ঢাকা ১২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
চাঁদা নিতে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ আটক ৫ শেখ মোঃ আতিকুর রহমানকে মৌলভীবাজার জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম যুক্তরাজ্যের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি আমাদের লড়াই ছিলো ফ‍্যাসিস্ট রাষ্ট্র ফ‍্যাসিস্ট বাহিনীর বিরোধী মৌলভীবাজারে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দুই নম্বরি,বাটপারি করার চিন্তা থাকলে আগেই দল থেকে বের হয়ে যান,ধরা পড়লে কিন্তু খবর আছে- এম নাসের রহমান মৌলভীবাজারে এসএসসি/দাখিল জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ছা*ত্রশিবিরের সংবর্ধনা এনসিপির নেতৃত্বে আগামীতে বাংলাদেশের ক্ষমতা জনগনের হাতে ফিরিয়ে দিবো জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনে যে সকল ছাত্র জনতা শাহাদাত বরণ করেছেন তাঁদের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা মিথ্যা জবানবন্দির বিরুদ্ধে রাতগাঁও গ্রামে মানববন্ধন মৌলভীবাজার পাহাড়ী টিলা কাটায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা উলুয়াইল ইসলামিয়া আলিম মাদরাসায় ২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

আজ এইদিনে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন ম্যারাডোনা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৪৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২
  • / ৫৭০ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্কঃ

পুরো বিশ্ব সেদিন কেঁপে উঠেছিল একসঙ্গে। যেই শুনেছে, এক মুহূর্ত থমকে গিয়েছিল সবাই। হুট করেই পরপারে পাড়ি দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। যাকে বলা হয় ‘ফুটবলের ঈশ্বর’।

কথায় আছে না কীর্তিমানের মৃত্যু নেই, ম্যারাডোনা তো বিশ্বের কীর্তিমানই।

২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর ৬০ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন ম্যারাডোনা। সময়ের পরিক্রমায় আজ এই আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলারের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। মানুষ আজও তাকে মনে রেখেছে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে।

জীবন ক্ষণস্থায়ী, আর ছোট্ট এই জীবনে যে ব্যক্তি নিজের নামের প্রতি সঠিক সুবিচার করতে পারবে মানুষ তাকে ততদিন মনে রাখবে। ডিয়াগো আরমানদো ম্যারাডোনা ঠিক তেমনই একজন। বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই কিংবদন্তি ফুটবলার ম্যারাডোনার পৃথিবীতে না থাকার বয়স আজ দুই বছর পুর্ণ হলো।

১৯৮৪ থেকে ১৯৯১ সাল, ম্যারাডোনা দীর্ঘ ৭ বছর ফুটবলের আলো ছড়িয়েছেন ইতালির দল নাপোলিতে। ফলে ক্লাব নাপোলির পাশাপাশি ইতালিতেও তিনি ছিলেন ঘরের ছেলের মতো। তাইতো নাপোলির ১০ নম্বর জার্সির মালিক কেবলই ম্যারাডোনা। তার প্রতি সম্মান রেখে এই জার্সি আর কাউকে দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালির এই ক্লাবটি। এমনকি তার মৃত্যুর পর নাপোলির ‘সাম পাওলো’ স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘দিয়েগো আরমানদো ম্যারাডোনা’ স্টেডিয়াম।

অনেক বিশেষজ্ঞ, ফুটবল সমালোচক, সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড় এবং ফুটবল সমর্থক তাকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে গণ্য করেন। তিনি বিশ্বফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফিফার বিংশ শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় পেলের সঙ্গে যৌথভাবে ছিলেন।

ম্যারাডোনাই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি দুইবার স্থানান্তর ফির ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। প্রথমবার বার্সেলোনায় স্থানান্তরের সময় ৫ মিলিয়ন ইউরো এবং দ্বিতীয়বার নাপোলিতে স্থানান্তরের সময় ৬.৯ মিলিয়ন ইউরো।

পেশাদার ক্যারিয়ারে ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনা জুনিয়র্স, বোকা জুনিয়র্স, বার্সেলোনা, নাপোলি, সেভিয়া এবং নিওয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে খেলেছেন।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আর্জেন্টিনার হয়ে তিনি ৯১ খেলায় ৩৪ গোল করেন। তিনি চারটি ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেন। যার মধ্যে ছিল ১৯৮৬ বিশ্বকাপ, যেখানে তিনি আর্জেন্টিনার অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দলকে বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্ব দেন। প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় হিসেবে স্বর্ণপদক জেতেন।

ম্যানেজার হিসেবে খুব কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও ২০০৮ সালের নভেম্বরে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব দেয়া হয় ম্যারাডোনাকে। ২০১০ বিশ্বকাপের পর চুক্তি শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি আঠারো মাস এই দায়িত্বে ছিলেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আজ এইদিনে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন ম্যারাডোনা

আপডেট সময় ০৮:৪৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২

আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্কঃ

পুরো বিশ্ব সেদিন কেঁপে উঠেছিল একসঙ্গে। যেই শুনেছে, এক মুহূর্ত থমকে গিয়েছিল সবাই। হুট করেই পরপারে পাড়ি দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। যাকে বলা হয় ‘ফুটবলের ঈশ্বর’।

কথায় আছে না কীর্তিমানের মৃত্যু নেই, ম্যারাডোনা তো বিশ্বের কীর্তিমানই।

২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর ৬০ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন ম্যারাডোনা। সময়ের পরিক্রমায় আজ এই আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলারের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। মানুষ আজও তাকে মনে রেখেছে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে।

জীবন ক্ষণস্থায়ী, আর ছোট্ট এই জীবনে যে ব্যক্তি নিজের নামের প্রতি সঠিক সুবিচার করতে পারবে মানুষ তাকে ততদিন মনে রাখবে। ডিয়াগো আরমানদো ম্যারাডোনা ঠিক তেমনই একজন। বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই কিংবদন্তি ফুটবলার ম্যারাডোনার পৃথিবীতে না থাকার বয়স আজ দুই বছর পুর্ণ হলো।

১৯৮৪ থেকে ১৯৯১ সাল, ম্যারাডোনা দীর্ঘ ৭ বছর ফুটবলের আলো ছড়িয়েছেন ইতালির দল নাপোলিতে। ফলে ক্লাব নাপোলির পাশাপাশি ইতালিতেও তিনি ছিলেন ঘরের ছেলের মতো। তাইতো নাপোলির ১০ নম্বর জার্সির মালিক কেবলই ম্যারাডোনা। তার প্রতি সম্মান রেখে এই জার্সি আর কাউকে দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালির এই ক্লাবটি। এমনকি তার মৃত্যুর পর নাপোলির ‘সাম পাওলো’ স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘দিয়েগো আরমানদো ম্যারাডোনা’ স্টেডিয়াম।

অনেক বিশেষজ্ঞ, ফুটবল সমালোচক, সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড় এবং ফুটবল সমর্থক তাকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে গণ্য করেন। তিনি বিশ্বফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফিফার বিংশ শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় পেলের সঙ্গে যৌথভাবে ছিলেন।

ম্যারাডোনাই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি দুইবার স্থানান্তর ফির ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। প্রথমবার বার্সেলোনায় স্থানান্তরের সময় ৫ মিলিয়ন ইউরো এবং দ্বিতীয়বার নাপোলিতে স্থানান্তরের সময় ৬.৯ মিলিয়ন ইউরো।

পেশাদার ক্যারিয়ারে ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনা জুনিয়র্স, বোকা জুনিয়র্স, বার্সেলোনা, নাপোলি, সেভিয়া এবং নিওয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে খেলেছেন।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আর্জেন্টিনার হয়ে তিনি ৯১ খেলায় ৩৪ গোল করেন। তিনি চারটি ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেন। যার মধ্যে ছিল ১৯৮৬ বিশ্বকাপ, যেখানে তিনি আর্জেন্টিনার অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দলকে বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্ব দেন। প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় হিসেবে স্বর্ণপদক জেতেন।

ম্যানেজার হিসেবে খুব কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও ২০০৮ সালের নভেম্বরে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব দেয়া হয় ম্যারাডোনাকে। ২০১০ বিশ্বকাপের পর চুক্তি শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি আঠারো মাস এই দায়িত্বে ছিলেন।