ঢাকা ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটচাঁদপুর টাইম স্কেল নিয়ে অর্থ ব্যানিজের অভিযোগ 

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:১৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ অগাস্ট ২০২২
  • / ২৯৯ বার পড়া হয়েছে

মোঃ মঈন উদ্দিন খানঃ টাইম স্কেল নিয়ে অর্থ ব্যানিজের অভিযোগ উঠেছে কোটচাঁদপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে। টাকা নেয়া হয় না সম্মাননি নেওয়া হয় বললেন অফিস সহায়ক।

জানা যায়, গেল জুন মাসে দ্বিতীয় টাইম স্কেল করার জন্য এ উপজেলার ৩২ জন শিক্ষক অনলাইনে আবেদন করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে জালালপুর মাদ্রাসার ৭ জন,কোটচাঁদপুর আলিয়া মাদ্রাসার ৯ জন,হরিণদীয়া মাদ্রাসার ৯ জন,দযারামপুর মাদ্রাসার ৩ জন ও সাবদারপুর মাদ্রাসার ৪ জন শিক্ষক।

এ সব শিক্ষকদের কাছ থেকে ২ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা করে নেয়া হয়েছে এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকদের অনেকে। তবে ওই অফিসের আওতায় চাকুরি করার কারনে,প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।
তারা বলেন,এ সব টাকার জন্য শিক্ষা অফিসার তেমন কিছু না বললেও, খারাপ আচারন করেন অফিস সহায়ক আব্দুল লতিফ। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত তিনি ফোন করতে থাকেন। খারাপ আচরণও করেন।
ওইসব শিক্ষকরা আরো বলেন, ২০০১ সাল থেকে আব্দুল লতিফ এ অফিসে রয়েছেন। এ কারনে তিনি অনেক কিছু জানেন। এ জন্য শিক্ষকদের সঙ্গে প্রায় এ ধরনের আচারন করে থাকেন। এরপরও কেউ কিছু বলতে পারেন না। কারন ওই অফিসের আওতায় চাকুরি করতে হয় তাদের ।

এ ব্যাপারে অফিস সহায়ক আব্দুল লতিফ জানান,টাকা নেওয়া না নেওয়া এটা স্যারের ব্যাপার। টাকা নিলে স্যার নিয়েছেন। টাইম স্কেল করাতে টাকা লাগে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তা আমার জানা নাই। তবে তিনি টাকা প্রসঙ্গে উদাহরণ দিয়ে বলেন,কোন নির্বাচনে গেলে তো টাকা নেয়ার কথা না। এরপরও তো স্কুল কতৃপক্ষ টাকা দিয়ে থাকেন। সেটা তো ঘুষ না। ওটা সম্মানি বলা হয়। এ টাকাও সম্মানি হিসেবে নেয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক বালক কর্মকর্তা রতন মিয়া জানান, টাইম স্কেল করতে কোন টাকা লাগে না। আর টাকা নেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। লতিফ আপনার নাম করে টাকা নিচ্ছেন, এমন প্রশ্নে বলেন,সেটা আমার জানা নাই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি, ঘটনাটি কি।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান,এটা আমার জানা নাই। এ ছাড়া কেউ কোন অভিযোগ ও করেনি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কোটচাঁদপুর টাইম স্কেল নিয়ে অর্থ ব্যানিজের অভিযোগ 

আপডেট সময় ১১:১৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ অগাস্ট ২০২২

মোঃ মঈন উদ্দিন খানঃ টাইম স্কেল নিয়ে অর্থ ব্যানিজের অভিযোগ উঠেছে কোটচাঁদপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে। টাকা নেয়া হয় না সম্মাননি নেওয়া হয় বললেন অফিস সহায়ক।

জানা যায়, গেল জুন মাসে দ্বিতীয় টাইম স্কেল করার জন্য এ উপজেলার ৩২ জন শিক্ষক অনলাইনে আবেদন করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে জালালপুর মাদ্রাসার ৭ জন,কোটচাঁদপুর আলিয়া মাদ্রাসার ৯ জন,হরিণদীয়া মাদ্রাসার ৯ জন,দযারামপুর মাদ্রাসার ৩ জন ও সাবদারপুর মাদ্রাসার ৪ জন শিক্ষক।

এ সব শিক্ষকদের কাছ থেকে ২ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা করে নেয়া হয়েছে এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকদের অনেকে। তবে ওই অফিসের আওতায় চাকুরি করার কারনে,প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।
তারা বলেন,এ সব টাকার জন্য শিক্ষা অফিসার তেমন কিছু না বললেও, খারাপ আচারন করেন অফিস সহায়ক আব্দুল লতিফ। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত তিনি ফোন করতে থাকেন। খারাপ আচরণও করেন।
ওইসব শিক্ষকরা আরো বলেন, ২০০১ সাল থেকে আব্দুল লতিফ এ অফিসে রয়েছেন। এ কারনে তিনি অনেক কিছু জানেন। এ জন্য শিক্ষকদের সঙ্গে প্রায় এ ধরনের আচারন করে থাকেন। এরপরও কেউ কিছু বলতে পারেন না। কারন ওই অফিসের আওতায় চাকুরি করতে হয় তাদের ।

এ ব্যাপারে অফিস সহায়ক আব্দুল লতিফ জানান,টাকা নেওয়া না নেওয়া এটা স্যারের ব্যাপার। টাকা নিলে স্যার নিয়েছেন। টাইম স্কেল করাতে টাকা লাগে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তা আমার জানা নাই। তবে তিনি টাকা প্রসঙ্গে উদাহরণ দিয়ে বলেন,কোন নির্বাচনে গেলে তো টাকা নেয়ার কথা না। এরপরও তো স্কুল কতৃপক্ষ টাকা দিয়ে থাকেন। সেটা তো ঘুষ না। ওটা সম্মানি বলা হয়। এ টাকাও সম্মানি হিসেবে নেয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক বালক কর্মকর্তা রতন মিয়া জানান, টাইম স্কেল করতে কোন টাকা লাগে না। আর টাকা নেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। লতিফ আপনার নাম করে টাকা নিচ্ছেন, এমন প্রশ্নে বলেন,সেটা আমার জানা নাই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি, ঘটনাটি কি।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান,এটা আমার জানা নাই। এ ছাড়া কেউ কোন অভিযোগ ও করেনি।