ঢাকা ০২:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
হযরত শাহ্ আজম রহ. দরগাহ্ শরীফের পীর ছাহেবের ৪তম মৃ ত্যু বার্ষিকী বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার অভিষেক অনুষ্ঠান পালিত রাজনগর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল পরিদর্শনে এম নাসের রহমান নবগঠিত রেড ক্রিসেন্ট মৌলভীবাজার ইউনিটের পরিচিতি সভা সাবেক জেলা আমিরেে কবর জিয়ারত ও পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করলেন আমীরে জামায়াত কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে সদর উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটির পথচলা উপজেলা শ্রমিকদলের আহবায়ক কমিটি গঠন আবারও শ্রীমঙ্গল সীমান্ত এলাকায় পুশ-ইন জামেয়া ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসায় সিরাজুল ইসলাম মতলিবের স্মরণে আলোচনা সভা নবনির্বাচিত উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও মিষ্টিমুখ করাল জেলা বিএনপি

আজ এইদিনে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন ম্যারাডোনা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৪৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২
  • / ৫৪৮ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্কঃ

পুরো বিশ্ব সেদিন কেঁপে উঠেছিল একসঙ্গে। যেই শুনেছে, এক মুহূর্ত থমকে গিয়েছিল সবাই। হুট করেই পরপারে পাড়ি দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। যাকে বলা হয় ‘ফুটবলের ঈশ্বর’।

কথায় আছে না কীর্তিমানের মৃত্যু নেই, ম্যারাডোনা তো বিশ্বের কীর্তিমানই।

২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর ৬০ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন ম্যারাডোনা। সময়ের পরিক্রমায় আজ এই আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলারের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। মানুষ আজও তাকে মনে রেখেছে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে।

জীবন ক্ষণস্থায়ী, আর ছোট্ট এই জীবনে যে ব্যক্তি নিজের নামের প্রতি সঠিক সুবিচার করতে পারবে মানুষ তাকে ততদিন মনে রাখবে। ডিয়াগো আরমানদো ম্যারাডোনা ঠিক তেমনই একজন। বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই কিংবদন্তি ফুটবলার ম্যারাডোনার পৃথিবীতে না থাকার বয়স আজ দুই বছর পুর্ণ হলো।

১৯৮৪ থেকে ১৯৯১ সাল, ম্যারাডোনা দীর্ঘ ৭ বছর ফুটবলের আলো ছড়িয়েছেন ইতালির দল নাপোলিতে। ফলে ক্লাব নাপোলির পাশাপাশি ইতালিতেও তিনি ছিলেন ঘরের ছেলের মতো। তাইতো নাপোলির ১০ নম্বর জার্সির মালিক কেবলই ম্যারাডোনা। তার প্রতি সম্মান রেখে এই জার্সি আর কাউকে দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালির এই ক্লাবটি। এমনকি তার মৃত্যুর পর নাপোলির ‘সাম পাওলো’ স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘দিয়েগো আরমানদো ম্যারাডোনা’ স্টেডিয়াম।

অনেক বিশেষজ্ঞ, ফুটবল সমালোচক, সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড় এবং ফুটবল সমর্থক তাকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে গণ্য করেন। তিনি বিশ্বফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফিফার বিংশ শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় পেলের সঙ্গে যৌথভাবে ছিলেন।

ম্যারাডোনাই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি দুইবার স্থানান্তর ফির ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। প্রথমবার বার্সেলোনায় স্থানান্তরের সময় ৫ মিলিয়ন ইউরো এবং দ্বিতীয়বার নাপোলিতে স্থানান্তরের সময় ৬.৯ মিলিয়ন ইউরো।

পেশাদার ক্যারিয়ারে ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনা জুনিয়র্স, বোকা জুনিয়র্স, বার্সেলোনা, নাপোলি, সেভিয়া এবং নিওয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে খেলেছেন।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আর্জেন্টিনার হয়ে তিনি ৯১ খেলায় ৩৪ গোল করেন। তিনি চারটি ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেন। যার মধ্যে ছিল ১৯৮৬ বিশ্বকাপ, যেখানে তিনি আর্জেন্টিনার অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দলকে বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্ব দেন। প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় হিসেবে স্বর্ণপদক জেতেন।

ম্যানেজার হিসেবে খুব কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও ২০০৮ সালের নভেম্বরে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব দেয়া হয় ম্যারাডোনাকে। ২০১০ বিশ্বকাপের পর চুক্তি শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি আঠারো মাস এই দায়িত্বে ছিলেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আজ এইদিনে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন ম্যারাডোনা

আপডেট সময় ০৮:৪৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২

আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্কঃ

পুরো বিশ্ব সেদিন কেঁপে উঠেছিল একসঙ্গে। যেই শুনেছে, এক মুহূর্ত থমকে গিয়েছিল সবাই। হুট করেই পরপারে পাড়ি দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। যাকে বলা হয় ‘ফুটবলের ঈশ্বর’।

কথায় আছে না কীর্তিমানের মৃত্যু নেই, ম্যারাডোনা তো বিশ্বের কীর্তিমানই।

২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর ৬০ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন ম্যারাডোনা। সময়ের পরিক্রমায় আজ এই আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলারের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। মানুষ আজও তাকে মনে রেখেছে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে।

জীবন ক্ষণস্থায়ী, আর ছোট্ট এই জীবনে যে ব্যক্তি নিজের নামের প্রতি সঠিক সুবিচার করতে পারবে মানুষ তাকে ততদিন মনে রাখবে। ডিয়াগো আরমানদো ম্যারাডোনা ঠিক তেমনই একজন। বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই কিংবদন্তি ফুটবলার ম্যারাডোনার পৃথিবীতে না থাকার বয়স আজ দুই বছর পুর্ণ হলো।

১৯৮৪ থেকে ১৯৯১ সাল, ম্যারাডোনা দীর্ঘ ৭ বছর ফুটবলের আলো ছড়িয়েছেন ইতালির দল নাপোলিতে। ফলে ক্লাব নাপোলির পাশাপাশি ইতালিতেও তিনি ছিলেন ঘরের ছেলের মতো। তাইতো নাপোলির ১০ নম্বর জার্সির মালিক কেবলই ম্যারাডোনা। তার প্রতি সম্মান রেখে এই জার্সি আর কাউকে দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালির এই ক্লাবটি। এমনকি তার মৃত্যুর পর নাপোলির ‘সাম পাওলো’ স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘দিয়েগো আরমানদো ম্যারাডোনা’ স্টেডিয়াম।

অনেক বিশেষজ্ঞ, ফুটবল সমালোচক, সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড় এবং ফুটবল সমর্থক তাকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে গণ্য করেন। তিনি বিশ্বফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফিফার বিংশ শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় পেলের সঙ্গে যৌথভাবে ছিলেন।

ম্যারাডোনাই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি দুইবার স্থানান্তর ফির ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। প্রথমবার বার্সেলোনায় স্থানান্তরের সময় ৫ মিলিয়ন ইউরো এবং দ্বিতীয়বার নাপোলিতে স্থানান্তরের সময় ৬.৯ মিলিয়ন ইউরো।

পেশাদার ক্যারিয়ারে ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনা জুনিয়র্স, বোকা জুনিয়র্স, বার্সেলোনা, নাপোলি, সেভিয়া এবং নিওয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে খেলেছেন।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আর্জেন্টিনার হয়ে তিনি ৯১ খেলায় ৩৪ গোল করেন। তিনি চারটি ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেন। যার মধ্যে ছিল ১৯৮৬ বিশ্বকাপ, যেখানে তিনি আর্জেন্টিনার অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দলকে বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্ব দেন। প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় হিসেবে স্বর্ণপদক জেতেন।

ম্যানেজার হিসেবে খুব কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও ২০০৮ সালের নভেম্বরে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব দেয়া হয় ম্যারাডোনাকে। ২০১০ বিশ্বকাপের পর চুক্তি শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি আঠারো মাস এই দায়িত্বে ছিলেন।