ঢাকা ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা মৌলভীবাজার থেকে গ্রে/ফ/তা/র শীর্ষ স/ন্ত্রা/সী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না গ্রে/ফ/তা/র মৃত‍্যু নিয়ে মজা নিয়েন না, কাউকে নেওয়ার সুযোগও দিয়েন না সাবেক এমপি শামীমা ও শেখ হাসিনার সহকারী প্রেস সচিব বিটু গ্রেপ্তার যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করল ভারত-পাকিস্তান সিলেটকে জালালাবাদ প্রদেশ করার দাবিতে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন হেলাল এর উপর স-ন্ত্রা-সী হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা বিএনপি মৌলভীবাজার সীমান্ত এলাকায় পুশইন ঠেকাতে প্রস্তুত বিজিবি দু-র্বৃ-ত্ত-দে-র হামলায় আহত বিএনপির নেতা হেলাল আ.লীগ নিষিদ্ধের একদফা দাবিতে মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ

আশেদা পেলেন রত্নগর্ভা পুরুষ্কার

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৩৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৫৫০ বার পড়া হয়েছে

হাকিকুল ইসলাম খোকন:  ২০২৩ বেগম রোকেয়া দিবসে কুমিল্লার ব্রাম্মনপাড়া উপজেলার শ্রেষ্ঠ রত্নগর্ভা সম্মাননা পেলেন নিউইয়র্ক প্রবাসী শিক্ষানুরাগী মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরীর মা আশেদা খাতুন। সোমবার বেগম রোকেয়া দিবসে সফল মা আশেদা খাতুনের হাতে রত্নগর্ভা সম্মাননা তুলে দেন ব্রাম্মনপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সম আজহারুল ইসলাম।খবর বাপসনিঊজ ।

“জয়িতা অন্বেষণ বাংলাদেশ” বিচারে ২০২৩ সালের কুমিল্লার ব্রাম্মনপাড়া উপজেলার শ্রেষ্ঠ রত্নগর্ভা মা নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

কুমিল্লার ব্রাম্মনপাড়া ধান্যদৌল গ্রামের মরহুম স্কুল শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক খান চৌধুরীর সহধর্মিণী আশেদা খাতুনের ৭ সন্তানের সকলেই শিক্ষা ও সমাজ সেবায় দেশ-বিদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত। তার বড় ছেলে নিউইয়র্ক প্রবাসী মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৬ টি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন।

তার প্রতিষ্ঠিত এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে মেধা তালিকায় দেশ সেরার স্বাক্ষর রেখেছে।
রত্নগর্ভা সম্মাননা পেয়ে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান আশেদা খাতুন।

তিনি বলেন, সন্তানদের নাবালক রেখে আমার স্বামী স্কুল শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক খান চৌধুরী মারা যান।

অনেক চড়াইউৎরাই পেরিয়ে মহান আল্লাহ সন্তানদের মানুষের মত মানুষ করেছেন। নিউইয়র্কে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমার বড় ছেলে মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছে। মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায়নি। কিন্ত স্কুল শিক্ষক বাবার স্বপ্ন ও আদর্শকে লালন করে হাজার হাজার ছেলে মেয়েকে নিজের প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ করেছে মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী। মা হিসেবে সত্যিই আমি গর্বিত। তিনি বলেন, আমার দ্বিতীয় ছেলে স্বনামধন্য আইনজীবী ব্যারিস্টার সোহরাব হোসেন খান চৌধুরীসহ অন্যান্য সন্তানেরাও দেশ ও বিদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত।

মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বলেন, বাবার স্বপ্নকে বাস্তব করতে আমার মায়ের নির্দেশনায় কাজ করছি। কলেজ শেষ করেই জীবিকার তাকিদে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি দিয়েছি।
এরপর নিউইয়র্কে। দীর্ঘ ৩৫ বছর নিউইয়র্কে টেক্সি চালিয়ে স্কুল মাষ্টার বাবার স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে কাজ করেছি। সফলতার সব টুকুই আমার মায়ের প্রাপ্য। বাবার আদর্শ মায়ের সাহস এই নিয়েই আমার পথচলা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আশেদা পেলেন রত্নগর্ভা পুরুষ্কার

আপডেট সময় ০৯:৩৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪

হাকিকুল ইসলাম খোকন:  ২০২৩ বেগম রোকেয়া দিবসে কুমিল্লার ব্রাম্মনপাড়া উপজেলার শ্রেষ্ঠ রত্নগর্ভা সম্মাননা পেলেন নিউইয়র্ক প্রবাসী শিক্ষানুরাগী মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরীর মা আশেদা খাতুন। সোমবার বেগম রোকেয়া দিবসে সফল মা আশেদা খাতুনের হাতে রত্নগর্ভা সম্মাননা তুলে দেন ব্রাম্মনপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সম আজহারুল ইসলাম।খবর বাপসনিঊজ ।

“জয়িতা অন্বেষণ বাংলাদেশ” বিচারে ২০২৩ সালের কুমিল্লার ব্রাম্মনপাড়া উপজেলার শ্রেষ্ঠ রত্নগর্ভা মা নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

কুমিল্লার ব্রাম্মনপাড়া ধান্যদৌল গ্রামের মরহুম স্কুল শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক খান চৌধুরীর সহধর্মিণী আশেদা খাতুনের ৭ সন্তানের সকলেই শিক্ষা ও সমাজ সেবায় দেশ-বিদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত। তার বড় ছেলে নিউইয়র্ক প্রবাসী মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৬ টি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন।

তার প্রতিষ্ঠিত এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে মেধা তালিকায় দেশ সেরার স্বাক্ষর রেখেছে।
রত্নগর্ভা সম্মাননা পেয়ে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান আশেদা খাতুন।

তিনি বলেন, সন্তানদের নাবালক রেখে আমার স্বামী স্কুল শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক খান চৌধুরী মারা যান।

অনেক চড়াইউৎরাই পেরিয়ে মহান আল্লাহ সন্তানদের মানুষের মত মানুষ করেছেন। নিউইয়র্কে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমার বড় ছেলে মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছে। মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায়নি। কিন্ত স্কুল শিক্ষক বাবার স্বপ্ন ও আদর্শকে লালন করে হাজার হাজার ছেলে মেয়েকে নিজের প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ করেছে মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী। মা হিসেবে সত্যিই আমি গর্বিত। তিনি বলেন, আমার দ্বিতীয় ছেলে স্বনামধন্য আইনজীবী ব্যারিস্টার সোহরাব হোসেন খান চৌধুরীসহ অন্যান্য সন্তানেরাও দেশ ও বিদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত।

মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বলেন, বাবার স্বপ্নকে বাস্তব করতে আমার মায়ের নির্দেশনায় কাজ করছি। কলেজ শেষ করেই জীবিকার তাকিদে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি দিয়েছি।
এরপর নিউইয়র্কে। দীর্ঘ ৩৫ বছর নিউইয়র্কে টেক্সি চালিয়ে স্কুল মাষ্টার বাবার স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে কাজ করেছি। সফলতার সব টুকুই আমার মায়ের প্রাপ্য। বাবার আদর্শ মায়ের সাহস এই নিয়েই আমার পথচলা।