ঢাকা ১১:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
প্রত্যেক ভোটারের দোয়ারে দোয়ারে রুকনদের বারবার যেতে হবে – মোঃ ফখরুল ইসলাম রাজনগরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৩ জন্য গ্রে ফ তা র, মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার জব্দ নাচ গানের মধ্য দিয়ে আধিবাসী খাসিয়া সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী বর্ষ বিদায় পালিত মৌলভীবাজারসহ সারাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত ছাত্রীকে বিয়ে করে উধাও শিক্ষক,প্রথম স্ত্রী গেলেন থানায় জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব, বিদায় সংবর্ধনা ও বই পড়া উৎসব অনুষ্ঠিত যুবদল নেতা আবুল হোসেনকে বহিষ্কার তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে বিএনপির বিশেষ নির্দেশনা কোটচাঁদপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির বিশেষ সভা

কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা,তিন পুলিশ বরখাস্ত

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:২৫:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৫২৪ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি:  সিলেটে এক কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরা তিনজনই কনস্টেবল পদমর্যাদায় সিলেট মহানগর পুলিশে (এসএমপি) কর্মরত ছিলেন।

বরখাস্তকৃত তিন পুলিশ সদস্য হলেন- মো. ঝুনু হোসেন জয় (বিপি-০১২০২৩৬৪২৪), ইমরান মিয়া (বিপি-০১২০২৩৫৫৪৭) ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (বিপি-০০২০২৩০৯৯৯)। এরা এসএমপির পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সুদীপ দাস।

জানা গেছে, পুলিশ সদর দপ্তরের পিআইও শাখায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক আবু সায়েদের ছেলে সাইফুর রহমান আসাদ (১৮)। তিনি সিলেট শহরতলির মেজরটিলা এলাকার বাসিন্দা।

গত ১৩ অক্টোবর অনলাইনে নিজের পুরনো একটি মোবাইল ফোন ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেন আসাদ। সেই ফোন বিক্রির টাকা নিতে ওইদিন সন্ধ্যার পর এক বন্ধুকে সাথে নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় যান তিনি। মোবাইল বিক্রির টাকা নিয়ে তারা দুজনে যান শাহজালাল (রহ.) মাজার এলাকায়। সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তিন পুলিশ সদস্য এসে আসাদ ও তার বন্ধুকে জাপটে ধরেন। তারা তাদের সাথে থাকা একটি ব্যাগ তল্লাশি করে ইয়াবা পেয়েছেন বলে দাবি করেন।

তখন সাইফুর রহমান আসাদ এর প্রতিবাদ করেন। তিনি পুলিশে কর্মরত তার বাবার পরিচয়ও দেন। বিষয়টি তিনি তার বাবাকেও জানান। খবর পেয়ে শাহপরান থানায় কর্মরত এসআই জামাল ভুঁইয়া ঘটনাস্থলে যান। তিনি আসাদ ও তার বন্ধুকে নগরীর কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যান। সেখানে মুচলেকা রেখে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তবে ওই কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছেও পৌঁছায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসএমপি পুলিশ লাইনের এডিসি (ফোর্স) সালেহ আহমদকে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি গত ২৪ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনের স্মারক এসএমপি-১৬০ /এডিসি (ফোর্স)। তদন্তে তিন কনস্টেবলের অপকর্মের বিষয়টি বেরিয়ে আসে।

এর পরই তাদের তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা,তিন পুলিশ বরখাস্ত

আপডেট সময় ০৭:২৫:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি:  সিলেটে এক কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরা তিনজনই কনস্টেবল পদমর্যাদায় সিলেট মহানগর পুলিশে (এসএমপি) কর্মরত ছিলেন।

বরখাস্তকৃত তিন পুলিশ সদস্য হলেন- মো. ঝুনু হোসেন জয় (বিপি-০১২০২৩৬৪২৪), ইমরান মিয়া (বিপি-০১২০২৩৫৫৪৭) ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (বিপি-০০২০২৩০৯৯৯)। এরা এসএমপির পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সুদীপ দাস।

জানা গেছে, পুলিশ সদর দপ্তরের পিআইও শাখায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক আবু সায়েদের ছেলে সাইফুর রহমান আসাদ (১৮)। তিনি সিলেট শহরতলির মেজরটিলা এলাকার বাসিন্দা।

গত ১৩ অক্টোবর অনলাইনে নিজের পুরনো একটি মোবাইল ফোন ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেন আসাদ। সেই ফোন বিক্রির টাকা নিতে ওইদিন সন্ধ্যার পর এক বন্ধুকে সাথে নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় যান তিনি। মোবাইল বিক্রির টাকা নিয়ে তারা দুজনে যান শাহজালাল (রহ.) মাজার এলাকায়। সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তিন পুলিশ সদস্য এসে আসাদ ও তার বন্ধুকে জাপটে ধরেন। তারা তাদের সাথে থাকা একটি ব্যাগ তল্লাশি করে ইয়াবা পেয়েছেন বলে দাবি করেন।

তখন সাইফুর রহমান আসাদ এর প্রতিবাদ করেন। তিনি পুলিশে কর্মরত তার বাবার পরিচয়ও দেন। বিষয়টি তিনি তার বাবাকেও জানান। খবর পেয়ে শাহপরান থানায় কর্মরত এসআই জামাল ভুঁইয়া ঘটনাস্থলে যান। তিনি আসাদ ও তার বন্ধুকে নগরীর কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যান। সেখানে মুচলেকা রেখে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তবে ওই কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছেও পৌঁছায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসএমপি পুলিশ লাইনের এডিসি (ফোর্স) সালেহ আহমদকে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি গত ২৪ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনের স্মারক এসএমপি-১৬০ /এডিসি (ফোর্স)। তদন্তে তিন কনস্টেবলের অপকর্মের বিষয়টি বেরিয়ে আসে।

এর পরই তাদের তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।