সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,গেল দুই বছর আগে কোটচাঁদপুরের বিদ্যাধরপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের কাছে ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেন বলুহর গ্রামের সাগর আহমেদ (লান্টু)। তিনি ওই টাকা দেন চৌকিদারের চাকুরীর জন্য।
টাকা নেবার পর তারা চাকুরী দেবার কথা বলে ঘোরাতে থাকে। কোন উপায় না পেয়ে সম্প্রতি থানায় আলমগীরের নামে অভিযোগ করেন (লান্টু)। গেল ১৪ মে রাতে বিচার হচ্ছিল কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শকের কক্ষে। এ সময় ঘটে দুই চেয়ারম্যানের মধ্যে বাকবিতন্ডতা ও মারামারির ঘটনা। যার মধ্যে ছিল এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। অন্যজন বলুহর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম (নজু)।
পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্না মিয়া। তিনি উভয় পক্ষকে শান্ত আগামী বৃহস্পতিবার বসে মিমাংশা করার আশ্বাস দিয়ে বাড়ি পাঠান।
তবে বিচারের মধ্যে মারামারির ঘটনা হুমায়ুন কবির লতা সহ পুলিশের কর্তাব্যক্তিরা অস্বীকার করলেও তা স্বীকার করেন,বলুহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন,বিচারের মধ্যে টাকার শিকারোক্তি করার চেষ্টা করছিলেন পুলিশ।
একপর্যায় কিছু টাকা নেবার কথা শিকার করেন আলমগীর হোসেন। এরপর আমি টাকা আদায়ের বিষয় নিয়ে বাদিকে আদালতের স্বরনাপন্ন হতে বলার সাথে সাথে লতা আমার মুখে চড় মেরে দেন।
আমি ও উঠে দাড়িয়ে তাকেও কিল ঘুষি মারি। এ সময় মাঝখানে তদন্ত ওসি এসে সামাল দেন। তিনি আরো বলেন, এরপরও উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডতা ও হাতাহাতি চলছিল।
খবর পেয়ে থানায় আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্না মিয়া। ঘটনা শুনে উভয় পক্ষকে শান্ত করেন। এবং ওসি সাহেব আসার পর ঘটনাটি নিয়ে আবারও বসে মিমাংসার করার আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি বলেন,যে টাকা নিয়ে বিচার,ওই টাকা আমার কাছে কেউ দেয়নি। আর চাকুরি নিয়ে আমার সঙ্গে কারোর কোন কথা ও হয়নি।
এলাঙ্গী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির লতা বলেন,চৌকিদারে চাকুরি দেবার কথা বলে নজুর এক প্যাটেল আলমগীর হোসেন টাকা নেন বলুহর গ্রামের লান্টুর কাছ থেকে। বিষয়টি নিয়ে থানায় বিচার হচ্ছিল।
এ সময় আলমগীর হোসেন ৪ লাখ টাকা নেবার কথা শিকার করেন। বলেন আমি টাকা নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে দিয়েছি। ওই টাকার কথা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ওপেন স্বীকারও করেছেন।
এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডতার ঘটনা ঘটে। একপর্যায় ধাক্কা ধাক্কিও হয়। তবে মারামারি হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। ওই সময় প্রতিবেদককে সংবাদটি না লেখার জন্য ও বলেন তিনি।
কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) স্বপন কুমার বলেন,ঘটনা তেমন কিছু না। বিচার চলছিল। হঠাৎ করে লতা ভাই চটে গিয়ে ধাক্কা-ধাক্কির ঘটনা ঘটে। তবে মারামারি হয়নি।
তিনি বলেন,উভয় পক্ষ উৎতপ্ত হয়ে উঠলে,আমরা মাঝখানে থেকে শান্ত করে দেয়া হয়। এবং বিষয়টি নিয়ে পরে বসে মিমাংসা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এখনও বসার কোন তারিখ পড়েনি।
কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্না মিয়া বলেন, চেয়ারম্যানের কাছে টাকা পাওয়া নিয়ে দুই পক্ষ বাক-বিতন্ডতায় জড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে করি। উভয় পক্ষকে শান্ত করে থানার বাহিরে পাঠানো হয়। তবে ওইদিন বিচার শেষ হয়নি,ওসি সাহেব এসে বিচার করবেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বলেন,ঘটনাটি আমার জানা নাই। বিষয়টি থানায় ঘটেছে, তাহলে ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা বলেন।