ঢাকা ০৮:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
আজ বিশ্ব পলায়ন দিবস, এই পলায়ন দিবসের হউক সুশাসন,গনতন্ত্র ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার সদস্য সচিব – আব্দুর রহিম রিপন বিচার, সংস্কার,নির্বাচন এক সাথে চলবে” জেলা বিএনপির আহবায়ক – ময়ূন মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে শহিদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা যথাযেগ্য মর্যাদায় মৌলভীবাজারে ৩৬ জুলাই পালিত রাজনগর শ্বা/স/রো/ধে হ/ত্যা স্বাভাবিক মৃ/ত্যু ভেবে অ প মৃ ত্যু মামলা, ময়নাতদন্তে রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার – ১ NRB BANK PLC এর ১২ তম বর্ষপূর্তী শ্রীমঙ্গল ডিবি পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ আটক -২ সকল শহীদদের প্রতি অতল শ্রদ্ধা আহতদের সুস্থতা কামনা মৌলভীবাজারসহ সারাদেশে গ্রে ফ তা র ১৩৬৯:আ.লীগের ২১ জনসহ বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা,আমি ছবি নামাব না

আওয়ামী লীগ সরকারে আসলে জনগণের কল্যাণ হয় : সিলেটে শেখ হাসিনা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:০৪:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৬৪৩ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন- নির্বাচনে না এসে বিএনপি-জামায়াত মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। তাদের নেতা বিদেশে বসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে কোনো দিন সফল হতে পারবে না। যারা অগ্নিসন্ত্রাস করছে, তাদের ক্ষমা নেই।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেটে পৌঁছে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন- আমার একটাই কথা, আওয়ামী লীগ সরকারে আসলে জনগণের কল্যাণ হয়। ২০০৯-২০১৮ সালে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল। আজকে সিলেটে এসেছি, এই জেলায় কোনো ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষ নেই। প্রত্যেকটি মানুষকে ঘর করে দিয়েছি। মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করে যাচ্ছি। বাকিগুলো অচিরেই পূরণ করবো ইনশাআল্লাহ। ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের জনগণ যদি আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়, আবার সরকার গঠন করতে পারি, তাহলে পুরো বাংলাদেশটাকেই আমরা উন্নত সমৃদ্ধ হিসেবে গড়তে পারবো। কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না। বাংলাদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। ইতিমধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি।

তিনি বলেন, নির্বাচনে না এসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদি কাজ। আগুন দিয়ে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হচ্ছে। এটা জনগণের সম্পত্তি। এগুলো করছে বিএনপি-জামায়াত জোট। বিএনপির একটাই কাজ মানুষ পুড়িয়ে মারা। ২০১৩ ও ২০১৪ সালেও দেখেছি তারা মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। এটা কি ধরণের আন্দোলন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ট্রেনে আগুন দিল, মা-সন্তানকে পুড়িয়ে মারলো। এর চেয়ে কষ্টের কি হতে পারে? কি করে তারা মানুষ হত্যা করে। পুলিশ, সাংবাদিক, বিচারক, সাধারণ জনগণের ওপর হামলা করে। এটা কি ধরণের আন্দোলন। একজন লন্ডন বসে হুকুম দেয়। আর দেশে তার কিছু চ্যালা আছে আগুন দেয়। মানুষ মেরে ভীতি সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচাল করতে চেষ্টা করছে।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিতে সিলেটে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। সিলেটে পৌঁছেই হযরত শাহজালাল (র.) ও হযরত শাহপরাণ (র.) মাজার জিয়ারত করেন তিনি।

বর্তমানে শেখ হাসিনা সিলেটের সার্কিট হাউজে অবস্থান করছেন। সেখানে দুপুরের খাবার শেষে বিকালে সিলেট আলিয়া মাদরসা মাঠে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-৬০১ এর একটি ফ্লাইটে বেলা ১১টা ৩৩ মিনিটে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানান কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

প্রতিবারের মতো এবারও সিলেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এই উপলক্ষ্যে আজ বিকেলে জেলার আলিয়া মাদরাসা মাঠের জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পর আজ আবার সিলেটের কোনো জনসভায় বক্তব্য দিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে জড়ো হয়েছেন বিভাগের চার জেলার ১৯টি সংসদীয় আসনের নেতাকর্মীরা। নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় সভাপতির দিক-নির্দেশনা শোনার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্বাচনী সফরের সম্পূর্ণ খরচ বহন করছে তার দল।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আওয়ামী লীগ সরকারে আসলে জনগণের কল্যাণ হয় : সিলেটে শেখ হাসিনা

আপডেট সময় ০৩:০৪:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন- নির্বাচনে না এসে বিএনপি-জামায়াত মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। তাদের নেতা বিদেশে বসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে কোনো দিন সফল হতে পারবে না। যারা অগ্নিসন্ত্রাস করছে, তাদের ক্ষমা নেই।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেটে পৌঁছে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন- আমার একটাই কথা, আওয়ামী লীগ সরকারে আসলে জনগণের কল্যাণ হয়। ২০০৯-২০১৮ সালে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল। আজকে সিলেটে এসেছি, এই জেলায় কোনো ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষ নেই। প্রত্যেকটি মানুষকে ঘর করে দিয়েছি। মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করে যাচ্ছি। বাকিগুলো অচিরেই পূরণ করবো ইনশাআল্লাহ। ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের জনগণ যদি আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়, আবার সরকার গঠন করতে পারি, তাহলে পুরো বাংলাদেশটাকেই আমরা উন্নত সমৃদ্ধ হিসেবে গড়তে পারবো। কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না। বাংলাদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। ইতিমধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি।

তিনি বলেন, নির্বাচনে না এসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদি কাজ। আগুন দিয়ে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হচ্ছে। এটা জনগণের সম্পত্তি। এগুলো করছে বিএনপি-জামায়াত জোট। বিএনপির একটাই কাজ মানুষ পুড়িয়ে মারা। ২০১৩ ও ২০১৪ সালেও দেখেছি তারা মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। এটা কি ধরণের আন্দোলন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ট্রেনে আগুন দিল, মা-সন্তানকে পুড়িয়ে মারলো। এর চেয়ে কষ্টের কি হতে পারে? কি করে তারা মানুষ হত্যা করে। পুলিশ, সাংবাদিক, বিচারক, সাধারণ জনগণের ওপর হামলা করে। এটা কি ধরণের আন্দোলন। একজন লন্ডন বসে হুকুম দেয়। আর দেশে তার কিছু চ্যালা আছে আগুন দেয়। মানুষ মেরে ভীতি সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচাল করতে চেষ্টা করছে।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিতে সিলেটে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। সিলেটে পৌঁছেই হযরত শাহজালাল (র.) ও হযরত শাহপরাণ (র.) মাজার জিয়ারত করেন তিনি।

বর্তমানে শেখ হাসিনা সিলেটের সার্কিট হাউজে অবস্থান করছেন। সেখানে দুপুরের খাবার শেষে বিকালে সিলেট আলিয়া মাদরসা মাঠে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-৬০১ এর একটি ফ্লাইটে বেলা ১১টা ৩৩ মিনিটে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানান কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

প্রতিবারের মতো এবারও সিলেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এই উপলক্ষ্যে আজ বিকেলে জেলার আলিয়া মাদরাসা মাঠের জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পর আজ আবার সিলেটের কোনো জনসভায় বক্তব্য দিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে জড়ো হয়েছেন বিভাগের চার জেলার ১৯টি সংসদীয় আসনের নেতাকর্মীরা। নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় সভাপতির দিক-নির্দেশনা শোনার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্বাচনী সফরের সম্পূর্ণ খরচ বহন করছে তার দল।