শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে মৌলভীবাজারে…পরিবেশমন্ত্রী
- আপডেট সময় ১০:৫৮:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২
- / ৪৯১ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শব্দদূষণ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে গাড়ি চালকদের আরো সচেতন হতে হবে। অযথা হর্ন বাজানো বন্ধ করতে হবে। শহরগুলোর যানজট কমিয়ে আনতে এবং আধুনিকায়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক হতে হবে ।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার পৌরসভা ও জেলা পুলিশের আয়োজনে বেঙ্গল কনভেনশন হলে ‘আধুনিক শহর ও সড়ক ভাবনা’ শীর্ষক এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এসব কথা বলেন। এ উপলক্ষে একটি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দরা।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে নিয়ে দূরদর্শী চিন্তা করেন। মেট্রোরেল, পাতাল রেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে তাঁর চিন্তার ফসল। তিনি বলেন, ২০৪১-এ বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে হবে।
মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জিয়াউর রহমান সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) আবু নাসের মোহাম্মদ রিকাবদার।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান,পৌর সভার মেয়র ফজলুর রহমান,সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: কামাল হোসেন প্রমুখ।
সুধী সমাবেশে সকল শ্রেণিপেশার মানুষ আলোচনায় অংশগ্রহণ করে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।এবং শহর আধুনিক করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রস্তাব দেন। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয় এই শহরে বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। যেমন অধিকাংশ ইন্টারসেকশন রাস্তায় কোন মিডিয়ান নেই, রাস্তার দুপাশে ফুটপাত আছে, তবে পূর্নাঙ্গ ও নিরবিচ্ছিন্ন ফুটপাত নেই। রাস্তায় পূর্নাঙ্গ রোড মার্কিং করা নেই, ফুটপাতগুলো তিন ফুট এর অধিক চওড়া নয়, ফুটপাতে এবং রাস্তায় হকার বসে, ফুটপাত মাঝে মাঝে ভাঙ্গা। অতিরিক্ত যানজট ও অবৈধ পার্কিং সবসময় থাকে। জেব্রা ক্রসিং, লেন মার্কিং, স্টপ লাইন, এ্যারো মার্কিং নেই, ট্রাফিক সিগন্যাল নেই, ইন্টারসেকশন ফেন্সিং করা নেই। যত্রতত্র স্ট্যান্ড ও গাড়ি পার্কিং রয়েছে, অধিকাংশ স্থানে নেই কোন যাত্রী ছাউনি। এছাড়া অবৈধ সিএনজি চালিত অটোরিকশা, টমটম বন্ধ করে এবং এদের নতুন রেজিষ্ট্রেশন না দিয়ে আন্তজেলা যোগাযোগ সুবিধার্থে গণপরিবহন বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয় সমাবেশে।
উপরোক্ত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে যথাযথ সমস্যা সমাধান করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করা হচ্ছে এবং সকলের সহযোগিতা কামনা করেন আয়োজকবৃন্দ। ।