ঢাকা ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুলাউড়ায় পাখিসহ ২ শিকারি আটক,অর্থদণ্ড ও মুচলেকায় রক্ষা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩
  • / ২৩৭ বার পড়া হয়েছে

কুলাউড়া প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় আসাবুদ্দিন (১৯) ও ওয়ারিছ আলী (১৭) নামে দুই পাখিশিকারিকে আটক করেছে বনবিভাগ।
শনিবার (৬ মে) সকালে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ফানাই নদী এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে বনবিভাগের একটি দল।  পরে দুপুরে বনবিভাগের নলডরী বিট কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই দুই তরুণকে জরিমানা করে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে কর্মধা ইউনিয়নের দিঘলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মো. নূর মিয়ার ছেলে আসাবুদ্দিন ও একই এলাকার বাসিন্দা মো. তাহির আলীর ছেলে ওয়ারিছ ডাহুক পাখি শিকারের জন্য স্থানীয় ফানাই নদীতে নামেন। এ সময় নদীর একপাশে আলাদা পোষা ১টি ডাহুক পাখি খাঁচার ভেতর ও ডাহুক পাখির ডাক রেকর্ডকৃত একটি মোবাইল ওই খাঁচার পাশে রাখেন। মোবাইলে ডাক শুনে একে একে ১০টি ডাহুক পাখি তাদের ফাঁদে এসে ধরা দেয়। পরে শিকার করা পাখিগুলো পরিবহন করে বিক্রির উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় বনবিভাগের নলডরী কার্যালয়ের একটি দল তাদেরকে আটক করে। পরে বনবিভাগ বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানালে দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান নলডরী কার্যালয়ে পৌঁছে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আসাবুদ্দিনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং বয়স বিবেচনায় ওয়ারিছ আলীকে জরিমানা না করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আব্দুল মতিনের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন। পরে শিকার করা ১১টি ডাহুক পাখিকে ফানাই নদীতে অবমুক্ত করা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান জানান, ভবিষ্যতের জন্য তাদের দুইজনকে সতর্ক করা হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কুলাউড়ায় পাখিসহ ২ শিকারি আটক,অর্থদণ্ড ও মুচলেকায় রক্ষা

আপডেট সময় ০৩:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩

কুলাউড়া প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় আসাবুদ্দিন (১৯) ও ওয়ারিছ আলী (১৭) নামে দুই পাখিশিকারিকে আটক করেছে বনবিভাগ।
শনিবার (৬ মে) সকালে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ফানাই নদী এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে বনবিভাগের একটি দল।  পরে দুপুরে বনবিভাগের নলডরী বিট কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই দুই তরুণকে জরিমানা করে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে কর্মধা ইউনিয়নের দিঘলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মো. নূর মিয়ার ছেলে আসাবুদ্দিন ও একই এলাকার বাসিন্দা মো. তাহির আলীর ছেলে ওয়ারিছ ডাহুক পাখি শিকারের জন্য স্থানীয় ফানাই নদীতে নামেন। এ সময় নদীর একপাশে আলাদা পোষা ১টি ডাহুক পাখি খাঁচার ভেতর ও ডাহুক পাখির ডাক রেকর্ডকৃত একটি মোবাইল ওই খাঁচার পাশে রাখেন। মোবাইলে ডাক শুনে একে একে ১০টি ডাহুক পাখি তাদের ফাঁদে এসে ধরা দেয়। পরে শিকার করা পাখিগুলো পরিবহন করে বিক্রির উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় বনবিভাগের নলডরী কার্যালয়ের একটি দল তাদেরকে আটক করে। পরে বনবিভাগ বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানালে দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান নলডরী কার্যালয়ে পৌঁছে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আসাবুদ্দিনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং বয়স বিবেচনায় ওয়ারিছ আলীকে জরিমানা না করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আব্দুল মতিনের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন। পরে শিকার করা ১১টি ডাহুক পাখিকে ফানাই নদীতে অবমুক্ত করা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান জানান, ভবিষ্যতের জন্য তাদের দুইজনকে সতর্ক করা হয়।