এই দিনে তো ঘরে বসে থাকতে পারি না ‘
- আপডেট সময় ০৬:১৬:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২২
- / ৩১৪ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধি: এই দিনে তো ঘরে বসে থাকতে পারি না। জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছি। শরীর খারাপ এরপরও এসেছি, সবার সাথে হেঁটেছি। এসে ভাল লেগেছে –এমন মন্তব্য করেন পঁচাশিউর্ধ্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা সকিল আলী।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) মৌলভীবাজারে লাল সবুজের পতাকাবাহী বিজয় শোভাযাত্রাসহ নানা আয়োজনে পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।
এই শোভাযাত্রায় রণাঙ্গনের নায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধারাও অংশ নেন। এই মুক্ত দিবসের শোভাযাত্রায় অংশ নেন বয়সের ভারে নুয়ে পড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা সকিল আলী। এসেছেন সদর উপজেলার আথানগিরি গ্রাম থেকে।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমার আনন্দের দিন। এই দিনে স্বাধীন হয়েছিল আমাদের এলাকা। আজকের এই শোভাযাত্রায় আসতে পেরে খুবই ভাল লাগছে। সবাই আমাকে সম্মান করছেন। আমি গর্বিত। তিনি জানান, উনার সাত সদস্যের পরিবার। বর্তমান সরকারের সহযোগিতায় অনেক ভালো আছেন, শান্তিতে আছেন। বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধা সকিল আলী শোভাযাত্রায় ভালো করে হাঁটতে পারছেন না দেখে পুরোটা পথ তাকে ধরে ধরে নিয়ে আসেন ক্রীড়া সংগঠক ও জেলা পরিষদের সদস্য হাসান আহমেদ জাবেদ।
তিনি বলেন ‘আমি হঠাৎ দেখি উনার হাঁটতে অনেক কষ্ট হচ্ছে তাই সহযোগিতা করি। একজন মুক্তিযোদ্ধা এই বয়সেও মুক্ত দিবসে অংশ নিয়ে হাঁটছেন এটা আমাদের জন্য প্রেরণার। আমাদের সকলের উচিত মুক্তিযোদ্ধাদের তাঁর প্রাপ্য সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া।’বৃহস্পতিবার (৮ডিসেম্বর) মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ইউনিটের যৌথ আয়োজনে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন।
পরে লাল সবুজের পতাকাসহ বিভিন্ন ফেস্টুন নিয়ে বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রা শহরে বের হয়। এতে মুক্তিযোদ্ধা, প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ অংশ নেন।
বিজয় শোভাযাত্রাটি শহর প্রদক্ষিণ করে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে স্মৃতিচারণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমেদ, সংরক্ষিত নারী সাংসদ সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিনসহ অন্যরা।