ঢাকা ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটচাঁদপুর কালভাটের উপর বাঁশের বেড়া

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৩০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ২৬৬ বার পড়া হয়েছে
কোটচাঁদপুর  প্রতিনিধিঃ  সড়কে কালভাটের অধিকাংশ ভেঙ্গে পড়েছে। প্রায় সময় ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। তাই দূর্ঘটনা এড়াতে  ভেঙ্গে পড়া কালভাটের অংশে বাঁশের কুঞ্চি,পলিথিন দিয়ে তা রোধ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন এলাকাবাসী। এ চিত্রটি কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশনা-পাঁচলিয়া সড়কের আন্দোলপোতা গ্রামে। বিষয়টি নিয়ে মেম্বার, চেয়ারম্যানদের জানালোও কোন কাজ হয়নি এমন অভিযোগও রয়েছে ভুক্তভুগীদের।
জানা যায়,কোটচাঁদপুর উপজেলার আন্দোলপোতা গ্রাম। এ গ্রামের মধ্যদিয়ে গেছে কুশনা-পাঁচলিয়া সড়কটি। গেল ১৫ বছর আগে এ গ্রামের পানি নিস্কাশনের জন্য নির্মিত হয় কালভাটটি। ওই সময় সড়কটি ছিল ইটের সলিং। এ কারনে মানুষ ও যান চলাচল ছিল কম।
গেল ২ বছর হল সড়কটি পিচ করা হয়েছে। এ কারনে মানুষ সহ সব ধরনের যান চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই বছর হল সড়কের কালভাটটি ভেঙ্গে পড়েছে।
দিন যত যাচ্ছে ভাঙ্গন তত বৃদ্ধি পাচ্ছে কালভাটটির।
এ ভাবে ভাংতে থাকলে মানুষ সহ সব ধরনের যান চলাচল বিঘ্নিত হবে। ভোগান্তিতে পড়বে এলাকার মানুষ।
বিষয়টি নিয়ে আন্দোলপোতা গ্রামের,শাহাবুদ্দিন আলী বলেন,সড়কটিতে  পিচের কাজ হওয়ার আগে কালভাট ভাল ছিল। সড়কে কাজ চলার সময় ঠিকাদারদের ট্র্যাকে কালভাটটি ভেঙ্গে যায়। ওই সময় ঠিকাদারকে বলেও কোন কাজ হযনি। এ ভাবে দিনের পর দিন আরো ভেঙ্গে যাচ্ছে কালভাটটি। এতে করে একদিকে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা,অন্যদিকে মানুষের চলাচলের চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, কালভাটটি ভেঙ্গে পড়ায় প্রতিনিয়ত ছোট বড় দূর্ঘটনা ঘটছে। সামনের দিনে কি হবে,সেটা একমাত্র সৃষ্টি কর্তা ভাল জানেন।
শাহাবুদ্দিন বলেন,ভাঙ্গা কালভাটটির পাশেই আমার চাচাত ভাই মুক্তার হোসেনের বাড়ি। সম্প্রতি কয়েকটি দূর্ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটিই তাঁর বাড়ির পাশে ঘটেছে।এতে করে চরম আতংকে রয়েছে তারা। তিনি সংশ্লিষ্টদের নিকট কালভাটটির আশু সংস্কার দাবি করেছেন।
পাঁচলিয়া গ্রামের তহিদুল ইসলাম বলেন,প্রতিনিয়ত এ সড়কটি দিয়ে আমি যাতায়াত করি। আগে বড় ধরনের যান বাহন যেত, এ সড়কটি দিয়ে। এখন কোন জিনিস পত্র গ্রামে নেয়া নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
ওই গ্রামের ভ্যান চালক কওসার আলী বলেন,গেল ১৫ বছর আগে এ কালভাটটি নির্মান করা হয়। সে সময় সড়কটি ছিল,ইটের সলিং। গেল দুই বছর হল সড়কটি পিচের কাজ হয়েছে। এ ছাড়া এ সড়ক দিয়ে সামনে বকুল পার্কে যান মানুষ। এ কারনে এ সড়কটিতে  মানুষের চলাচলের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন,সড়কটি দিয়ে ভ্যান,রিস্কা, অটো, ট্র্যাক সহ সব ধরনের যান চলাচল করেন। কালভাটটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এখন মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন,বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান কে জানানো হয়েছে। তারা দেখছি বলে আশ্বাস ও দিয়েছেন। এরপরও দুই বছর পার হয়ে গেলেও আজও কোন কাজ হয়নি।
এ ব্যাপারে কুশনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুজ্জামান (সবুজ) বলেন,ওই সড়কের কালভাটটি ভেঙ্গে গেছে, এটা এলাকার মানুষ আমাকে আগেই জানিয়েছে। আমার জানামতে সড়কটি এলজিইড বিভাগের। এরপরও আমি কালভাটটি সংস্কারের জন্য প্রকল্প জমা দিয়েছি। ভোটের পর কাজ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
উপজেলা প্রকৌশলী মিজানূর রহমান বলেন,সড়কটি কথা জেনেছি। হবে এডিপি থেকে। আর বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান কে বলেছি জরুরী ভাবে দেখতে। এরপরও তিনি বিষয়টি দেখছেন বলে জানিয়েছেন।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কোটচাঁদপুর কালভাটের উপর বাঁশের বেড়া

আপডেট সময় ০৭:৩০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
কোটচাঁদপুর  প্রতিনিধিঃ  সড়কে কালভাটের অধিকাংশ ভেঙ্গে পড়েছে। প্রায় সময় ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। তাই দূর্ঘটনা এড়াতে  ভেঙ্গে পড়া কালভাটের অংশে বাঁশের কুঞ্চি,পলিথিন দিয়ে তা রোধ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন এলাকাবাসী। এ চিত্রটি কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশনা-পাঁচলিয়া সড়কের আন্দোলপোতা গ্রামে। বিষয়টি নিয়ে মেম্বার, চেয়ারম্যানদের জানালোও কোন কাজ হয়নি এমন অভিযোগও রয়েছে ভুক্তভুগীদের।
জানা যায়,কোটচাঁদপুর উপজেলার আন্দোলপোতা গ্রাম। এ গ্রামের মধ্যদিয়ে গেছে কুশনা-পাঁচলিয়া সড়কটি। গেল ১৫ বছর আগে এ গ্রামের পানি নিস্কাশনের জন্য নির্মিত হয় কালভাটটি। ওই সময় সড়কটি ছিল ইটের সলিং। এ কারনে মানুষ ও যান চলাচল ছিল কম।
গেল ২ বছর হল সড়কটি পিচ করা হয়েছে। এ কারনে মানুষ সহ সব ধরনের যান চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই বছর হল সড়কের কালভাটটি ভেঙ্গে পড়েছে।
দিন যত যাচ্ছে ভাঙ্গন তত বৃদ্ধি পাচ্ছে কালভাটটির।
এ ভাবে ভাংতে থাকলে মানুষ সহ সব ধরনের যান চলাচল বিঘ্নিত হবে। ভোগান্তিতে পড়বে এলাকার মানুষ।
বিষয়টি নিয়ে আন্দোলপোতা গ্রামের,শাহাবুদ্দিন আলী বলেন,সড়কটিতে  পিচের কাজ হওয়ার আগে কালভাট ভাল ছিল। সড়কে কাজ চলার সময় ঠিকাদারদের ট্র্যাকে কালভাটটি ভেঙ্গে যায়। ওই সময় ঠিকাদারকে বলেও কোন কাজ হযনি। এ ভাবে দিনের পর দিন আরো ভেঙ্গে যাচ্ছে কালভাটটি। এতে করে একদিকে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা,অন্যদিকে মানুষের চলাচলের চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, কালভাটটি ভেঙ্গে পড়ায় প্রতিনিয়ত ছোট বড় দূর্ঘটনা ঘটছে। সামনের দিনে কি হবে,সেটা একমাত্র সৃষ্টি কর্তা ভাল জানেন।
শাহাবুদ্দিন বলেন,ভাঙ্গা কালভাটটির পাশেই আমার চাচাত ভাই মুক্তার হোসেনের বাড়ি। সম্প্রতি কয়েকটি দূর্ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটিই তাঁর বাড়ির পাশে ঘটেছে।এতে করে চরম আতংকে রয়েছে তারা। তিনি সংশ্লিষ্টদের নিকট কালভাটটির আশু সংস্কার দাবি করেছেন।
পাঁচলিয়া গ্রামের তহিদুল ইসলাম বলেন,প্রতিনিয়ত এ সড়কটি দিয়ে আমি যাতায়াত করি। আগে বড় ধরনের যান বাহন যেত, এ সড়কটি দিয়ে। এখন কোন জিনিস পত্র গ্রামে নেয়া নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
ওই গ্রামের ভ্যান চালক কওসার আলী বলেন,গেল ১৫ বছর আগে এ কালভাটটি নির্মান করা হয়। সে সময় সড়কটি ছিল,ইটের সলিং। গেল দুই বছর হল সড়কটি পিচের কাজ হয়েছে। এ ছাড়া এ সড়ক দিয়ে সামনে বকুল পার্কে যান মানুষ। এ কারনে এ সড়কটিতে  মানুষের চলাচলের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন,সড়কটি দিয়ে ভ্যান,রিস্কা, অটো, ট্র্যাক সহ সব ধরনের যান চলাচল করেন। কালভাটটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এখন মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন,বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান কে জানানো হয়েছে। তারা দেখছি বলে আশ্বাস ও দিয়েছেন। এরপরও দুই বছর পার হয়ে গেলেও আজও কোন কাজ হয়নি।
এ ব্যাপারে কুশনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুজ্জামান (সবুজ) বলেন,ওই সড়কের কালভাটটি ভেঙ্গে গেছে, এটা এলাকার মানুষ আমাকে আগেই জানিয়েছে। আমার জানামতে সড়কটি এলজিইড বিভাগের। এরপরও আমি কালভাটটি সংস্কারের জন্য প্রকল্প জমা দিয়েছি। ভোটের পর কাজ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
উপজেলা প্রকৌশলী মিজানূর রহমান বলেন,সড়কটি কথা জেনেছি। হবে এডিপি থেকে। আর বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান কে বলেছি জরুরী ভাবে দেখতে। এরপরও তিনি বিষয়টি দেখছেন বলে জানিয়েছেন।