বর্ধনমূলক প্রশিক্ষণ ও উপকরণসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে’—যোগ করেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি ৫১তম জাতীয় সমবায় দিবসের সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।