ঢাকা ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ

কোটচাঁদপুর পরিত্যক্ত ভবনে বসবাস করছেন  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৪৬:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৬৮ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ ১৬ মাস হল পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হয়েছে কোটচাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন। এরপরও ওই পরিত্যক্ত ভবনেই বসবাস করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে। কোন দূর্ঘটনার দায় দায়িত্ব নিতে চান না উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্ধার্থ কুমার কুন্ডু।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,গেল ১৯৮০ সালে ১ লা আগষ্ট
কোটচাঁদপুর উপজেলার শুভ উদ্বোধন করেন সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী ডঃ আবদুল মজিদ খান। ওই সময়ই নির্মিত হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাস ভবনটিও এমনটাই জানা গেছে। সেই থেকেই ভবনটিতে বসবাস করে আসছিলেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা। ৪৩ বছর পর জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঝিনাইদহের স্মারক নং-১৯৪; তারিখ: ১৬ মার্চ ২০২৩ ইউএনও ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণার জন্য চিঠি দেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।

এরপর গেল ৩০ মে ২০২৩ সালে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। নির্দেশ দেয়া হয় সকল বিধি-বিধান পরিপত্র/সার্কুলার যথাযথভাবে অনুসরণপূর্বক নিলামে বিক্রয়ের। দীর্ঘ ১৬ মাস পার হয়ে গেলেও নিলাম করা হয়নি ভবনটি। এদিকে ঝুঁকিপূর্ন পরিত্যক্ত ওই ভবনেটিতে বসবাস করছেন বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্ধার্থ কুমার কুন্ডু বলেন, ভবনে বসবাস করার জন্য একটা রেজুলেশন করা আছে আমি দেখছিলাম। তবে ওই রেজুলেশনটি করা আমি আসার আগে।

আর ভবনটি কনডেম করা আছে এটাও আমি জানি। বিষয়টি নিয়ে ওনার সাথে আলোচনাও হয়েছে,  কিভাবে কি করা যায়। ওনি আমাকে বলেছেন,ভবনের অবস্থা মোটামুটি ভালো আছে। কিছু সার্ভেসিং করিয়ে বসবাস করছেন বলে আমাকে বলেন।
তিনি বলেন,যেহেতু ভবনটি কনডেম ঘোষনা করা হয়েছে, সেহেতু ওনার ওই ভবনে থাকাটা  নিরাপদ নয়। তারপরও ওনি স্বেচ্ছায় ভবনটিতে থাকছেন। হঠাৎ যদি ওই ভবনে কোন দূর্ঘটনা ঘটে যায়,তাঁর দায়ভার আমার না নেয়া উচিত। এরপরও উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে আমি দায় এড়াতে পারি না।
এ অবস্থায় আপনি কোন ব্যবস্থা নিবেন কিনা,এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আসলে ওনারা প্রশাসনের লোক। ওনার তো একটা নিরাপদ জায়গারও দরকার আছে। আর নতুন ভবনের বরাদ্ধ আসা না আসা নিয়ে কোন নির্দেশনা আমার কাছে নাই। এরপরও আমি বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী মহাদয়ের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বলেন,ইউএনও ভবনটি কনডেম ঘোষনা করা হয়েছে। তবে আমি কোন ঝুঁকি মনে করছি না। আর মরে গেলে তো আমিই মারা যাব। এটাতে তো কারোর কোন সমস্যা নাই।

তিনি বলেন,কনডেম করা ভবনে কোন পে করা লাগে না। এরপরও কিছু টাকা পে করেই আমি ওই ভবনে বসবাস করে আসছি। এ ছাড়া ভবনে থাকার জন্য একটা রেজুলেশন করা আছে। তিনি আরো বলেন,ভবনটি ভাল আছে। তারপরও আগের ইউএনও কনডেম করে গেছেন। কি কারনে করেছেন  আমার জানা নাই।

উছেন মে বলেন,ভবনটি কনডেম করে ওনি বাইরে বাসা নিয়ে থাকতেন। ওই ভাবে থাকাটা আমার জন্য একটা বিব্রতকর। আর নির্বাচনের কারনে নিলাম প্রক্রিয়া করা হয়নি। তবে খুব দ্রুত এ প্রক্রিয়া করা হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কোটচাঁদপুর পরিত্যক্ত ভবনে বসবাস করছেন  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

আপডেট সময় ০৪:৪৬:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ ১৬ মাস হল পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হয়েছে কোটচাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন। এরপরও ওই পরিত্যক্ত ভবনেই বসবাস করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে। কোন দূর্ঘটনার দায় দায়িত্ব নিতে চান না উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্ধার্থ কুমার কুন্ডু।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,গেল ১৯৮০ সালে ১ লা আগষ্ট
কোটচাঁদপুর উপজেলার শুভ উদ্বোধন করেন সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী ডঃ আবদুল মজিদ খান। ওই সময়ই নির্মিত হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাস ভবনটিও এমনটাই জানা গেছে। সেই থেকেই ভবনটিতে বসবাস করে আসছিলেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা। ৪৩ বছর পর জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঝিনাইদহের স্মারক নং-১৯৪; তারিখ: ১৬ মার্চ ২০২৩ ইউএনও ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণার জন্য চিঠি দেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।

এরপর গেল ৩০ মে ২০২৩ সালে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। নির্দেশ দেয়া হয় সকল বিধি-বিধান পরিপত্র/সার্কুলার যথাযথভাবে অনুসরণপূর্বক নিলামে বিক্রয়ের। দীর্ঘ ১৬ মাস পার হয়ে গেলেও নিলাম করা হয়নি ভবনটি। এদিকে ঝুঁকিপূর্ন পরিত্যক্ত ওই ভবনেটিতে বসবাস করছেন বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্ধার্থ কুমার কুন্ডু বলেন, ভবনে বসবাস করার জন্য একটা রেজুলেশন করা আছে আমি দেখছিলাম। তবে ওই রেজুলেশনটি করা আমি আসার আগে।

আর ভবনটি কনডেম করা আছে এটাও আমি জানি। বিষয়টি নিয়ে ওনার সাথে আলোচনাও হয়েছে,  কিভাবে কি করা যায়। ওনি আমাকে বলেছেন,ভবনের অবস্থা মোটামুটি ভালো আছে। কিছু সার্ভেসিং করিয়ে বসবাস করছেন বলে আমাকে বলেন।
তিনি বলেন,যেহেতু ভবনটি কনডেম ঘোষনা করা হয়েছে, সেহেতু ওনার ওই ভবনে থাকাটা  নিরাপদ নয়। তারপরও ওনি স্বেচ্ছায় ভবনটিতে থাকছেন। হঠাৎ যদি ওই ভবনে কোন দূর্ঘটনা ঘটে যায়,তাঁর দায়ভার আমার না নেয়া উচিত। এরপরও উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে আমি দায় এড়াতে পারি না।
এ অবস্থায় আপনি কোন ব্যবস্থা নিবেন কিনা,এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আসলে ওনারা প্রশাসনের লোক। ওনার তো একটা নিরাপদ জায়গারও দরকার আছে। আর নতুন ভবনের বরাদ্ধ আসা না আসা নিয়ে কোন নির্দেশনা আমার কাছে নাই। এরপরও আমি বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী মহাদয়ের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বলেন,ইউএনও ভবনটি কনডেম ঘোষনা করা হয়েছে। তবে আমি কোন ঝুঁকি মনে করছি না। আর মরে গেলে তো আমিই মারা যাব। এটাতে তো কারোর কোন সমস্যা নাই।

তিনি বলেন,কনডেম করা ভবনে কোন পে করা লাগে না। এরপরও কিছু টাকা পে করেই আমি ওই ভবনে বসবাস করে আসছি। এ ছাড়া ভবনে থাকার জন্য একটা রেজুলেশন করা আছে। তিনি আরো বলেন,ভবনটি ভাল আছে। তারপরও আগের ইউএনও কনডেম করে গেছেন। কি কারনে করেছেন  আমার জানা নাই।

উছেন মে বলেন,ভবনটি কনডেম করে ওনি বাইরে বাসা নিয়ে থাকতেন। ওই ভাবে থাকাটা আমার জন্য একটা বিব্রতকর। আর নির্বাচনের কারনে নিলাম প্রক্রিয়া করা হয়নি। তবে খুব দ্রুত এ প্রক্রিয়া করা হবে।