শ্রীমঙ্গল ও ভানুগাছে আরসিসি ঢালাইকাজে ধীরগতি জনগনের ভূগান্তি
- আপডেট সময় ১২:২৩:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২
- / ১৯৭ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়কে বিভিন্ন অংশে আরসিসি ঢালাই কাজে ধীরগতিতে পথচারী, ব্যবসায়ী ও যানবাহন চালকদের পড়তে হচ্ছে ভূগান্তিতে। আর কাজের মেয়াদ শেষ হতে বাকী মাত্র একমাস কিন্তু এই সড়কের তিনটি পয়েন্টের কোন অংশের কাজই এখনও শেষ হয়নি।
সরজমিনে দেখাযায় শ্রমঙ্গল চৌমুহনী থেকে সমশের নগর পর্যন্ত একাধিক অংশে আরসিসি ঢালাই এর কাজ চলছে ধীর গতিতে। কখনও থাকছে বন্ধও। এরই মধ্যে শ্রীমঙ্গল ষ্টেশন রোডের রাস্তার একাংশের কাজ সম্পন্ন হলেও অপর অংশের কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে কমলগঞ্জ ভানুগাছ চৌমুহনীতে এক অংশের কাজ চলছে ধীরগতিতে অন্য অংশ মাটি কুঁড়ে রাখা হয়েছে। এতে যানবাহন ও পথচারী চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। ভানুগাছ চৌমুহনীর ব্যবসায়ী গ্রামের বাড়ি হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের মালিক মো. সাইফুর রহমান জানান, গত মে মাসে তার রেস্টুরেন্টের সামনে আরসিসি ঢালাইএর সীমানা গাঁথনীরজন্য বড় গর্ত কুঁড়া হয়েছে। এতে বিগত ৬মাস ধরে তার ব্যবসা প্রায় বন্ধ। সহসা এর কাজ শুরু না করলে তাকে পথে বসতে হবে।
এ ব্যাপারে ভানুগাছ ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন জানান, কমগঞ্জের সবচেয়ে ব্যস্ততম বাজার হচ্ছে ভানুগাছ বাজার এই বাজারে দীর্ঘদিন ধরে মাটি কুঁড়ে রাখা হয়েছে কাজের গতি মন্তর। এতে বাজারের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগস্থ হচ্ছেন।
এ সময় ভানুগাছ বাজারের বাসিন্দা ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলী সিরাজী জানান, ভানুগাছ চৌমুহনীতে গ্রামের বাড়ি হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের সামনে গর্ত করে রাখা হয়েছে এই গর্তে আলেপুরের জরিনা বেগম নামে এক মহিলা পড়ে আহত হন। শুধু জরিনা নয় আরো অনেকেই আহত হয়েছেন। তা ছাড়া গাড়ি থেকে যাত্রী উঠানাম এখানেই করে থাকেন। যাত্রীদেরও ভূগান্তি হচ্ছে।
এদিকে শ্রীমঙ্গল ষ্টেশন রোডের ব্যবসায়ী গৌতম দেব জানান, রাস্তা অর্ধেক করে রাখাতে ষ্টেশন রোডে জানযট লেগেই থাকে। তাছাড়া প্রায়ই আরসিসি ঢালাই এর একপাশের উঁচু অংশ থেকে নিচু অংশে রিক্সা, অটো পড়ে গিয়ে মানুষজন আহত হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়া উদ্দিন জানান, আগামী ২২ ডিসেম্বর এই কাজের মেয়াদ শেষ হবে। তিনি আশা করছেন এই সময়ের মধ্যেই কাজগুলো শেষ হবে। এ সময় তিনি বলেন এই ঢালাইগুলো ব্যস্ততম এলাকায়। তাছাড়া একপাশ এক পাশ করে কাজ করতে গিয়ে একটু বিলম্ব হচ্ছে।