জনবিচ্ছিন্ন গণধিকৃত এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে জনগণ লালকার্ড দেখাচ্ছে” এম নাসের রহমান
- আপডেট সময় ১২:৩২:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২
- / ৫১৯ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধিঃ সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা বাস্তবায়ন এবং বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুলসহ নেতৃবৃন্দদের মুক্তির দাবীতে মৌলভীবাজারে বিশাল গণমিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে মৌলভীবাজার শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা থেকে গণ মিছিল বের হয়। মিছিলটির নেতৃত্ব দেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান। পরে গণমিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মৌলভীবাজার টাউন ঈদগাহে সমাবেশে মিলিত হয়।
জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ফয়সল আহমদের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান। আরো বক্তব্য দেন জেলা বিএনিপর সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ুন।
মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান বলেন, আজকের এই বিশাল গণমিছিল দেশের জনগন এই অবৈধ জনবিচ্ছিন্ন-গণধিকৃত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে শান্তিপূর্ণভাবে লালকার্ড দেখাচ্ছে। বিশ্বের কোন ফ্যাসিস্ট সরকারই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা থেকে যায় না। জনগনকে সাথে নিয়ে এই স্বৈরাচার অবৈধ সরকার কে উৎখাত করতে হবে। না হলে দেশ আরও রসাতলে যাবে।
নাসের রহমান বলেন-সামনের দিনে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পতনের একদফা দাবীতে আমাদের আন্দোলন আরো জোরদার হবে। আরো বহু কর্মসূচি কেন্দ্র থেকে আসবে। গনতন্ত্রের মাতা দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া,মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দদের মুক্তি ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী, সকল অংগ সংগঠন, সকল থানা ও ওয়ার্ডকে আরো কঠিন কর্মসূচির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
নাসের রহমান বলেন-আমরা সকলেই শহীদ জিয়ার সৈনিক। আপনারা নেতা হয়েছেন। পদ পেয়েছেন। এটার প্রমাণ দেয়ার জন্য এখন পরীক্ষা দিতে হবে। এখনই পরীক্ষার সময়। তাই আগামীতে সকল কর্মসূচিতে সবাইকে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আজকের এই গণমিছিল কর্মসূচিতে স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ করায় সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
গণমিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, বদরুল আলম, আশিক মোশাররফ, মো. হেলু মিয়া, প্রথম যুগ্ম সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বকসি মিছবাহউর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম রিপন, জেলা বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আহমেদ, মৌলভীবাজার পৌর বিএনপির সভাপতি অলিউর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান নিজাম, জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জল, সাধারণ সম্পাদক এম এ মুহিত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক জিএমএ মুক্তাদির রাজু, জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক শামীম আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল করিম ঈমানী, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রসিক,সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমামুল হক রিপন, জেলা ওলামাদলের আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল হেকিম, জাসাসের সভাপতি রাসেল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, জেলা মহিলা দলের নেত্রী সুফিয়া সুলেমান কলি, শ্যামলী সূত্রধর, আমেনা বেগম ডলি, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক জনি আহমদ, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক হাফেজ আহমদ মাহফুজ, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান শিপন, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমদ টিপু, বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান খছরু, জুড়ী উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাছুম রেজা, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান আছকর, কুলাউড়া উপজেলার সাবেক সভাপতি শওকতুল ইসলাম সকু, বিএনপি নেতা ভূকশিমইল ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন, শামীম আহমদ চৌধুরী, আব্দুল মজিদ, কুলাউড়া পৌর বিএনপির সভাপতি মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল আলম সুহেল, রাজনগর উপজেলা সভাপতি জিতু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন মাস্টার, সাংগঠনিক সম্পাক এনামুল হক চৌধুরী, কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নেতা পুষ্প কুমার কানু, সুহেল আহমদ, শফিকুর রহমান চৌধুরী, শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তাজ উদ্দিন তাজু, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউর রহমানসহ বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দরা।