ঢাকা ০৫:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরিত্যক্ত কূপ থেকে প্রতিদিন মিলবে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৫৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২
  • / ২২৩ বার পড়া হয়েছে

সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের পরিত্যক্ত ১ নম্বর কূপ থেকে শিগগিরই গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে। প্রতিদিন এই কূপ থেকে ১০ মিলিয়ন ঘন ফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।

গত ১০ সেপ্টেম্বর সিলেট গ্যাস ফিল্ডের বিয়ানীবাজারের এই কূপে খনন কাজ শুরু করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। মাত্র ২ মাসের মাথায় বৃহস্পতিবার পরিত্যক্ত এই কুপে গ্যাসের বড় মজুত পেয়েছে তারা। এই কূপে গ্যাসের মজুত থাকার কথা নিশ্চিত করেন সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শাহিনুর ইসলাম ঢাকা টাইমসকে জানান, শিগগিরই এ কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে। প্রতিদিন অন্তত ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করছি আমরা । ২০২৩ সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। সব প্রকল্প বাস্তবায়নের পর ২০২৫ সালের মধ্যে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড থেকে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ১৬৪ মিলিয়ন ঘনফুট বৃদ্ধি পাওয়ার আশা রয়েছে বলে জানান ওই প্রকৌশলী ।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস সূত্র আরে জানায়, সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের অধীন বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রে দুটি কূপ রয়েছে। এর মধ্যে ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯৯ সালে উৎপাদন শুরু হয়। ওই সময় বিপুল পরিমাণ গ্যাস যেতো জাতীয় গ্রিডে। ২০১৪ সালে আকস্মিকভাবে গ্যাসকুপটি বন্ধ হয়ে যায়। ফের ২০১৬ সালের শুরুতে উৎপাদন শুরু হয়ে আবার ওই বছরের শেষ দিকে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বিয়ানীবাজার গ্যাসকুপ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।দেশে গ্যাসের সংকট দেখা দিলে সরকার গ্যাস উত্তোলনে মনযোগ দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে এই গ্যাস কুপে আবারও খননকাজ শুরু হয়।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের এক কর্মকাতা জনান, এই কূপে প্রতিদিন ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মিলতে পারে। তাছাড়া সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল ) অধীন বিয়ানীবাজারের কূপ ছাড়াও গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা—৮ ও গোয়াইনঘাট—১০ নম্বর কূপ খনন এবং রশিদপুরে ১টি পাইপলাইন স্থাপন প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের কাজ শেষে এসজিএফএলের গ্যাস উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে।

দুটি প্রকল্পের আওতায় বিয়ানীবাজার ফিল্ড এবং ব্লক—১৩ ও ১৪—এর আওতায় ডুপিটিলা, বাতচিয়া, হারারগঞ্জ, জকিগঞ্জ ও সিলেট সাউথে ত্রিমাত্রিক সিসমিক জরিপ কাজ সম্পন্নের পথে।

উল্লেখ্য, গ্যাসের জন্য খ্যাতি রয়েছে সিলেটের। ১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান মেলে। এরপর আবিষ্কৃত হয় আরও বেশ কিছু গ্যাসক্ষেত্র। দেশে বর্তমানে ২৮টি আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। এসব গ্যাসক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুতের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন বর্গফুট (টিসিএফ)। আরও ৬ টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুত।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পরিত্যক্ত কূপ থেকে প্রতিদিন মিলবে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

আপডেট সময় ১১:৫৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২

সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের পরিত্যক্ত ১ নম্বর কূপ থেকে শিগগিরই গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে। প্রতিদিন এই কূপ থেকে ১০ মিলিয়ন ঘন ফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।

গত ১০ সেপ্টেম্বর সিলেট গ্যাস ফিল্ডের বিয়ানীবাজারের এই কূপে খনন কাজ শুরু করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। মাত্র ২ মাসের মাথায় বৃহস্পতিবার পরিত্যক্ত এই কুপে গ্যাসের বড় মজুত পেয়েছে তারা। এই কূপে গ্যাসের মজুত থাকার কথা নিশ্চিত করেন সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শাহিনুর ইসলাম ঢাকা টাইমসকে জানান, শিগগিরই এ কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে। প্রতিদিন অন্তত ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করছি আমরা । ২০২৩ সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। সব প্রকল্প বাস্তবায়নের পর ২০২৫ সালের মধ্যে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড থেকে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ১৬৪ মিলিয়ন ঘনফুট বৃদ্ধি পাওয়ার আশা রয়েছে বলে জানান ওই প্রকৌশলী ।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস সূত্র আরে জানায়, সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের অধীন বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রে দুটি কূপ রয়েছে। এর মধ্যে ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯৯ সালে উৎপাদন শুরু হয়। ওই সময় বিপুল পরিমাণ গ্যাস যেতো জাতীয় গ্রিডে। ২০১৪ সালে আকস্মিকভাবে গ্যাসকুপটি বন্ধ হয়ে যায়। ফের ২০১৬ সালের শুরুতে উৎপাদন শুরু হয়ে আবার ওই বছরের শেষ দিকে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বিয়ানীবাজার গ্যাসকুপ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।দেশে গ্যাসের সংকট দেখা দিলে সরকার গ্যাস উত্তোলনে মনযোগ দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে এই গ্যাস কুপে আবারও খননকাজ শুরু হয়।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের এক কর্মকাতা জনান, এই কূপে প্রতিদিন ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মিলতে পারে। তাছাড়া সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল ) অধীন বিয়ানীবাজারের কূপ ছাড়াও গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা—৮ ও গোয়াইনঘাট—১০ নম্বর কূপ খনন এবং রশিদপুরে ১টি পাইপলাইন স্থাপন প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের কাজ শেষে এসজিএফএলের গ্যাস উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে।

দুটি প্রকল্পের আওতায় বিয়ানীবাজার ফিল্ড এবং ব্লক—১৩ ও ১৪—এর আওতায় ডুপিটিলা, বাতচিয়া, হারারগঞ্জ, জকিগঞ্জ ও সিলেট সাউথে ত্রিমাত্রিক সিসমিক জরিপ কাজ সম্পন্নের পথে।

উল্লেখ্য, গ্যাসের জন্য খ্যাতি রয়েছে সিলেটের। ১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান মেলে। এরপর আবিষ্কৃত হয় আরও বেশ কিছু গ্যাসক্ষেত্র। দেশে বর্তমানে ২৮টি আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। এসব গ্যাসক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুতের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন বর্গফুট (টিসিএফ)। আরও ৬ টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুত।