ঢাকা ০৯:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকা:  দিলীপ কুমার সরকার বেগম রোকেয়া দিবসে অদম্য নারীকে সম্মাননা মৌলভীবাজারে দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরাম এর উদ্যোগে পথসভা মৌলভীবাজারে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাগরদিঘী রোড প্রশস্ত ও সৌন্দর্য বর্ধন কাজের উদ্বোধন কোটচাঁদপুরের কিডনি রোগে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত আগুনে পুড়ল সিএনজি চালকের সপ্ন, আমনধান ও নগদ অর্থসহ ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি মৌলভীবাজারে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ কার্যক্রমবিষয়ক সেমিনার আজ মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস, গণকবরে শ্রদ্ধা ও আলোচনা সভা মৌলভীবাজারে অবৈধ ভারতীয় পন্যসহ আটক – ৩

আজ মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস, গণকবরে শ্রদ্ধা ও আলোচনা সভা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৪২:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ১৬০ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ আজ ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজারের ঐতিহাসিক বিজয় আর উল্লাসের দিন। এই দিনে পাক হানাদারদের পরাজিত করে মৌলভীবাজারকে মুক্ত ঘোষণা করেন স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা। একাত্তরের এই দিনে মৌলভীবাজার শহর তথা জেলার সর্বত্র স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা বাতাসে উড়তে থাকে। পাক হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শত্রু মুক্ত এলাকা হিসেবে মৌলভীবাজারকে ঘোষণা করেন।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে স্থানিয় শহীদ মিনার ও শাহ মোস্তফা সড়কের গণকবরে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে জেলা প্রসাসক হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) তানভীর হোসেন এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভা সভাপতিত্ব করেন,জেলা প্রশাসক তৌহিদুজ্জামান পাভেল।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন।


আলোচনা সভায়,মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবিন্দ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

৪ ডিসেম্বর জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়। ৫ ডিসেম্বর জেলার সর্বত্র শুরু হয় আক্রমণের পর আক্রমণ। জেলার চারদিক দিকে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে একের পর এক এলাকা শত্রুমুক্ত হতে থাকে। ৫ ও ৬ ডিসেম্বর দুই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা রাজনগর, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া ও মুন্সীবাজার এলাকা মুক্ত করে মৌলভীবাজার শহর অভিমুখে আসার জন্য অভিযান শুরু করেন। ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর মিত্র ও মুক্তিবাহিনী শহর ঘেরাও করে। এখানে মহকুমা হেড কোয়ার্টার থাকার কারণে পাকবাহিনীর ব্রিগেড হেড কোয়ার্টার ছিল।

জানা যায়, জেড ফোর্সের ১৭টি ইউনিটের মধ্যে জব্বার (কুলাউড়ার সাবেক এমপি) ও মুহিবের নেতৃত্বে ২টি ইউনিট কুলাউড়ার দিকে গেলেও বাকি ১৫ টি ইউনিট নিয়ে তারা মৌলভীবাজার শহরে ঢুকার চেষ্টা শুরু করেন। তুমুল যুদ্ধ আর অনেক হতাহতের পর ৭ ডিসেম্বরই মৌলভীবাজার পুরো মহকুমা এলাকা থেকে পাকবাহিনীকে হটিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে ঢুকে পড়েন। কিন্তু শহরের বিভিন্ন স্থানে পাকবাহিনী প্রচুর মাইনসহ অস্ত্র পুঁতে রাখায় রাস্ত থেকে এগুলো অপসারণ ও নিষ্ক্রিয় করার পর ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার মুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হয়।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আজ মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস, গণকবরে শ্রদ্ধা ও আলোচনা সভা

আপডেট সময় ১২:৪২:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ আজ ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজারের ঐতিহাসিক বিজয় আর উল্লাসের দিন। এই দিনে পাক হানাদারদের পরাজিত করে মৌলভীবাজারকে মুক্ত ঘোষণা করেন স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা। একাত্তরের এই দিনে মৌলভীবাজার শহর তথা জেলার সর্বত্র স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা বাতাসে উড়তে থাকে। পাক হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শত্রু মুক্ত এলাকা হিসেবে মৌলভীবাজারকে ঘোষণা করেন।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে স্থানিয় শহীদ মিনার ও শাহ মোস্তফা সড়কের গণকবরে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে জেলা প্রসাসক হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) তানভীর হোসেন এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভা সভাপতিত্ব করেন,জেলা প্রশাসক তৌহিদুজ্জামান পাভেল।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন।


আলোচনা সভায়,মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবিন্দ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

৪ ডিসেম্বর জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়। ৫ ডিসেম্বর জেলার সর্বত্র শুরু হয় আক্রমণের পর আক্রমণ। জেলার চারদিক দিকে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে একের পর এক এলাকা শত্রুমুক্ত হতে থাকে। ৫ ও ৬ ডিসেম্বর দুই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা রাজনগর, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া ও মুন্সীবাজার এলাকা মুক্ত করে মৌলভীবাজার শহর অভিমুখে আসার জন্য অভিযান শুরু করেন। ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর মিত্র ও মুক্তিবাহিনী শহর ঘেরাও করে। এখানে মহকুমা হেড কোয়ার্টার থাকার কারণে পাকবাহিনীর ব্রিগেড হেড কোয়ার্টার ছিল।

জানা যায়, জেড ফোর্সের ১৭টি ইউনিটের মধ্যে জব্বার (কুলাউড়ার সাবেক এমপি) ও মুহিবের নেতৃত্বে ২টি ইউনিট কুলাউড়ার দিকে গেলেও বাকি ১৫ টি ইউনিট নিয়ে তারা মৌলভীবাজার শহরে ঢুকার চেষ্টা শুরু করেন। তুমুল যুদ্ধ আর অনেক হতাহতের পর ৭ ডিসেম্বরই মৌলভীবাজার পুরো মহকুমা এলাকা থেকে পাকবাহিনীকে হটিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে ঢুকে পড়েন। কিন্তু শহরের বিভিন্ন স্থানে পাকবাহিনী প্রচুর মাইনসহ অস্ত্র পুঁতে রাখায় রাস্ত থেকে এগুলো অপসারণ ও নিষ্ক্রিয় করার পর ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার মুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হয়।