ঢাকা ১১:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উদ্বোধনে দীর্ঘসূত্রিতা জুড়ী উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৩৬:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৩২৮ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে বেশ কয়েকমাস আগে। কাজ শেষ হলেও উদ্বোধন নিয়ে দেখা দিয়েছে দীর্ঘসূত্রিতা। ফলে অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটার পর পার্শ্ববর্তী কুলাউড়া ও বড়লেখা উপজেলার ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিতে হয়। ওই স্টেশনগুলো থেকে অগ্নি নির্বাপক গাড়ি আসতে দেরি হয়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়।

জুড়ী উপজেলার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে জায়ফরনগর ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নেয় সরকার। কিন্তু সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও উদ্বোধন না হওয়ায় উপজেলার কোথাও আগুন লাগলে পাশ্ববর্তী উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে আসতে সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

জানা যায়, এই উপজেলায় এতদিন ধরে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় পার্শ্ববর্তী কুলাউড়া ও বড়লেখা উপজেলার সাহায্য নিতে হতো। ফলে আগুন লাগার স্থানে উদ্ধারকারী দল আসার আগেই আগুনে পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ভবনে আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রতিবছর শীতে উপজেলায় আগুন লাগার ঘটনা বেড়ে যায়।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও উদ্বোধন না হওয়ায় মানুষের মনে অজানা আতংঙ্ক বিরাজ করছে। বর্তমানে ফায়ার স্টেশন নির্মাণের ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসলেও যথাসময়ে উদ্বোধন না হওয়ায় উপজেলাবাসী নতুন ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধনের জন্য প্রহর গুনছেন।

নতুন ফায়ার স্টেশন হওয়ায় খুশি সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা। তারা বলছেন, আগে আগুন লাগলে নিজেরাই নির্বাপণ করতেন। ফায়ার স্টেশন পাশের উপজেলায় হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে অনেকটা সময় লেগে যেতো। আর এতে আগুনে প্রাণহানি ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হতো। নতুন ফায়ার স্টেশন হওয়ায় এই আশঙ্কা মন থেকে দূর হয়েছে উপজেলা বাসীর। তাদের মনে এখন একটাই ভরসা, শুধু অগ্নিকান্ডে নয়; প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ যেকোন দুর্ঘটনায় অল্প সময়ে ও খুব সহজে সেবা মিলবে ফায়ার সার্ভিসের। উপজেলার সাধারণ মানুষ প্রত্যাশা করছেন অতি দ্রুত উদ্বোধন করা হোক এ ফায়ার স্টেশনটির।

নবনির্মিত ফায়ার স্টেশনটি সুসজ্জিত করে রাখা হয়েছে। নতুন এ স্টেশনের রং দূর থেকেই দৃষ্টি কাড়ে। গতি, সেবা ও ত্যাগ নিয়ে এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষায় এ ফায়ার স্টেশনটি।

জুড়ী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিংকু রঞ্জন দাস বলেন, জুড়ীতে প্রায়ই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

কিন্তু ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় পাশের উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী আসতে আসতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়। এখন আমাদের উপজেলায় ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন নির্মিত হওয়ায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। শীঘ্রই উদ্বোধনের ব্যাপারে মাননীয় পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো।

মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. নিয়াজ উদ্দিন মৌলভীবাজার২৪ ডট কমকে বলেন, জুড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনটি গণপূর্ত বিভাগ মৌলভীবাজার বাস্তবায়ন করেছে। ভবনটি এখনো আমরা বুঝে পাইনি। তাছাড়া কিছু কাজ এখনো বাকি আছে। এ স্টেশনটি উদ্বোধনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কাজ শেষ হলেই দ্রুত উদ্বোধনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

উদ্বোধনে দীর্ঘসূত্রিতা জুড়ী উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন

আপডেট সময় ০৪:৩৬:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে বেশ কয়েকমাস আগে। কাজ শেষ হলেও উদ্বোধন নিয়ে দেখা দিয়েছে দীর্ঘসূত্রিতা। ফলে অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটার পর পার্শ্ববর্তী কুলাউড়া ও বড়লেখা উপজেলার ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিতে হয়। ওই স্টেশনগুলো থেকে অগ্নি নির্বাপক গাড়ি আসতে দেরি হয়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়।

জুড়ী উপজেলার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে জায়ফরনগর ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নেয় সরকার। কিন্তু সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও উদ্বোধন না হওয়ায় উপজেলার কোথাও আগুন লাগলে পাশ্ববর্তী উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে আসতে সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

জানা যায়, এই উপজেলায় এতদিন ধরে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় পার্শ্ববর্তী কুলাউড়া ও বড়লেখা উপজেলার সাহায্য নিতে হতো। ফলে আগুন লাগার স্থানে উদ্ধারকারী দল আসার আগেই আগুনে পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ভবনে আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রতিবছর শীতে উপজেলায় আগুন লাগার ঘটনা বেড়ে যায়।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও উদ্বোধন না হওয়ায় মানুষের মনে অজানা আতংঙ্ক বিরাজ করছে। বর্তমানে ফায়ার স্টেশন নির্মাণের ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসলেও যথাসময়ে উদ্বোধন না হওয়ায় উপজেলাবাসী নতুন ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধনের জন্য প্রহর গুনছেন।

নতুন ফায়ার স্টেশন হওয়ায় খুশি সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা। তারা বলছেন, আগে আগুন লাগলে নিজেরাই নির্বাপণ করতেন। ফায়ার স্টেশন পাশের উপজেলায় হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে অনেকটা সময় লেগে যেতো। আর এতে আগুনে প্রাণহানি ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হতো। নতুন ফায়ার স্টেশন হওয়ায় এই আশঙ্কা মন থেকে দূর হয়েছে উপজেলা বাসীর। তাদের মনে এখন একটাই ভরসা, শুধু অগ্নিকান্ডে নয়; প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ যেকোন দুর্ঘটনায় অল্প সময়ে ও খুব সহজে সেবা মিলবে ফায়ার সার্ভিসের। উপজেলার সাধারণ মানুষ প্রত্যাশা করছেন অতি দ্রুত উদ্বোধন করা হোক এ ফায়ার স্টেশনটির।

নবনির্মিত ফায়ার স্টেশনটি সুসজ্জিত করে রাখা হয়েছে। নতুন এ স্টেশনের রং দূর থেকেই দৃষ্টি কাড়ে। গতি, সেবা ও ত্যাগ নিয়ে এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষায় এ ফায়ার স্টেশনটি।

জুড়ী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিংকু রঞ্জন দাস বলেন, জুড়ীতে প্রায়ই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

কিন্তু ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় পাশের উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী আসতে আসতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়। এখন আমাদের উপজেলায় ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন নির্মিত হওয়ায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। শীঘ্রই উদ্বোধনের ব্যাপারে মাননীয় পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো।

মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. নিয়াজ উদ্দিন মৌলভীবাজার২৪ ডট কমকে বলেন, জুড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনটি গণপূর্ত বিভাগ মৌলভীবাজার বাস্তবায়ন করেছে। ভবনটি এখনো আমরা বুঝে পাইনি। তাছাড়া কিছু কাজ এখনো বাকি আছে। এ স্টেশনটি উদ্বোধনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কাজ শেষ হলেই দ্রুত উদ্বোধনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।