ঢাকা ০৭:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মান–অভিমান ভুলে ঐক্যের বার্তা মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তরের আস্থা প্রকল্পের সহযোগিতায় সরকারি কর্মকর্তা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডাদের নিয়ে পরামর্শ সভা কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মমদুদ গ্রে/ফ/তা/ র মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন খেলাফত মজলিস মনোনীত ও সম্ভাব্য ৮ দলীয় জোটের প্রার্থী মাওলানা আহমদ বিলাল মৌলভীবাজারে ডেভিল হান্ট ফেইজ- ২ আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ৭ নেতা গ্রে ফ তা র এমবিই হাউস অব লর্ডসে বিশেষ সম্মাননায় ভূষি হলেন বাংলাদেশি ড. ওয়ালী তসর উদ্দিন মৌলভীবাজারে আইডিয়া’র আলো-আলো প্রকল্পের জেলা পর্যায়ের অ্যাডভোকেসি সভা শ্রীমঙ্গলে আ.লীগ নেতা ডা. হরিপদ রায় গ্রে/ফ/তা/র মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রোভার স্কাউটসহ পায়ে হেঁটে ১৫০ কি. মি. পথ পরিভ্রমণে – ৩ যথাযোগ্য মর্যাদায় মৌলভীবাজারে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

আত্মহত্যা ছাড়া আমার উপায় নেই, সংবাদ সম্মেলনে পাওনাদার তুহিন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:০২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৮৫ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী থেকে মো: মোমিন জাদরানঃ  টাকা আত্মসাৎএর অভিযোগ তুলে ব্যবসায়ী পার্টনারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দুর্গাপুর প্রেসক্লাব ভবনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী ওবায়দুল হক তুহিন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, টাকা না পেলে নিশ্চিত আমার মৃত্যু ছাড়া উপায় নাই। আর না হলে আমাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে। প্রতিটা মুহুর্তে পাওনাদারা আমাকে হুমতি ধামকি দিয়ে আসছেন। তিনি তার বক্তব্য আরোও বলেন, উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের সাথে ব্যবসায়ী পার্টনার হিসেবে পুকুর খানন ও লীজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করি। এরপর তার পার্টনার আমিনুল ইসলাম ব্যাংকে লোন করবে বলে সব পুকুর তার নামে ডিট করে নেয়। তিনি সরল মনে তা ডিট করে দেন। কয়েক মাস পরে আমিনুল ইসলাম এক এক করে সব পুকুরের মাছ ধরে বিক্রি শুরু করতে থাকে।

এরপর পুকুর খনন ও মাছ চাষের কার্যক্রম নিয়ে ব্যবসায়িক হিসাব নিকাশ মূলধন ও লভ্যাংশ নিয়ে তাদের মধ্যে অন্তর যন্ত্র শুরু হয়। এক পর্যায় তাহা প্রকাশ্য রূপ নেয় ও সংঘাতের সৃষ্টি হয়। এই বিষয়টি নিয়ে গত ২৫ জানুয়ারীয় ২০২১ সালে দুর্গাপুর সাবেক পৌর মেয়র সাইদুর রহমান মন্টুকে জানান। এরপর তিনি মিমাংশার উদ্দোগ নেন। এবং সন্টু, হাতেম আলী ও মকলেস আলীকে নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করেন। পরে উভয়ের উপস্থিতিতে হিসাব নিকাশ শেষ ফরেন। সর্বশেষে বিষয়টি চূড়ান্ত ভাবে মিমাংসা ও সমাধানের জন্য পার্টনার তিনজন বোর্ডের উপর দায়িত্ব অর্পন করেন।

সেই বোর্ড আমিনুল হকের কাছ থেকে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা পাওনা হন পার্টনার ওবায়দুল হক তুহিন । এই মর্মে স্ট্যাম্পে উভয়ের স্বাক্ষর নিয়ে একটি আপোষনামা করা হয়। এরপর দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর পার হয়ে গেলেও পাওনা টাকা সে আর দেয়না। টাকা চাইতে গেলে চাঁদাবাজির হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন। সেই মামলায় আমি ৪দিন জেলও খেটেছি। বর্তমানে তিনি পাওনা দারের হুমকি-ধামকির ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, এ টাকা নিয়ে কথা কবলেই পার্টনার আমিনুল হক তার জামায়ের ক্ষমতা প্রভাব খাটান। তার জামাই সরকারী উচ্চপর্যায়ের একজন কর্মকর্তা। এবিষয়ে আমি তার বিরুদ্ধে মাছ চুরির একটি মামলা করেল তথকালিন আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থাকা আমিনুল ইসলাম প্রভাব খাটালে সেই মামলাটিও খারিজ করে দেয় আদালত। আমি বর্তমানে নিরুপায় হয়ে পড়েছি। টাকা না পেলে বর্তমানে পাওনাদারের ভয়ে আমাকে আত্মহত্যা করতে হবে নইলে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে। এসময় তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক কামলা ও ফজলুর রহমান।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আত্মহত্যা ছাড়া আমার উপায় নেই, সংবাদ সম্মেলনে পাওনাদার তুহিন

আপডেট সময় ০৮:০২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজশাহী থেকে মো: মোমিন জাদরানঃ  টাকা আত্মসাৎএর অভিযোগ তুলে ব্যবসায়ী পার্টনারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দুর্গাপুর প্রেসক্লাব ভবনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী ওবায়দুল হক তুহিন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, টাকা না পেলে নিশ্চিত আমার মৃত্যু ছাড়া উপায় নাই। আর না হলে আমাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে। প্রতিটা মুহুর্তে পাওনাদারা আমাকে হুমতি ধামকি দিয়ে আসছেন। তিনি তার বক্তব্য আরোও বলেন, উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের সাথে ব্যবসায়ী পার্টনার হিসেবে পুকুর খানন ও লীজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করি। এরপর তার পার্টনার আমিনুল ইসলাম ব্যাংকে লোন করবে বলে সব পুকুর তার নামে ডিট করে নেয়। তিনি সরল মনে তা ডিট করে দেন। কয়েক মাস পরে আমিনুল ইসলাম এক এক করে সব পুকুরের মাছ ধরে বিক্রি শুরু করতে থাকে।

এরপর পুকুর খনন ও মাছ চাষের কার্যক্রম নিয়ে ব্যবসায়িক হিসাব নিকাশ মূলধন ও লভ্যাংশ নিয়ে তাদের মধ্যে অন্তর যন্ত্র শুরু হয়। এক পর্যায় তাহা প্রকাশ্য রূপ নেয় ও সংঘাতের সৃষ্টি হয়। এই বিষয়টি নিয়ে গত ২৫ জানুয়ারীয় ২০২১ সালে দুর্গাপুর সাবেক পৌর মেয়র সাইদুর রহমান মন্টুকে জানান। এরপর তিনি মিমাংশার উদ্দোগ নেন। এবং সন্টু, হাতেম আলী ও মকলেস আলীকে নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করেন। পরে উভয়ের উপস্থিতিতে হিসাব নিকাশ শেষ ফরেন। সর্বশেষে বিষয়টি চূড়ান্ত ভাবে মিমাংসা ও সমাধানের জন্য পার্টনার তিনজন বোর্ডের উপর দায়িত্ব অর্পন করেন।

সেই বোর্ড আমিনুল হকের কাছ থেকে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা পাওনা হন পার্টনার ওবায়দুল হক তুহিন । এই মর্মে স্ট্যাম্পে উভয়ের স্বাক্ষর নিয়ে একটি আপোষনামা করা হয়। এরপর দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর পার হয়ে গেলেও পাওনা টাকা সে আর দেয়না। টাকা চাইতে গেলে চাঁদাবাজির হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন। সেই মামলায় আমি ৪দিন জেলও খেটেছি। বর্তমানে তিনি পাওনা দারের হুমকি-ধামকির ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, এ টাকা নিয়ে কথা কবলেই পার্টনার আমিনুল হক তার জামায়ের ক্ষমতা প্রভাব খাটান। তার জামাই সরকারী উচ্চপর্যায়ের একজন কর্মকর্তা। এবিষয়ে আমি তার বিরুদ্ধে মাছ চুরির একটি মামলা করেল তথকালিন আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থাকা আমিনুল ইসলাম প্রভাব খাটালে সেই মামলাটিও খারিজ করে দেয় আদালত। আমি বর্তমানে নিরুপায় হয়ে পড়েছি। টাকা না পেলে বর্তমানে পাওনাদারের ভয়ে আমাকে আত্মহত্যা করতে হবে নইলে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে। এসময় তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক কামলা ও ফজলুর রহমান।