কুড়িয়া পাওয়া লাখ টাকা আত্মসাৎ করলেন সিএনজি চালক
- আপডেট সময় ০৩:২৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ মে ২০২২
- / ১৪২১ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধি ঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের পাহাড় বর্ষিজোড়া (দিঘলগজী) গ্রামের মৃত ইছাক মিয়ার পুত্র সিএনজি চালক আব্দুর রহমান (৩০) এর বিরুদ্ধে কুড়িয়ে পাওয়া ১ লাখ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে।
এনিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের কালেঙ্গা গ্রামের মাসুক মিয়ার স্ত্রী শিরিনা বেগম স্বপ্না গত ২ মে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এস এল নং-৭৬৭। থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত ২৭ এপ্রিল বিকাল অনুমান সাড়ে ৫টার দিকে শিরিনা বেগম স্বপ্না মৌলভীবাজার সদরের স্লুইচ গেইট এলাকায় যাবার জন্য সিএনজি চালক আব্দুর রহমান এর সিএনজি মৌলভীবাজার -১২-৯৬৯১ হয়ে মৌলভীবাজার চৌমোহানায় গাড়ি থামিয়ে অপর দুই যাত্রী সম্ভত স্বামী স্ত্রী হবেন তারা নেমে যান। দুই যাত্রী নামার পরে আমি দেখতে পাই ১টা ১০০০ হাজার টাকার বান্ডেল পাই গাড়ীর পিছনের সিটে পরে আছে। সাথে সাথে আমি ড্রাইভার আব্দুর রহমান কে বলি টাকার বাণ্ডেল এর কথা। ড্রাইভার বলে গাড়ীতে দুই জন যাত্রী তার পরিচিত হয় তাদেরকে টাকা ফেরত দেবে বলে টাকার বান্ডেল আমার কাছ থেকে নিয়ে যায়। এ ঘটনা আমি বাসায় গিয়ে আমার স্বামীকে বলিলে আমার স্বামী সিএনজি চালক আব্দুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করলে সে টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করে এবং এব্যাপারটা কারো সাথে না বলার জন্য অনুরোধ করে এবং আমার স্বামীকে ১০০০০/দশ হাজার টাকা দিবার জন্য অফার করে। আমার স্বামী তা গ্রহণ করেন নাই বরং তিনি ড্রাইভারকে বলেছেন প্রকৃত মালিক খোজে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য।
এঘটনার পর থেকে সিএনজি চালক আব্দুর রহমান কালেঙ্গা ষ্ট্যান্ডে আসা বন্ধ করে নিজেকে আত্মগোপনে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এব্যপারে সিএনজি চালক আব্দুর রহমান এর মুঠোফোনে কল দিলে প্রথমে টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করে পরে তা অস্বীকার করেন। যা ইচ্ছা লিখতে বলেন।
নির্মান শ্রমিক সভাপতি আব্দুল মিয়া জানান, ঘটনা জেনে আমি তাহার সাথে যোগাযোগ করলে ১লাখ টাকা কুড়িয়ে পাবার কথা স্বীকার করে আব্দুর রহমান।প্রকৃত মালিক টাকা গুলা যেন তার হাতে পায় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান তিনি।
কালেঙ্গা টু কোর্ট সিএনজি ষ্টান্ড এর পরিচালক ইউসুফ মিয়া জানান, এঘটনায় আমি আব্দুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করলে সে টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করে, এখন পর্যন্ত টাকা আমাদের অফিসে জমা দেয় নাই। এবিষয় আমরা কাউন্সিলর আসাদ হোসেন মক্কুর কাছে জানাই। পরে জনস্বার্থে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়।।