মৌলভীবাজারের ছেলে নিউইয়র্কের পুলিশের কৃতিত্ব
- আপডেট সময় ০৩:৩৬:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০২২
- / ৮৩২ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ অফিসার তৌফিক বক্ত এক সহকর্মী নিয়ে ২৪ নভেম্বর পাতাল রেলে দুঃসাহসী উদ্ধার অভিযান চালান। ২৮ নভেম্বর নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস তাদের জীবনবাজি রাখা অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই দিনটিকে ‘তৌফিক দিবস’ ও ‘ব্রুনেল ভিক্টর দিবস’ ঘোষণা করেছেন।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ অফিসার তৌফিক বক্তের এই কৃতিত্বে বড়লেখায় গ্রামের বাড়িতে আনন্দের বন্যা বইছে।
নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা তৌফিক বক্ত এবং তার সহকর্মী পুলিশ অফিসার ব্রুনেল ভিক্টর তাদের জীবনকে তুচ্ছ করে ম্যানহাটন, ইস্ট ১১৬ স্ট্রিট-লেক্সিংটন অ্যাভিনিউতে ট্র্যাকে পড়ে যাওয়া মানুষকে অন্য একটি ট্রেন স্টেশনে প্রবেশ করার কয়েক সেকেন্ড আগে উদ্ধার করেছেন। তাদের সফল অপারেশনের কারণে নিশ্চিত মৃত্যুর কবল থেকে লোকটি বেঁচে যান।
তৌফিক বক্ত মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের বড়থল গ্রামের বেলওয়ার বক্ত বাদল মিয়ার ছেলে এবং আগর-আতর ব্যবসায়ী রহিম বক্ত মুসার ভাতিজা। তিনি উপজেলার গাংকুল পঞ্চগ্রাম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৩ সালে জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসি পাশ করেন। এরপর ফ্যামিলির সঙ্গে আমেরিকায় পাড়ি জমান। সেখানে লেখাপড়া শেষে নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে যোগ দেন।গাংকুল পঞ্চগ্রাম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফ হায়দার জানান, তৌফিক অত্যন্ত মেধাবী, বিনয়ী ও ধার্মিক ছিল। পঞ্চম শ্রেণি ও অষ্টম শ্রেণিতে সে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি অর্জন করে। নিউইয়র্কে কর্মজীবনে তার অভাবনীয় সাফল্যে স্কুলের সবাই গর্বিত।
২৮ নভেম্বর নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস তার ঘোষণাপত্রে বলেন, বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) একজন ব্যক্তি পাতালরেলের ট্র্যাকের উপর পড়ে যান। বিনাদ্বিধায় এনওয়াইপিডির অফিসার তৌফিক বক্ত এবং ব্রুনেল ভিক্টর তার জীবন বাঁচান। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ অফিসার তৌফিক বক্ত ও ব্রুনেল ভিক্টর পেশাদারিত্বের পাশাপাশি যে মানবিকতা প্রদর্শন করেছেন তা স্মরণীয় করে রাখতে নিউইয়র্ক সিটি মেয়র হিসেবে তিনি দিনটিকে ‘তৌফিক দিবস ও ব্রুনেল ভিক্টর’ দিবস ঘোষণা করেন।
তৌফিক বক্তের চাচা রহিম বক্ত মুসা জানান, নিউইয়র্কের বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া মারফত ভাতিজা তৌফিক ও তার এক সহকর্মীর দুঃসাহসী একটি অভিযানের খবর জেনেছেন। এ খবরে দেশে থাকা আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে। তার এ কৃতিত্ব শুধু পরিবারের কিংবা বড়লেখার নয়, এটি সারা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও সম্মানের।